প্রকাশ : ২৯ নভেম্বর ২০২১, ১৮:৪১
কচুয়ায় ইউপি সদস্যের নির্বাচনী প্রচারণায় হামলা : আহত ৪
আসছে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিতারা ইউনিয়নের ৩নং দুর্গাপুর গ্রামের সম্ভাব্য মেম্বার প্রার্থী আবদুল জাব্বার মোল্লার নির্বাচনী প্রচারনায় হামলায় অন্তত ৪ জন আহত হয়েছে।
|আরো খবর
২৮ নভেম্বর রবিবার সন্ধ্যা আনুমানিক ৮টার সময় সম্ভাব্য মেম্বার প্রার্থী আবদুল জাব্বার ভোটারদের সাথে মতবিনিময় শেষে একটি মিছিল দুর্গাপুর বাজার থেকে শুরু করে দুর্গাপুর বালুর মাঠ হয়ে প্রধানিয়া বাড়ির নিকট দিয়ে যাবার সময় দুর্বত্তরা তাদেরকে লাঠিসোটা দিয়ে বেধরক মারধর করে। এতে ওই গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে রবিন, সালাউদ্দিনের ছেলে মানিক, খলিলুর রহমানের ছেলে মুক্তার হোসেন, মুক্তার হোসেনের ছেলে রাকিব গুরুতর হয়।
আহতদের রাতেই কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। হামলার ঘটনার পর দুর্গাপুর বাজারে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু পরিষদের অফিস ভাংচুর হয়।
সম্ভাব্য মেম্বার প্রার্থী আবদুল জাব্বার বলেন, ওই ওয়র্ডের বর্তমান মেম্বার মো: বোরহান উদ্দিনের লোকজন দলবল নিয়ে মিছিলে হামলা ও দুর্গাপুর বাজারের বঙ্গবন্ধু পরিষদের অফিস ভাংচুর করে।
অপর দিকে একই রাতে ওই বাজারে অবস্থিত ওয়ার্ড ছাত্রলীগের অফিসে ভাংচুর হয়। এ ব্যাপারে ওই ওয়ার্ডের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম অফিস ভাংচুরের ঘটনায় বিএনপি নেতা দিদারসহ ১৪জনকে বিবাদী করে কচুয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।
এ ব্যপারে ইউপি সদস্য মো: বোরহান বলেন, আমি শুনেছি প্রধানিয়া বাড়ির নিকট প্রধানিয়া বাড়িরর লোকজনের সাথে মিছিলকারীদের বাকবিতন্ডা হয়েছে। দুর্গাপুর বাজারে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু পরিষদ ও ছাত্রলীগের অফিসে ভাংচুরের ঘটনা নিন্দনীয়। কে বা কাহারা ভাংচুর করেছে, তা আমি জানি না।
স্থানীয়রা জানান, রবিবার রাতে বঙ্গবন্ধু পরিষদ ও ছাত্রলীগের অফিসে রক্ষিত জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাস্ট্র মন্ত্রী ড.মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপি’র ছবি ভাংচুরের ঘটনাও ঘটেছে।
কচুয়া থানার ওসি মো: মহিউদ্দিন বলেন, দুর্গাপুর গ্রামের রবিবার রাতের ঘটনা দুই মেম্বার প্রার্থীর অন্ত:দ্বন্দের কারনে হয়ে থাকতে পারে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।