প্রকাশ : ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ১৭:৪৭
নিষেধাজ্ঞার প্রথম দিনে ফরিদগঞ্জে অবাধে ইলিশ বিক্রি
১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম শুরু হয়েছে। এ সময়কালে সারাদেশে ইলিশ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধের বিধান থাকলেও ফরিদগঞ্জের মৎস্য ব্যবসায়ীরা তা মানছেন না। উপজেলা সদরের বাজারে চলছে অবাধে ইলিশ বিক্রি। এতে নির্বিকার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
|আরো খবর
সরেজমিনে রোববার (১৩ অক্টোবর ) দুপুরে ফরিদগঞ্জ বাজারে গিয়ে দেখা যায়, বেশ ক'জন মাছ বিক্রেতা ইলিশের পসরা সাজিয়ে বসে আছেন বিক্রির জন্যে। এদের
মধ্যে জাবেদ, আবুল হোসেন ও আক্তার হোসেন বলেন, এগুলো আমাদের আগের মাছ। এখন তো মাছ বিক্রয় ও ক্রয়ের বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা চলছে। এমন কথা শুনে জবাবে কিছু বলেন নি।
ফরিদগঞ্জ বাজারের মাছের আড়তদার দিলীপ চন্দ্র দাস বলেন, আমাদের কাছে ইলিশ মাছ নেই। তবে সকাল থেকেই ক'জন ব্যবসায়ী বাজারে ইলিশ মাছ বিক্রি করছে। তাদের বাধা দিলেও তারা শুনেন নি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, মৎস্য বিভাগের লোকজন চুপি চুপি প্রচারণা চালানোর কারণে এখনো ইলিশ মাছ বিক্রেতা ও ক্রেতারা অসচেতন রয়ে গেছে।
বাজারে নিষেধাজ্ঞার সময়ে ইলিশ মাছ দেখতে পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে চাঁদপুর জজকোর্টের আইনজীবী নঈমুল ইসলাম বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কতোটুকু উদাসীনতা থাকলে নিষেধাজ্ঞার প্রথম দিনে এভাবে উপজেলা সদরের একটি বাজারে ইলিশ মাছ বিক্রি হতে পারে, তা নিজ চোখে না দেখলে বিশ্বাস করতাম না।
নিষেধাজ্ঞার সময়ে ইলিশ মাছ বিক্রির বিষয়ে জানতে চাইলে ফরিদগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী কমিটির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাবুল বলেন, নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি এখনও আমাদের জানানো হয়নি। তাই আমি ব্যবসায়ীদের সতর্ক করতে পারিনি।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে কার্যালয়ের একজন সহকারী জানিয়েছেন, তাদের স্যার অফিসের কাজে জেলা সদরে আছেন।
এ বিষয়ে বক্তব্যের জন্যে জেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে মুঠোফোনে কল দিলে তিনি বলেন, আমি মিটিংয়ে আছি।
এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি), ভারপ্রাপ্ত ইউএনও, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ. আর. এম. জাহিদ হাসান বলেন, বাজারে ইলিশ মাছ বিক্রির বিষয়টি জেনেছি, আমরা মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছি।