শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬  |   ৩৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   দিনমজুরকে জবাই করে হত্যা, ৪৪ দিন পর লাশ উত্তোলন
  •   অবশেষে চাঁসক সহকারী অধ্যাপক কামরুল হাছানকে বদলি
  •   নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে সড়কের ওপর ভবন নির্মাণের অভিযোগ
  •   বাবা মায়ের উপর ছেলেদের নৃশংসতা ।। বৃদ্ধ বাবার থানায় অভিযোগ
  •   ফিরে এলেন আগের খতিব, নামাজের আগে নাটকীয়তা বায়তুল মোকাররমে

প্রকাশ : ০৪ অক্টোবর ২০২১, ১৯:২৮

অসহায় গ্রাম পুলিশের পরিবারের পাশে হাইমচর ওসি

মোঃ সাজ্জাদ হোসেন রনি
অসহায় গ্রাম পুলিশের পরিবারের পাশে হাইমচর ওসি

বর্তমানের বাংলাদেশ পুলিশের কিছু ব্যাক্তি তাদের আদর্শ ও মানবিকতার ওপড়ে অটল থেকে অসহায় মানুষের পাশে প্রতিনিয়ত দাঁড়াচ্ছেন। জনগনকে আশ্বস্ত করছেন যে পুলিশ সত্যিকার অর্থে জনগনের কতটা আপন হতে পারে। তেমনই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার হাইমচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মাহবুবুর রহমান মোল্লা।

তিনি হাইমচর থানায় যোগদান করার পর থেকে আইনশৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের পাশাপাশি কোন না কোন ভাবে নিজেকে মানবিক কাজে নিয়োজিত রেখেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় আজ সোমবার (৪ অক্টোবর) হাইমচরে করোনার উপর্সগ নিয়ে মৃত্যু বরণ করা গ্রাম পুলিশ বিল্লাল হোসেন দেওয়ানের অসহায় পরিবারের পাশে মানবিক আর্থিক সহযোগীতা নিয়ে পাশে দাড়িয়েছেন।

জানা যায়, গত ২৯ জুলাই করোনায় উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করেন গাজিপুর ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ বিল্লাল দেওয়ান। তার মৃত্যুর পর থেকে স্ত্রী ৩ ছেলে ও ২ মেয়ে নিয়ে অসহায় হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করেন। ৪ অক্টোবর হাইমচর থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাহবুবুর রহমান মোল্লা মৃত গ্রাম পুলিশের পরিবারের খোঁজ খবর নেন ও জেলা পুলিশের মানবিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এবং থানা পুলিশের পক্ষ থেকে মানবিক আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন। ভবিষ্যতে যে কোন ধরনের সাহায্য সহযোগীতা নিয়ে ঐ পরিবারের পাশে থাকারও আশ্বাস প্রদান করেন তিনি।

হাইমচর থানা অফিসার ইনচার্জ মো. মাহবুবুর রহমান মোল্লা বিডি সমাচার কে জানান, গ্রাম পুলিশ বিল্লাল দেওয়ান করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করার পর থেকে তার পরিবার ছেলে মেয়েদের নিয়ে অসহায় হয়ে পড়ে। আমি চাঁদপুর জেলা পুলিশ সুপার মো. মিলন মাহমুদ বিপিএম (বার) মহোদয়ের নির্দেশক্রমে জেলা পুলিশের মানবিক কার্যক্রম এর অংশ হিসেবে এ অসহায় পরিবারের খোঁজ খবর নিয়ে তাকে মানবিক আর্থিক সহায়তা প্রদান করি।

তিনি বলেন, আমি চেষ্টা করি আমার দ্বায়িত্ব পালনের পাশাপাশি মানবিক সহযোগীতা নিয়ে অসহায় মানুষজনের পাশে দাঁড়াতে। কোন এক সময় এই থানায় হয়তো আমি থাকবো না। তখন আমার এ কর্ম-ই মানুষের মনে স্মরন হয়ে থাকবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়