প্রকাশ : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৯:১৮
ফরিদগঞ্জ সাবরেজিষ্ট্রী অফিসের জরাজীর্ণ দশা : ছাদ চুঁইয়ে পড়ছে পানি
ফরিদগঞ্জ উপজেলা সাব-রেজিষ্ট্রী অফিসের জরা-জীর্ণ দশা দির্ঘদিন যাবত চলে আসছে। বার বার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েও নতুন ভবনের বরাদ্দ করানো সম্ভব হয়ে উঠেনি। তাছাড়া চরম ঝুঁকির মধ্যে অফিস কাজ চললেও এ পর্যন্ত গনপূর্ত বিভাগ ভবনটিকে পরিত্যাক্ত ঘোষণা দেওয়ার সুযোগ করতে পারেনি।
|আরো খবর
স্বাধীনতা উত্তর ১৯৬৯ সনে দ্বিতল বিশিষ্ট এই ভবনটি নির্মাণ করার পর ক্ষুদ্র মেরামত ছাড়া বড় ধরণের কোন মেরামত কাজ হয়নি। অতি গুরুত্বপূর্ণ রেকর্ড রুমে অল্প বৃষ্টিতেই ছাদ চুঁইয়ে পানি পড়ছে। ফলে গুরুত্বপূর্ণ দলীল, নথিপত্রগুলো ভিজে বিনষ্ট হয়ে বেকায়দায় পড়তে হচ্ছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও লোকজনকে। কর্মকতা- কর্মচারীদের কক্ষগুলো বাস অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সাব-রেজিষ্ট্রারের অবস্থানের কক্ষটির ছাদেও পলেস্তরা উঠে গিয়ে রড ভের হয়ে থাকতে দেখা গেছে। তাছাড়া প্রতিনিয়ত খসে পড়ছে পলেস্তরা, কখনও দলীলের উপর আবার কখনও কর্মকর্তা/কর্মচারীদের মাথায়। যে কোন মুহূর্তে ছাদ ধসে বড় ধরণের দূর্ঘটনার আশংকা করছে সংশ্লিষ্টরা।
এ দপ্তরটিতে পদ সংখ্যার বিপরীতে ৬ জন জনবল দিয়ে চলছে অফিস কাজ। শূন্য পদ না থাকলেও বিশাল উপজেলা হওয়ায় পদ সংখ্যা সৃজন পূর্বক জনবল বৃদ্ধি করা দরকার। অপরদিকে দিন-রাত লিখে চলছেন, ৩৬ জন নকল নবিশ। নকল নবিশরা নিয়মিত বেতন প্রাপ্তির ও বেতন বৃদ্ধির দাবী দির্ঘদিন করে আসছে।
এ বিষয়ে, উপজেলা সাব-রেজিষ্ট্রার আশ্রাফুল ইসলামের বক্তব্য হচ্ছে, একাদিকবার জরাজীর্ণ দশা ও নতুন ভবনের জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট চলমান পক্রিয়ার অংশ হিসাবে আমি ও আমার পূর্বের কর্মকর্তারা চিঠি দিয়ে অবহিত করেছেন। এখন পর্যন্ত নতুন ভবনের বরাদ্দ আসেনি। শুধু তাই নয়, চাঁদপুর গণপূর্ত বিভাগকে র্জীণ দশায় অফিস কার্যক্রম চালানো ঝুঁকিতে লিখিত ভাবে জানানোর পরও পরিত্যাক্ত ঘোষনা দূরের কথা পরিদর্শণেও আসেনি কেউ।