শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।

প্রকাশ : ১৮ অক্টোবর ২০২১, ১৯:৫৮

জনগণের দুর্দশার কথা চিন্তা করেই আবার চেয়ারম্যান হতে চাই : স্বপন মিয়াজী

এমরান হোসেন লিটন
জনগণের দুর্দশার কথা চিন্তা করেই আবার চেয়ারম্যান হতে চাই : স্বপন মিয়াজী

ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১ নং বালিথুবা পশ্চিম ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সাবেক সফল চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন স্বপন মিয়াজীর নজর এখন আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ১নং বালিথুবা পশ্চিম ইউনিয়নকে একটি আদর্শ ইউনিয়ন রূপে রূপান্তরিত করা। সে লক্ষ্যে তিনি প্রচার-প্রচারনাও শুরু করে দিয়েছেন আরো আগ থেকেই।

প্রতিদিনই তিনি কোন না কোন এলাকায় গণসংযোগ করে সকলের দোয়া ও সমর্থন কামনা করছেন। ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১নং বালিথুবা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি, উপজেলা যুবদলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি, উপজেলা বিএনপির সাবেক জয়েন্ট সেক্রেটারি, জেলা যুবদলের সাবেক জয়েন্ট সেক্রেটারি, জেলা বিএনপির সাবেক সম্মানিত সদস্য, বর্তমান ফরিদগঞ্জ উপজেলা বিএনপি'র সম্মানিত সদস্য ও বর্তমানে ১নং বালিথুবা পশ্চিম ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এবং প্রায় চল্লিশটি রাজনৈতিক মামলা ও একাধিকবার জেলখাটা রাজনৈতিক ব্যক্তি জসিম উদ্দিন স্বপন মিয়াজী ফরিদগঞ্জের ১নং বালিথুবা ইউনিয়নের সকদিরামপুর মিয়াজী বাড়ির মরহুম ইউসুফ মিয়াজীর ছোট সন্তান।

জানা যায়, আগামী ডিসেম্বর মাসে ফরিদগঞ্জের ১নং বালিথুবা পশ্চিম ইউনিয়ন সহ কয়েকটি ইউনিয়নের ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। তাই জসিম উদ্দিন স্বপন মিয়াজী গত কয়েকদিন আগে থেকেই সেই নির্বাচনে নিজকে একজন প্রার্থী হিসেবে প্রচার প্রচারণা শুরু করেন।

আগামী ইউপি নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ছাত্রজীবনে ৯৫ সালে ইউপি সদস্য হিসেবে নির্বাচন করি। সে সময় বিশাল ব্যবধানের ভোটে এলাকার মানুষ আমাকে ইউপি সদস্য হিসেবে নির্বাচিত করেছিলেন। এবং ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়ে নিজ ওয়ার্ডসহ সমগ্র ইউনিয়নে আমি উন্নয়নে অবদান রাখি। পরে ২০০১ সালের ইউপি নির্বাচনে আমি সরাসরি চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করি। সেই নির্বাচনে এলাকার মানুষ আমার কর্মদক্ষতাকে উপলব্ধি করে বিশাল ব্যবধানে আবার আমাকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেন। এবং আমি টানা সাড়ে নয় বছর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করি। এবং চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনকালে কখনো তিনি অনুভব করেন না কে আওয়ামী লীগ, কে বিএনপি, বা কে অন্য কোন দলের। সকলের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে ইউনিয়নের উন্নয়নের দিক চিন্তা করে কাজ করেছি। তিনি আরো বলেন ২০১০ সালে যখন আমার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব শেষ হয়, তখন ইউনিয়নকে যেভাবে রেখে গেছি, এখনো দেখছি ঠিক সেইভাবেই রয়ে গেছে। আমার পরে দুইজন চেয়ারম্যান তাদের দায়িত্ব পালন করে গেলেও অত্র ইউনিয়নে আশানুরূপ কোনো উন্নয়ন হয়না। সকালে এবং বিকেলে ইউনিয়নের যেদিকেই জাই, মানুষের অভাব অনটন আর অভিযোগের ফিরিস্তি শুনে বাড়িতে আসতে হয়। তাই জনগনের দুর্দশার কথা চিন্তা করেই আবার চেয়ারম্যান হতে আগ্রহ পোশন করি।

সামাজিক নানা উন্নয়ন কাজ সর্ম্পকে তিনি বলেন, দলের উল্লেখযোগ্য দায়িত্বগুলো পালন কালে দল থেকে যা কিছু পেয়েছি এবং আমার ব্যক্তিমালিকানাধীন বিভিন্ন ব্যবসা থেকে এবং নিজের পরিশ্রমের যৎসামান্য উপার্জন হতে বিভিন্ন দুর্যোগপূর্ণ সময়ে গরিব-দুঃখীদের বিভিন্ন্ ভাবে সহযোগিতা করেছি। তিনি আরো বলেন ইউপি সদস্য থাকাকালীন এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান থাকাকালীন সময়ে সরকারিভাবে যে সম্মাননা পেয়েছি তাহা কখনো আমি ভোগ করিনা। সেই সম্মানী ইউপি সচিব এবং দপেদারের মাধ্যমে উত্তোলন করে গ্রাম পুলিশ এবং গরিবদের মধ্যে বিলিয়ে দিয়েছি।

দলীয়ভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণে বাধা প্রসঙ্গে তিনি বলেন ‘আমি একজন বিএনপি পাগল মানুষ। আমার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার এবং সামাজিক অবস্থান অনেক ঊর্ধ্বে। ফরিদগঞ্জ উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতিগন এবং বর্তমান সভাপতি এবং চাঁদপুর জেলা বিএনপির প্রধান কান্ডারী শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক ভাই সহ অন্যান্য সিনিয়র নেতৃবৃন্দ জানে তৃণমূল থেকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপিকে সু-সংগঠিত করতে আমি কি ধরনের পরিশ্রম করেছি। গত জাতীয় নির্বাচনে বিভিন্ন রকম হয়রানিকে তোয়াক্কা না করে দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ের জন্যে রাজনীতির মাঠে নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছি। এছাড়া গত ৩৫ বছর ধরে বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছি।

আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি কোনোভাবেই অংশগ্রহণ করবে না। তাই এই মুহূর্তে আমি চেয়ারম্যান প্রার্থী হলে দলীয় ভাবে সহযোগিতা পাওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না। আমি চেয়ারম্যান প্রার্থী হচ্ছি শুধু এলাকাবাসীর বিশেষ অনুরোধের কারণে এবং জনগণের দুর্দশার কথা চিন্তা করে ।

জনসাধারণের কাছে দোয়া ও সমর্থন চেয়ে তিনি বলেন, ১ নং বালিথুবা ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করার যথা উপযুক্ত জ্ঞান আল্লাহ তাআলা আমাকে দিয়েছেন। এবং অত্র ইউনিয়নে আমার জনপ্রিয়তা ও কেমন সেটাও সবাই ভালো জানেন। কোন প্রতীক নয়, সুষ্ঠু ভোট হলে এমনিতেই আমি চেয়ারম্যান হব আশা করি। তার পরেও দেশ ও জনগণের ভাগ্য উন্নয়নে যিনি গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনার জন্য মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে গিয়েও আমাদেরকে নিয়ে গণতন্ত্রের সুরক্ষায় আন্দোলন করে যাচ্ছেন তিনি হলেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে গিয়ে তিনি আমাদেরকে সন্তানের মতো স্নেহ করে গণতন্ত্রকে সুরক্ষার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। আমি ১ নং বালিথুবা ইউনিয়নের গণতন্ত্রকামী সকলের সমর্থন নিয়ে গণতন্ত্র সুরক্ষার নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার হাতকে আরো শক্তিশালী করতে চাই। এবং অত্র ইউনিয়ন বাঁশির দীর্ঘদিনের দুর্দশাগ্রস্ত পরিবেশ দূর করে একটি সুন্দর ইউনিয়ন উপহার দিতে চাই।

উল্লেখ্যঃ জসিম উদ্দিন স্বপন মিয়াজী ১৯৭২ সালে জন্মগ্রহণ করেন। এবং ১৯৮৭ সাল থেকে জসিম উদ্দিন স্বপন মিয়াজী সক্রিয়ভাবে বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত হন। জসীমউদ্দীন স্বপন মিয়াজী ইতিপূর্বে বিএনপির রাজনীতি করতে গিয়ে বিভিন্ন সময় গনতান্ত্রিক আন্দোলনে দলের হয়ে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে একাদিক বার জেল- জুলুম- মামলা- হামলার স্বীকার হয়েছেন। এবং রাজনৈতিক সূত্র ধরে চান্দ্রা বাজারে তার মার্কেটে এবং তার বসত বাড়িতে একাধিকবার সন্ত্রাসী হামলা করা হয়। পারিবারিকভাবে জসিম উদ্দিন স্বপন মিয়াজী বিবাহিত। তার স্ত্রী উম্মে সালমা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষিকা। তার এক ছেলে এবং এক মেয়ে রয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়