প্রকাশ : ১০ নভেম্বর ২০২১, ২৩:৫৫
চাঁদপুর পৌরসভার বর্তমান পরিষদের এক বছরপূর্তি
পৌরসভার কাজের মানের ক্ষেত্রে এবং সেবার ক্ষেত্রে কোনো ছাড় নয় : মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল (ভিডিও দেখুন)
চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট মোঃ জিল্লুর রহমান জুয়েলের মেয়র হিসেবে অফিসিয়ালি ১ বছর পূর্ণ হয়েছে আজ। চাঁদপুর কণ্ঠ থেকে পৌরসভার মেয়রের ইশতেহার অনুযায়ী বিগত ১ বছরের কর্মকাণ্ড ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হয়। সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেন এএইচএম আহসান উল্লাহ ও আবু সাঈদ কাউসার। পুরো সাক্ষাৎকারটি নিচে তুলে ধরা হলো :
|আরো খবর
নভেম্বরের ১১ তারিখ (আজ) চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র হিসেবে আমার পরিষদের ১ বছর পূর্ণ করলাম। সেজন্যে পরিষদের পক্ষ থেকে পুরো চাঁদপুরবাসীকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। তারা আমাদেরকে মহামূল্যবান ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন।
আপনারা জানেন, একটি মহাসঙ্কটে পুরো পৃথিবী। এই সঙ্কটের মধ্য দিয়েই আমাদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। পুরো একটি বছর কিন্তু এই সংকটের মধ্য দিয়েই কাটালাম। আপনারা জানেন, গত নির্বাচনে চাঁদপুর পৌরসভার ৫২টি সেন্টারেই আমি বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছি। যা’ পৌরসভার ভোটের ইতিহাসে একটি রেকর্ড। আমি বিষয়টিকে যেমনিভাবে উদ্যাপন করেছি, তেমনি মাথায় রেখেছি যে, শহরের প্রতিটি নাগরিকই আমাকে অনেক প্রত্যাশা নিয়ে নির্বাচিত করেছে। এটিকে আমি মেয়র হিসেবে চাপও মনে করি।
আমার নির্বাচনের পূর্বে একটি ইশতেহার ছিল। আমি সেই ইশতেহারে মানুষের কাছে অঙ্গীকার করেছিলাম যে, আমি যদি নির্বাচিত হতে পারি, তাহলে এই চাঁদপুর পৌরসভার ভেতরে যে সম্ভাবনা আছে, তা কাজে লাগাবো। আমি বলেছি, এই শহরের যে প্রাচীন ঐতিহ্য, সেই ঐতিহ্যকে কাজে লাগাবো। শহরটিতে যে বাণিজ্যিক সম্ভাবনা, তা আরো কাজে লাগাবো, অর্থাৎ বাণিজ্যিক সম্ভাবনার বিস্তার ঘটাবো। আমাদের তিন নদীর মিলনস্থলে যে পর্যটনের সম্ভাবনা, সেটিকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করবো। এছাড়া শহরটিকে আরো নান্দনিক করার চেষ্টা করবো।
আপনারা জানেন, একটি পরিষদের প্রথম ২/৩ বছর চলে যায় কিছু নির্দিষ্ট কাজের মধ্য দিয়ে। পৌরসভার নির্দিষ্ট আয় দিয়ে ব্যাপক কর্মযজ্ঞ করা সম্ভব নয়। সেখানে পৌরসভাকে সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প দিয়েই কাজগুলো করতে হয়। আমরা এই এক বছর ব্যয় করেছি শুধুমাত্র সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পে অন্তর্ভুক্তির জন্য।
চাঁদপুর পৌরসভায় বিগত দিনগুলোতে সরকারের বড় কোনো প্রকল্প ছিল না। আগামী কিছু দিনের মধ্যেই আমরা সরকারের বড় বড় প্রকল্পে আমাদে র পৌরসভাটির অন্তর্ভুক্তির সুখবর পাবো।
মূলত গত ১ বছরে আমার পরিষদের মূল কাজ ছিল, প্রতিষ্ঠান হিসেবে পৌরসভার দুর্বলতাগুলো চিহ্নিত করা এবং সেগুলোকে নিয়ে কাজ করা। আমার বড় চ্যালেঞ্জ ছিল, চাঁদপুর পৌরসভার যে কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা আছেন, বিগত ৪০ বছর ধরে তাদের বেতনভাতা নিয়মিত ছিল না। আমি যখন এই পরিষদের দায়িত্ব নেই, তখনো প্রায় ৭ মাসের বেতন বকেয়া ছিল। আমরা যে উন্নয়নের কথা বলি, এর প্রধান শর্তই হলো পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতনভাতা বকেয়া রাখা যাবে না। আমার এই ১ বছরের চ্যালেঞ্জই ছিল, আমি এই পরিষদের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতনভাতা পরিশোধ করে নিয়মিত করবো। আমি আমার দায়িত্ব গ্রহণের ৯ মাসের সময়ে পৌরসভার সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর পূর্বেকার বাকি থাকা বেতন পরিশোধ করে এখন নিয়মিত মাস শেষ হওয়ার পরপরই বেতনভাতা পরিশোধ করা হচ্ছে। এখন আর কোনো কর্মকর্তা ও কর্মচারী বলতে পারবে না, তাদের বেতন বাকি রয়েছে। এটি একটি বড় অর্জন।
আরেকটি চ্যালেঞ্জ ছিল, এই পৌরসভার নিজস্ব আয় বাড়ানো। সেক্ষেত্রে আমি যদি অংকের হিসেবে বলি, চাঁদপুর পৌরসভার বার্ষিক নিজস্ব আয় বাড়ানো। আপনারা জেনে খুশি হবেন, চাঁদপুর পৌরসভার বার্ষিক আয় ৩ কোটি টাকা বৃদ্ধি করেছি। এছাড়া ব্যয়ের হিসাব যদি বলি, আমরা চাঁদপুর পৌরসভার বার্ষিক ব্যয় ১ কোটি টাকা কমিয়ে এনেছি। এজন্যে আমাদের বেশ কাজ করতে হয়েছে। বিশেষ করে সড়ক বিদ্যুতায়নে আমরা কাজ করেছি। আপনারা জানেন, আমাদের বিদ্যুতের ব্যবহার ছিল পোস্ট পেইডভিত্তিক। পোস্ট পেইডভিত্তিক বিদ্যুৎ বিলে বেশ কিছু বাড়তি বিল চলে আসে। সেক্ষেত্রে এই বাড়তি খরচতো আমাদেরই দিতে হতো। এক্ষেত্রে আমরা আমাদের একটা প্ল্যান্ট চলমান রয়েছে, আমরা ঐ প্ল্যান্টটা ছাড়া সকল মিটারই প্রিপেইড করে দিয়েছি। এ কারণে পৌরসভার বিদ্যুৎ খাতে কোনো কিছু বকেয়া থাকার কোনো সুযোগ নেই। বিদ্যুৎ বিলও কমে এসেছে। এটিও আমাদের বড় অর্জন।
শহরে ব্যাপক পরিমাণে ইজিবাইক চলতো। এর মধ্যে গত বছর ২৮০০ ইজিবাইক লাইসেন্স প্রদান করা হয়েছিল। ঐসব ইজিবাইকের লাইসেন্স প্লেটগুলো কপি বা নকল করা যেতো। যার ফলে পৌরসভা থেকে প্রদানকৃত লাইসেন্সবাহী ইজিবাইক ছাড়া লাইসেন্স নকল করে আরো বেশ কিছু ইজিবাইক চলতো। যা যাচাই-বাছাই করা আমাদের জন্যে কষ্টসাধ্য ছিল। এ বছর আমরা নতুন করে ইজিবাইকের লাইসেন্স দেয়া বন্ধ রেখে পূর্বেকার শুধুমাত্র ২,৬২৭টি ইজিবাইককে ডিজিটাল লাইসেন্স প্রদান করেছি। এতে শহরে ডিজিটাল লাইসেন্স ছাড়া কোনো ইজিবাইক চলতে পারবে না বলে আশা করছি। কারণ এই নাম্বার প্লেটগুলো কপি করা সম্ভব নয়। এছাড়া বর্তমান লাইসেন্সবিহীন ইজিবাইক যাচাই করার জন্য প্রতিদিনই পৌরসভার ৭/৮টি টিম কাজ করে যাচ্ছে। আমার মনে হচ্ছে, শহরে কিছুটা হলেও যানজট কমে এসেছে। আমাদের এই অভিযানগুলো নিয়মিত চলবে। আশা করি ভবিষ্যতে চাঁদপুর শহর যানজটমুক্ত হবে। সবচেয়ে মজার কথা হলো, ইজিবাইকের এই ডিজিটাল সিস্টেমটা বাংলাদেশের অনেক পৌরসভাই এখন গ্রহণ করে বাস্তবায়ন করছে।
এছাড়া চাঁদপুর পৌরসভায় আমরা বিগত ১ বছরে আমাদের নিজস্ব আয় থেকে প্রায় ৪ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ করেছি। আমি চাঁদপুর পৌরবাসীকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, আমরা যদিও এখনো প্রত্যাশার জায়গাটায় আসতে পারিনি, এটা আমি স্বীকার করছি। যদিও এক বছরের মধ্যে এটা সম্ভব নয়। তবে আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারে আমি যেসব ওয়াদা করেছি, আশা করি আগামী ৪ বছরে চেয়েও বেশি কাজ আমি বাস্তবায়ন করবো।
চাঁদপুর শহরের সড়ক নিয়ে আলোচনায় পৌর মেয়র বলেন, চাঁদপুর একটি পুরানো শহর। শহরের রাস্তাগুলো প্রশস্ত করার সুযোগ একেবারেই কম। শহরে অপরিকল্পিতভাবে যে পরিমাণ ভবন উঠেছে, অধিকাংশ ভবনই পৌরসভার নিয়মকানন মেনে করা হয়নি এবং সেগুলো পর্যাপ্তভাবে তদারকিও করা হয়নি। এ শহরের রাস্তাগুলো প্রশস্ত করা এখন কঠিন আমাদের জন্যে। শহরের শত শত ভবন ভেঙ্গে ফেলা কিন্তু আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। আমরা এখন মনোযোগ দিয়েছি, শহরের মোড়গুলো যতোটা প্রশস্ত করা যায়। আমরা শহরের চিত্রলেখা মোড়ে কাজ করেছি, কালীবাড়ি মোড়ে কাজ করেছি। এখন আমরা নতুনবাজারে কাজ করছি। একে একে আমরা শহরের মোড়গুলোকে যতোটা প্রশস্ত করা যায়, আমরা তা-ই করবো। পাশাপাশি অনেক নতুন নতুন রাস্তা বা বিকল্প রাস্তা করার পরিকল্পনা করছি। বিকল্প রাস্তা ছাড়া এই শহরের যানজট থেকে মুক্তি পাবার কোনো সুযোগ নেই। সরকারের যে বড় বড় প্রকল্প আসছে, আমরা সেই প্রকল্পে অনেক নতুন নতুন রাস্তা করার পরিকল্পনা করছি। আমি বিশ^াস করি, সরকারের প্রকল্পগুলো চলে আসলে এবং বিকল্প রাস্তাগুলো তৈরি হলে শহরের যানজট অনেকটাই নিরসন হবে। এছাড়া পুরানো রাস্তাগুলো যতটুকু সম্ভব, আমরা সংস্কার করবো। কারণ শহরের অধিকাংশ রাস্তাই ভাংগা। ঐসব রাস্তা সংস্কার করা একান্ত প্রয়োজন।
পৌর মেয়র বলেন, আপনারা জানেন, এই শহরের দুই-তৃতীয়াংশ নতুনভাবে চাঁদপুর পৌরসভার সাথে যুক্ত হয়েছে। যেহেতু ঐ নতুন এরিয়াগুলোতে আমরা এখনো পৌরসভার নাগরিক সুবিধাগুলো দিতে পারিনি, সেক্ষেত্রে আমরা পৌরসভার টেক্সসহ অন্যান্য ইনকাম তাদের থেকে আদায় করতে পারছি না। এই পরিষদের জন্য নতুনভাবে সংযুক্ত দুই-তৃতীয়াংশ এরিয়া হচ্ছে চ্যালেঞ্জ। সরকারের যে বড় বড় প্রকল্প হবে সেটা নতুনভাবে সংযুক্ত দুই-তৃতীয়াংশ এরিয়াতে হবে। আমরা ঐসব এরিয়ার সকল কাঁচা রাস্তাই পাকা করে ফেলবো আশা করি। ঐ প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি বলেছেন, যা যা দরকার এবং যেখানে যা করা লাগবে, তিনি সেই চেষ্টা করবেন এবং করছেন।
তিনি বলেন, শহরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও নিরাপত্তার জন্য শহরের সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো একেবারেই জরুরি হয়ে পড়েছে। এই লক্ষ্যে চাঁদপুর পৌরসভা একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে যে, আপাতত ৫শ’ সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়ে চাঁদপুর পুরো শহরকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা। চাঁদপুর পৌরসভা ও শিক্ষামন্ত্রীর অর্থায়নে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে। আশা করি, শহরে ৫শ’ ক্যামেরা লাগালে পুরো শহরটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও নিরাপত্তা বলয়ে চলে আসবে। এটি চাঁদপুর পৌরসভা যেমন ব্যবহার করবে, তেমনি জেলা পুলিশও এটি ব্যবহার করতে পারবে। পৌরসভার পাশাপাশি পুলিশের এরিয়াতেও একটি কন্ট্রোল সেন্টার খোলা হবে। যাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে তারাও এটি কাজে লাগাতে পারে। পৌরসভা ও পুলিশ এই প্রকল্পটি যৌথভাবে পরিচালনা করবে।
চাঁদপুর শহরের স্তূপীকৃত ময়লা আর্বজনা বিষয়ে পৌর মেয়র বলেন, শহরের সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমকে যতোটা আধুনিক করা যায়, সেই পরিকল্পনা আমাদের আছে। আমরা শহরের ময়লা দ্রুত অপসারণের লক্ষ্যে বেশ কিছু যানবাহন ও মেশিনারী ক্রয়ের প্রক্রিয়া করছি। এছাড়া একটি বেসরকারি দাতা সংস্থার সাথে আমাদের কথা হয়েছে, তারা ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে আমাদেরকে সহায়তা করবে। আমাদের ঐ প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলে ভবিষ্যতে আর রাস্তার পাশে ময়লা আবর্জনার স্তূপ থাকবে না। সরাসরি বাসা-বাড়ি থেকে ময়লা সংগ্রহ করে তা’ ডাম্পিং স্টেশনে চলে গিয়ে তা ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে সম্পদে পরিণত হবে।
নাগরিক সনদসহ সকল সনদ ডিজিটালভাবে প্রদানের বিষয়ে পৌরসভার মেয়র বলেন, চাঁদপুর পৌরসভায় একটি নাগরিক সেবা ডেস্ক খোলা হয়েছে। এখানে নাগরিকরা সনদসহ সকল সনদ বিষয়ে যোগাযোগ করলে তারাই তা দ্রুত বাস্তবায়ন করছে। কিছুদিন পরে পৌরসভার নাগরিকগণ সকল সনদ সেবা ঘরে বসেই নিতে পারবে। তবে এ বিষয়টি সম্পূর্ণ পাইলটিং অবস্থায় আছে। আগামী ১ মাসের মধ্যে পাইলটিং শেষ করে পুরোদমে কাজ শুরু করবো। এখানে কাজ করতে গিয়ে বেশ জায়গায় এরোর আসছে। আমরা ঐ এরোরের জায়গাগুলোতে কাজ করছি। অতিশীঘ্রই আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি পৌরবাসীকে উপহার দিবো। তখন তারা এই ইস্যুগুলোর জন্য পৌরসভায় আর আসা লাগবে না, ঘরে বসেই তারা তাদের প্রয়োজনীয় চাহিদার কাজগুলো সমাপ্ত করতে পারবে।
পৌরসভার কাউন্সিলরদের কার্যক্রম বিষয়ে পৌর মেয়র বলেন, পৌরসভার ১৫টি ওয়ার্ডের প্রতিটি কাউন্সিলরের পৌরসভায় সর্বদা কাজ করা বা অবস্থান করার কথা নয়। তারা তাদের নিজ নিজ এলাকায় অবস্থান করে পৌরবাসীর সমস্যার সমাধান করবেন। যেহেতু আমাদের পৌরসভার প্রতিটি কাউন্সিলরের নিজস্ব কোনো কার্যালয় নেই, ফলে পৌর কাউন্সিলররা তাদের কার্যক্রম বাস্তবায়নে পৌরসভায় এসে বসতে হচ্ছে। আশা করি, আমরা অতিশীঘ্রই প্রতিটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলরদের জন্য নিজস্ব কার্যালয় স্থাপন করতে পারবো। ফলে কাউন্সিলররা ঐখানে বসেই তাদের কার্র্যক্রম সম্পাদন করবেন।
পৌরসভার কাজের মানের ক্ষেত্রে এবং সেবার ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেয়া হবে না। অতিতে কী হয়েছে এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে চাই না। তবে এখন যে কাজ হচ্ছে, প্রতিটা কাজই আমি নিজে তদারকি করছি। অদূর ভবিষ্যতে আমার সময়কালে কোনো কাজ নিয়ে প্রশ্ন উঠবে না যে, নির্ধারিত সময়ের আগেই রাস্তা ভেঙ্গে গেছে বা জিনিসটি নষ্ট হয়ে গেছে। এ বিষয়ে কোনো ছাড় দেয়া হবে না এবং আমার সময়কালে হয়নি।
চাঁদপুর পৌরসভার দখলকৃত ও অরক্ষিত খালগুলোর ব্যাপারে পৌর মেয়র বলেন, আমাদের পৌরসভায় ৬টি খাল রয়েছে। প্রায় সব খালই ভূমিদস্যুর কবলে বা অবৈধভাবে দখল হয়ে আছে। আমাদের সরকারের একটা খালখনন প্রকল্প আছে। ঐ প্রকল্পের আওতায় আমরা এই ৬টি খালকে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করছি এবং সেই প্রস্তাবনা সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন দাতা সংস্থার কাছে পাঠানো হয়েছে। এই প্রস্তাবনাগুলো পাস হলে আশা করি, আমরা খালগুলোর নাব্যতা ফিরিয়ে আনার জন্য খালগুলো পুনরুদ্ধার করবো। আর এই খালগুলোতে বহুতল ভবন থাকলেও আমরা তা ভেঙ্গে ফেলে খালগুলো উদ্ধার করবো।
সাক্ষাৎকারে শেষে পৌর মেয়র বলেন, পৌরসভা জনগণের একটি প্রতিষ্ঠান। আগামী ৪ বছর পৌরসভার প্রতিটি কাজে আমি আপনাদের মাধ্যমে পৌরবাসীর সহায়তা চাই।