প্রকাশ : ২২ অক্টোবর ২০২১, ১৮:১৫
কচুয়ায় তালা মেরে মাদ্রাসা দখল : বন্ধ পাঠদান কার্যক্রম
কচুয়ার কোমরকাশা জামালিয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার শ্রেণি কক্ষে তালা দেয়ায় বন্ধ হয়ে পড়েছে পাঠদান কার্যক্রম।
|আরো খবর
এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার মাদ্রাসার সুপার মাও. আবু সালেহ কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপায়ন দাস’র বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কচুয়া উপজেলার সদর উত্তর ইউনিয়নে অবস্থিত কোমরকাশা জামালিয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা। স্থানীয় দানবীর মো. আম্বর আলী ১৯৮৪ সালে রেজিষ্ট্রিকৃত দানপত্র দলিলমূলে ৬৫ নং কোমরকাশা মৌজার ১০৪নং দাগের আন্দরে ২০ শতাংশ জমি মাদ্রাসার নামে দান করেন। উক্ত দাগে অবস্থিত মাদ্রাসার ৩টি শ্রেণি কক্ষ ও ৪টি দোকানঘর রয়েছে। ২০১২ সালে উক্ত ২০ শতাংশ জমি স্থানীয় প্রভাবশালী মনিরুজ্জামানা গং জোরপূর্বক দখল করার পায়তারা করায় মাদ্রাসা কর্তপক্ষ ওই সময় বিজ্ঞ আদালতে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে একটি মামলা করেন। যা বর্তমানে মামলাটি হাইকোর্টে চলমান রয়েছে।
গত ২০ অক্টোবর বুধবার গভীর রাতে কোমরকাশা গ্রামের অধিবাসী আলতাফ উদ্দিনের ছেলে আবুল বাসার মাদ্রাসার শ্রেণি কক্ষের তালার উপর আরেকটি তালা ঝুলিয়ে দেয়।
ফলে ওইদিন ছাত্র-ছাত্রীরা ক্লাস না করেই বাড়ি ফিরে যায়। মাদ্রাসা কতৃপক্ষ জরুরী মিটিং ডেকে বিষয়টি লিখিতভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবগত করার সিদ্ধান্ত নেন।
অভিযুক্ত স্থানীয় অধিবাসী আবুল বাসারের কাছে মাদ্রাসার শ্রেণিকক্ষে তালা দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এ নিয়ে কথা বলতে অপরাগতা প্রকাশ করেন।
স্থানীয় অভিভাবক আলী আকবর, আবুল কালাম, আবু ইউসুফ ও আরব আলী জানান, দীর্ঘদিন করোনার কারণে মাদ্রাসার পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ থাকার পর এখন ক্লাস শুরু হয়েছে অথচ স্থানীয় প্রভাবশালী আবুল বাসার গং মাদ্রাসার শ্রেণি কক্ষে তালা দেওয়ায় পুনরায় আমাদের ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া বিঘ্ন ঘটবে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আলী আশ্রাফ খান জানান, এ বিষয়ে ইউনও মহোদয়ের সাথে পরামর্শক্রমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপায়ন দাস শুভ বলেন, মাদ্রাসা শ্রেণি কক্ষে তালা লাগানোর বিষয়ে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ঘটনায় এলাকাবাসী, শিক্ষক, অভিভাবকদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করতে দেখা গেছে।