মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল, ২০২৫  |   ২৭ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইউসুফ গাজী গ্রেফতার

প্রকাশ : ২১ এপ্রিল ২০২৫, ১৬:৪৬

স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পেলেন জিয়া মঞ্চের সভাপতি পদ

স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পেলেন জিয়া মঞ্চের সভাপতি পদ
নোয়াখালী প্রতিনিধি

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার হরণী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক জামসেদুল ইসলাম টুটুলকে একই ইউনিয়নের জিয়া মঞ্চের সভাপতি করা হয়েছে। এতে দলটির নেতা-কর্মী ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, টুটুল ছিলেন উপজেলার হরণী ইউনিয়ন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক। স্থানীয় সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলীর অনুসারী এবং সকল সভা সেমিনারে এক সময় সক্রিয় ছিলেন। নিয়েছেন দলীয় সুযোগ সুবিধা। গত ২৮ নভেম্বর জিয়া মঞ্চের হাতিয়া উপজেলার হরণী ইউনিয়ন শাখার ২০ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে জামসেদুল ইসলাম টুটুলকে সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। এর আগে তিনি একই ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক দলীয় নেতা-কর্মী জানান, বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের দমন নিপীড়নে সহযোগিতা ছিলো টুটুলের। সরকার পতনের পর এই ব্যক্তি কীভাবে নিজেকে বিএনপি'র লোক দাবি করে এবং কীভাবে জিয়া মঞ্চের মত সংগঠনের সভাপতি হয় তা বোধগম্য নয় ।

জানতে চাইলে অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে জামসেদুল ইসলাম টুটুল বলেন, সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলী আমাকে জোর করে পদ দিয়েছে। আমি পদ প্রত্যাখ্যান করে এলাকা থেকে বেরিয়ে গেছি। তিন বছর এলাকায় থাকতে পারিনি। রক্তাক্ত অবস্থায় আওয়ামী লীগ আমাকে এলাকা থেকে বিতাড়িত করে। ২০১৮ সালের আগ পর্যন্ত আমি হরণী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ছিলাম। জাতীয় নির্বাচনের সময় সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলী নলের চর ও আলী বাজারের আমার দুটি দোকান বন্ধ করে দেয়। নিরূপায় হয়ে সর্বশেষ আমি তার বাসায় যাওয়া লাগছে। বাসায় যাওয়ার পরে ২০১৮-এর নির্বাচনের সময় আমি তাদের সাথে ছিলাম। এটা সত্য, এরপর আমি নিষ্ক্রিয় হয়ে গেছি।

তিনি আরো বলেন, আমাকে আমার অনুমতি ছাড়া হাতে লিখিত একটি কাগজের মাধ্যমে নয় সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটিতে আমাকে সাধারণ সম্পাদক রাখছে। তৎকালীন সময়ে আমি ওই পদ থেকে পদত্যাগ করি। পদত্যাগ করার পরে আমি এলাকায় থাকতে পারিনি। এরপর আমার ওপর হামলা হয়েছে। আমার দোকান বন্ধ করে দেওয়া হলে আমি এলাকা থেকে চলে যাই। এটা আমার এলাকার সবাই জানে। আমার ফেসবুক পোস্টে সব প্রমাণ আছে আমার অসম্মতিতে আমাকে স্বেচ্ছাসেবক লীগ হরণী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। পরে আমি লিখিতভাবে তা প্রত্যাখ্যান করেছি। আমি হরণী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি ছিলাম। তৎকালীন আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করাসহ আমাকে অনেক নির্যাতন করা হয়েছে।

হাতিয়া উপজেলা জিয়া মঞ্চের শাখার সাধারণ সম্পাদক রিপন চন্দ্র দাস বলেন, টুটুলকে ২০১৭ সালের দিকে হরণী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি করা হয়। বিষয়টি আমাদের জানা ছিল না। বিষয়টি জানার পর ওই কমিটি স্থগিত করা হয়েছে। তবে ২০১৮ সাল থেকে টুটুল আমাদের সাথে বিএনপির রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলো।

যোগাযোগ করা হলে নোয়াখালী জেলা জিয়া মঞ্চের আহ্বায়ক মো. মনির হোসেন বলেন, টুটুল এক সময় ছাত্রদল করতেন। ২০২০ সালের পর থেকে তিনি ফেসবুকে সরকারবিরোধী ব্যাপক পোস্ট করেন। তবে অভিযোগ পাওয়ার পর পুরো কমিটি বাতিল করা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়