বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৪ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।
  •   রাষ্ট্রীয় পদে আসীন হচ্ছেন খবরে আসামিপক্ষে শুনানি করলেন না সমাজী।

প্রকাশ : ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ১৬:৪৫

বাস হেলপারকে মারধর করা কথিত ‘সহ-সমন্বয়ক’ ছিল জবি ছাত্রলীগের কর্মী

মো: জাকির হোসেন
বাস হেলপারকে মারধর করা কথিত ‘সহ-সমন্বয়ক’ ছিল জবি ছাত্রলীগের কর্মী
ছবি : সংগৃহীত

‘তুই চিনস আমারে, চিনস? আমি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-সমন্বয়ক’, এই বলে লোকাল বাসের এক হেলপারকে কয়েকটি চড়-থাপ্পড় দেয়া শিক্ষার্থী ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কর্মী। রাজনীতি করেছেন সেক্রেটারি এস এম আকতার হোসাইনের প্যানেলে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সহ-সমন্বয়ক পরিচয়ে চড়-থাপ্পড় মারার সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

ভিডিওতে বাসের হেলপারকে বলতে শোনা যায়, ‘আমরাও তো এই আন্দোলনে ছিলাম ভাই।’ তখন ওই শিক্ষার্থী বারবার কাকে যেন ফোন দিচ্ছিল এবং একইসঙ্গে আইডি কার্ড দেখিয়ে বলছিল, আমি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক।

সোমবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে ফেসবুক ছড়িয়ে পড়া ওই এক মিনিট ৭ সেকেন্ডের ভিডিও এখন ভাইরাল। তবে কোন বাসে বা কোন জায়গার ঘটনা এটি, তা এখনো জানা যায়নি।

ভিডিওর ওই শিক্ষার্থীর নাম তওসিফ শাকিল ডাক নাম শাকিল, সে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় রসায়ন বিভাগের ১৪তম ব্যাচের (২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষ) শিক্ষার্থী হলেও রিঅ্যাডমিশন নিয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছিল ১৫তম ব্যাচের সঙ্গে। জানা যায়, এই শিক্ষার্থী উত্তরণ বাস কমিটির সভাপতি ছিলেন, এই সুবাদে বাসে চলাচলকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যাচ্ছেতাই ব্যবহার করতেন বলেও কয়েকজন অভিযোগ জানিয়েছে।

ছাত্র আন্দোলনে তার ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ হবার কারণে ১৬, ১৭ ও ১৮ ব্যাচের সব শিক্ষার্থী তাকে গত ১ আগস্ট বয়কট ঘোষণা করে। পরে গত ৫ আগস্টের পর এখন পর্যন্ত সে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে আসেনি বলে জানা যায়। এ জন্য লোকাল বাসে চলাচল করতেন এই শিক্ষার্থী। কথিত সহ-সমন্বয়ক দাবি করা ওই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সহ-সমন্বয়ক নামে কখনোই কোনো পদ ছিল না বলে জানিয়েছেন আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া একাধিক সমন্বয়ক। গত ২৯ জুলাই ২৭ সদস্যবিশিষ্ট যে সমন্বয়ক পরিষদ গঠন করা হয়, তাতেও নাম নেই এই শাকিলের।

এদিকে ছাত্রদের এই বিশাল আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে পুরো দেশের সামনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে খাটো করা এই শিক্ষার্থীকে নিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তখনকার সমন্বয়ক ও জবি সংস্কার আন্দোলনের সংগঠক ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী নূর নবী বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সহ-সমন্বয়ক নামে কোনো পদ নেই।

তিনি আরও বলেন, এমন একটা কাজ করে ওই শিক্ষার্থী আমাদের পুরো আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে, তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকায় তার ব্যাচের শিক্ষার্থীরা তাকে বয়কট করেছিল। কখনো শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে তিনি অংশ নেননি। সে আমাদের ক্যাম্পাসের ইমেজ নষ্ট করেছে। আমরা তার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়ার কথা ভাবছি।

তখনকার আরেক অন্যতম সমন্বয়ক এবং বর্তমানে জবি সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মাসুদ রানা ও বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সহ-সমন্বয়ক বলে কোনো পদ নেই। ওই ছেলেকে আমরা চিনি না। বিষয়টি দুঃখজনক ও নিন্দনীয়।

এ বিষয়ে রসায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. একেএম লুৎফর রহমান বলেন, আমরা বিষয়টি নিয়ে অবগত রয়েছি। এ নিয়ে একাডেমিক মিটিংয়ে কথা বলব। কেউ অভিযোগ দিলে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

তথ্যসূত্র : চ্যানেল 24

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়