প্রকাশ : ১৮ আগস্ট ২০২১, ২৩:৩৫
মিরপুরে মতলবের গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যাচেষ্টা
ঢাকার মিরপুরে যৌতুকের টাকার জন্যে স্ত্রীর গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করেছে পাষণ্ড স্বামী। গত ১২ আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকার মিরপুর-১৩ নম্বরের একটি ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে স্বামী কাউছার আহম্মেদ রাজন পলাতক রয়েছে।
|আরো খবর
ঘটনার বিবরণ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মতলব দক্ষিণ উপজেলার ধনারপাড় গ্রামের ফিরোজ মিয়ার ছেলে কাউছার আহম্মেদ রাজন একই উপজেলার খাদেরগাঁও ইউনিয়নের পুটিয়া গ্রামের মোঃ ওয়ালী উল্লাহ প্রধানের মেয়ে রিক্তা আক্তারকে ২০১৩ সালে ভালোবেসে পরিবারের অমতে বিয়ে করে। বিয়ের কয়েকমাস পর উভয় পরিবার তাদের এ সম্পর্ক মেনে নেয়। তারপর থেকে কাউছার আহম্মেদ রাজন যৌতুকের জন্যে রিক্তার উপর নির্যাতন শুরু করে। রাজন ঢাকার মিরপুর ১৩ নম্বরে একটি স্যানেটারি দোকানে চাকুরি করতেন। গেলো ৫ মাস আগে করোনার কারণে কাউছার আহম্মেদ রাজনের চাকুরি চলে যায়। তারপর থেকে রিক্তা সেলাই কাজ করে কোনো রকম সংসার চালাতেন। এরই মাঝে রাজন বিদেশে যাবে বলে প্রায় সময় রিক্তাকে টাকার জন্যে চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। টাকা দিতে অস্বীকার করলে রাজন রিক্তাকে মারধর করতো।
আহত রিক্তার ছোটভাই মোঃ আল-আমিন জানান, ঘটনার দিন রিক্তা বাসায় একা একা সংসারের কাজ করছিলেন। হঠাৎ করে রাজন বাসায় ঢুকে কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই রিক্তাকে রান্নাঘর থেকে বেডরুমে নিয়ে দরজা বন্ধ করে জোর করে হত্যার উদ্দেশ্যে রিক্তার গলায় ছুরি চালায়। পরে রিক্তা আত্মরক্ষায় ডাকচিৎকার দিলে একই ফ্ল্যাটে সাবলেট থাকা লোকজন এসে দরজা ভেঙ্গে রিক্তাকে উদ্ধার করে দ্রুত ঢাকা সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে যায়। রিক্তার গলায় ৩৪টি সেলাই এবং দুই হাতে ৬টি সেলাই দেয়া হয়। বর্তমানে রিক্তা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। রিক্তা ও রাজনের সংসারে ৭ বছরের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে।
এ ঘটনায় রিক্তা আক্তার বাদী হয়ে ঢাকা কাফরুল থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেছেন। মামলার পর থেকে স্বামী কাউছার আহম্মেদ রাজন পলাতক রয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে কাফরুল থানার অফিসার ইনচার্জ জানান, এ ঘটনায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা করা হয়েছে।