প্রকাশ : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৬:১৪
মেহেদি রাঙানো দুই হাত বাঁধা সেই তরুণীর মরদেহের পরিচয় মিলেছে
লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় তিস্তা নদীতে পাওয়া মেহেদি রাঙানো দুই হাত বাঁধা তরুণীর মরদেহের পরিচয় মিলেছে। রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার মহিষখোঁচা ইউনিয়নের কুটিরপাড় বালুর বাঁধ এলাকার তিস্তা নদী থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
|আরো খবর
নিহত তরুণীর নাম জ্যোৎস্না বেগম। সে নীলফামারী জেলার ডিমলা থানার খড়িবাড়ী এলাকার জহর আলীর স্কুল পড়ুয়া মেয়ে ও ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী। সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) আদিতমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহমুদ উন নবী মরদেহের পরিচয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ১৯ দিন আগে একই জেলার চাপানী এলাকার জহিদ মিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয় জ্যোৎস্না বেগমের। বিয়ের পরে চাচাতো বোনের বিয়েতে দাওয়াত খেতে নিজ বাড়িতে এসেছিল জ্যোৎস্না। এরপর ২০ সেপ্টেম্বর বিকেলে নিখোঁজ হয় জ্যোৎস্না। পরিবারের সদস্যরা অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও না পেয়ে তাদের সন্দেহ যে জ্যোৎস্না তার ছেলে বন্ধুর সঙ্গে পালিয়েছে।
এদিকে, নিখোঁজের চারদিন পর তিস্তা নদীর তীব্র স্রোতে ভেসে মহিষখোঁচা ইউনিয়নের কুটিরপাড় বালুর বাঁধ এলাকার তিস্তা মাঝের চরে ওই মরদেহ আটকে যায়। পরে স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। পরে আদিতমারী থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
জ্যোৎস্নার দুই হাত পিছমোড়া করে বাঁধা। গলায় সিলভার রঙের মালা। মুখমণ্ডল ছিল ঝলসে যাওয়া। পরনে কালো রঙের জামা ও পায়জামা। তাঁর দুই হাত মেহেদি দিয়ে রাঙানো ছিল। ইংরেজিতে লেখা ‘আই লাভ ইউ’। এলাকাবাসীর দাবি সঠিক তদন্ত করলে থলের বিড়াল বেড়িয়ে আসবে ও প্রকৃত অপরাধীকে জানা যাবে।
আদিতমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহমুদ উন নবী বলেন, মরদেহ হিমঘরে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় আদিতমারী থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে।
তথ্যসূত্র :চ্যানেল ২৪