প্রকাশ : ০৩ অক্টোবর ২০২১, ১৪:৫১
ফরিদগঞ্জের পাইকপাড়ায় জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তার বেহাল দশা, জনদুর্ভোগ চরমে
চাঁদপুর ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৭নং পাইকপাড়া উত্তর ইউনিয়নের কড়ৈতলী বাজার হতে পাটোয়ারী বাজার অভিমুখী রাস্তাটি একটি জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। এক কিলোমিটার এই জনগুরুত্বপূর্ণ কাঁচা রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন আট থেকে দশটি স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী, তিন থেকে চারটি বাজারের যাতায়াতকারী ব্যবসায়ী ও ক্রেতা এবং এলাকার হাজারো মানুষের চলাচলের একমাত্র এই জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটির বর্তমানে বেহাল দশা অবস্থা বিরাজ করছে।
|আরো খবর
এক কিলোমিটার দীর্ঘ এই কাঁচা রাস্তাটি পাকাকরণের দাবি দীর্ঘদিনের। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এর উন্নয়নে নজর না দেয়ায় রাস্তাটি এখন পথচারীদের নিত্যদিনের চরম দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
প্রতিদিন জনগুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তাটি দিয়ে ওই এলাকার ছাত্র-ছাত্রীরা কড়ৈতলী উচ্চ বিদ্যালয়, কড়ৈতলী ফাজিল মাদ্রাসা, পাইকপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়, শাশিয়ালী উচ্চ বিদ্যালয়, শাশিয়ালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বালীথুবা আব্দুল হামিদ উচ্চ বিদ্যালয়, সাচিয়া খালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ শাশিয়ালী এম এ বারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ আরো কয়েকটি স্কুলের ছাত্রছাত্রী এবং পাটোয়ারী বাজার, কড়ৈতলী বাজার, শাহী বাজার সহ কয়েকটি বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতা সহ অত্র অঞ্চলের প্রায় ১০ টি গ্রামের মানুষ চলাচলের একমাত্র প্রধান মাধ্যম এই রাস্তাটি। কিন্তু সামান্য বৃষ্টি হলেই জনবহুল এই রাস্তাটি কাদা এবং গর্তের কারণে যানবাহন তো দুরের কথা পায়ে হেঁটে মানুষের চলাচল কঠিন হয়ে পড়ে।
বিশেষ করে এই অঞ্চলের মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়লে, এবং প্রেগনেন্সি কারণে কোন রোগীকে চাঁদপুর অথবা যে কোন হসপিটালে নিতে এই রাস্তাটি ব্যাপক বিপদসংকুল হয়ে পড়ে।
কড়ৈতলী বাজার হতে পাটোয়ারী বাজার অভিমুখী এই রাস্তাটি এক কিলোমিটার ও না, কিন্তু অন্য পাকা রাস্তা হয়ে ঘুরে যেতে কড়ৈতলী বাজার থেকে পাটোয়ারী বাজার যেতে প্রায় ৬ কিলোমিটার দূর দিয়ে ঘুরে যেতে হয়। অথচ এই রাস্তাটি পাকা করে দিলে অনায়াসে কয়েক মিনিটে কড়ৈতলি বাজার হতে পাটওয়ারী বাজার যাওয়া সম্বভ।
এব্যাপারে ওই এলাকায় সরাসরি গেলে, এলাকাবাসি জানান, তাদের ধারণা, তারা মনে হয় অত্র ইউনিয়নের অথবা বাংলাদেশের কোন বাসিন্দা নন, কারণ জনগুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তাটির উন্নয়নে কখনো কোনো চেয়ারম্যান এবং মেম্বার রাস্তাটি সংস্কারের এক টুকরি মাটি অথবা ইটের সুকরি ফেলে গর্ত গুলো ভরাট করে দেওয়ার কোনো উদ্যোগ নেয়নি। শুধু ভোটের সময় ঘনিয়ে আসলে রাস্তাটি পাকা করার জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের কাছে রাস্তাটি করে দেওয়ার আশ্বাস শোনা যায়। কিন্তু ভোট চলে গেলে পরে আর কিছুই হচ্ছে না।
দেশের বিভিন্ন স্থানে, বিভিন্ন জায়গায় জনগুরুত্বপূর্ণ হীন অনেক স্থানে খামোখা পাকা সড়ক নির্মাণ করে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তাটির কোন উন্নয়ন হচ্ছে না। ওই এলাকার দক্ষিণ শাশিয়ালী এম এ বারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাসলিমা আক্তার ও সংবাদকর্মী এবং শিক্ষক আমানুল্লাহ খান ফারাবী বলেন জনগুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তাটির বেহাল দশার কারণে, প্রতিদিন বিদ্যালয়ে আসতে খুব কষ্ট হয়। রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন আমাদের বিদ্যালয় ছাড়াও আট থেকে দশটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং কয়েকটি বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতা এবং অত্র অঞ্চলের হাজারো মানুষ এই কাদার মধ্যে দিয়ে হেঁটে চলাচল করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
অত্র অঞ্চলের বয়োবৃদ্ধরা জানান কড়ৈতলী বাজার হতে পাটোয়ারী বাজার অভিমুখী এই কাঁচা রাস্তাটি সেই পাকিস্তান আমল থেকে একটি জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। কিন্তু আশানুরূপ উন্নয়নের ছোঁয়া না লাগায় রাস্তাটির বেহাল অবস্থার আজও উন্নয়ন হয়নি। কর্তৃপক্ষ রাস্তাটির জনগুরুত্বপূর্ণতা যাচাই করে তড়িৎ ব্যবস্থা নেবেন বলে সকলের বিশ্বাস।