প্রকাশ : ২৬ জুন ২০২২, ১৬:৪৭
ফরিদগঞ্জের ধানুয়ায় এক রাতে ৬ দোকানে দুর্ধর্ষ চুরি

চাঁদপুর ফরিদগঞ্জের ধানুয়া গ্রামের ৬ দোকানে গভীর রাতে চুরির ঘটনা ঘটেছে। ২৬ জুন রবিবার দিবাগত রাতের কোন এক সময়ে এ দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে।
জানা যায় পূর্ব ধানুয়া ওসমান স্টোর ও গোডাউন, মুক্তার স্টোর, মধ্য ধানুয়ার বিল্লাল শেখ স্টোর, বিল্লাল শেখ স্টোরের গোডাউন, শম্ভুর সেলুন সহ মোট ছয়টি দোকানের ১২টি তালা ভেঙ্গে মালামাল ও নগদ টাকা চুরি নিয়ে যায়।
চুরির খবর শুনে ওই এলাকায় গিয়ে জানা যায়, ওসমান স্টোরের মালিক মালিক পক্ষের মুখলেস বলেন, ‘আমরা তিন ভাই দোকান পরিচালনা করি, প্রতিদিনের ন্যায়ে রবিবার রাত ১০ টার দিকে দোকান বন্ধ করে বাড়িতে চলে যাই। ভোর চারটার দিকে আমার বড় ভাই আমিন ধানুয়ার চর থেকে মাছ ধরে বাজারে নিয়ে যাওয়ার সময় দেখে আমাদের দোকান গোডাউনের শাটার খোলা।
এ সময় তার ডাক চিৎকার শুনে এসে দেখি দোকানের শাটারের তালা ভাঙ্গা এবং শাটার উঠানো। দোকানের ভেতরে গিয়ে দেখি দোকানে গচ্ছিত রাখা নগদ প্রায় ৩০ হাজার, এবং বেনসন গোল্ডলিফ সহ বিভিন্ন ধরনের প্রায় ৪০ হাজার টাকার সিগারেট, এবং বিভিন্ন কসমেটিক ও সয়াবিন তেল সহ অন্যান্য মালামাল সহ তাদের প্রায় দেড় লক্ষাধিক টাকার মালামাল নিয়ে যায়। এ সময় দোকানের সামনে রড ভেন্ডর মিস্ত্রিদের বড় ধরনের একটি শাবল পাওয়া যায়।
এ সময় মুক্তার স্টোরের মালিক মুক্তার হোসেন বলেন তার দোকানের তালা ভেঙ্গে অন্যান্য মালামাল না নিলেও তার নগদ ২৫ হাজার টাকা চোরের দল নিয়ে যায়।
অন্যদিকে, মধ্য ধানুয়ার বিল্লাল শেখ স্টোরের প্রোপাইটর ইসমাইল শেখ বলেন, প্রতিদিনের মতো তিনি রাত দশটায় দোকান বন্ধ করে বাড়িতে চলে যান। পাশের হোটেলের মালিক বাবুল রাত ৪ টা ৪০ মিনিটে তাকে ফোন দিয়ে জানান, তার দোকানের শাটার খোলা। এ সময় ইসমাইল হতভম্ব হয়ে তাড়াতাড়ি দোকানের কাছে এসে দেখেন তার দোকান পাশে গোডাউনের শাটার খোলা।
দোকানের ভিতরে ঢুকে দেখেন তার নগদ টাকাসহ অনেক কিছুই চুরি হয়ে গেছে। তিনি বলেন তাঁর নগদ টাকা, বিভিন্ন ব্যান্ডের সিগারেট, মোবাইল কার্ড সহ প্রায় এক লক্ষ টাকার মালামাল চুরি হয়ে গেছে। অন্যদিকে পাশের শম্ভুর সেলুনের দুইটি তালা ভেঙ্গে নগদ ৪শত টাকা, দুইটি চুল কাটার মেশিন এবং বিদ্যুৎ বিল চোরের দল নিয়ে যায়।
এ সময় উৎসুক জনতা এই প্রতিনিধির কাছে বলেন মো: নূরুল ইসলামের আমীর টেলিকম সহ বিভিন্ন দোকান ও এলাকার বিভিন্ন বাড়িতে চোরের দল ইতিপূর্বে কয়েকবার হানা দিয়েছে। আমরা চোরের উৎপাতের কারণে এখন নির্ঘুম রাত কাটাতে হচ্ছে।
ধানুয়া ফাজিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক মোঃ হুমায়ুন কবির, এলাকার বয়োবৃদ্ধ হাজী মোহাম্মদ ইউসুফ খান সহ এলাকার মান্যগণ্য ব্যক্তি বর্গ অত্যান্ত আক্ষেপের শহীত বলেন কিশোর গ্যাং, জুয়াড়ি এবং গাঁজাখোরের অভায়ারণ্য এখন এই ধানুয়া গ্রাম। এরা রাতভর জুয়া খেলে এবং গাঁজা খায়, পরে বিভিন্ন জায়গায় চুরি করে মানুষের ক্ষতি সাধন করছে।
ফরিদগঞ্জ থানার পক্ষ থেকে টহল পুলিশের তদারকি থাকলে এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব বলে তারা জানান।