প্রকাশ : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৫:৫১
কচুয়ায় এলাকাবাসীর ভরসা বাঁশের সাঁকো
কচুয়া উপজেলার দক্ষিণ কচুয়া ইউনিয়নের হোসেনপুর তালুকদার বাড়ির সংলগ্ন খালের দু’পাশে প্রায় সহস্রাধিক লোকের বাস। তাদের চলাচলের একমাত্র ভরসা বাশেঁর সাঁকোটি ভেঙ্গে যাওয়ায় জনজীবনে দারুণ দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী বহুদিন ধরে সরকারি খরচে একটি ব্রিজ নির্মাণের জন্য জনপ্রতিনিধিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন। কিন্তু ব্রিজের কোন ব্যবস্থা হয়নি। স্থানীয় লোকজনরা কয়েক বছর পর পর নিজ খরচে এ সাঁকোটি নির্মাণ করে আসছে। প্রায় ৩০ ফুট দৈর্ঘে বাঁশের সাঁকোটি বর্তমানে ভেঙ্গে যাওয়ায় মানুষের দুর্ভোগ বেড়ে গেছে।
|আরো খবর
সরেজমিনে গেলে স্থানীয়রা জানান, এলাকাবাসীর চাঁদায় নির্মিত বাঁশের সাঁকো দিয়ে প্রায় ৩ যুগ ধরে ওই খাল ফাঁড়ি দিয়ে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার পড়ুয়া শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় অধিবাসীরা যাতায়াত করে আসছে। এছাড়া বিভিন্ন মাঠের ফসল নিয়ে কৃষকরা এ সাঁকো পার হয় দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে। সাঁকোটির পশ্চিম পাশে রয়েছে হাফেজিয়া মাদ্রাসা, এতিমখানা ও মসজিদ। ছোট ছোট কোমলমতি শিশুরা এ নড়বড়ে সাঁকো পারাপারে প্রায়ই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এছাড়া মুমূর্ষ রোগীদের হাসপাতাল কিংবা ডাক্তারের নিকট আনা নেওয়ায় দারুন বিপাকে পড়তে হয়।
হোসেনপুর গ্রামের ৭০ বছর বয়সি শফিকুল ইসলাম তালুকদার ও সানা উল্লাহ তালুকদার জানান, দীর্ঘ ৩ যুগ ধরে এলাকাবাসী স্বেচ্ছাশ্রমে এ বাঁশের সাঁকোটি নির্মাণ করে চলাচল করে আসছে। তাদের ভোগান্তি কেউই দেখতে আসেন না। তারা আক্ষেপ করে বলেন, তাদের এই ভোগান্তি কবে শেষ হবে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. শরিফুল ইসলাম মানিক জানান, দীর্ঘ অনেক বছর যাবৎ এলাকাবাসী স্বেচ্ছাশ্রমে এই বাঁশের সাঁকোটি নির্মাণ করে চলাচল করছেন। এখন সাকোঁটি ভাংচুর হয়ে পড়ায় জনদুর্ভোগ চরম হয়ে উঠেছে। স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় আবারো সাকোঁটি পুন: নির্মাণে উদ্যোগ নেওয়া হবে।
সদর দক্ষিণ কচুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন লিটন জানান, উক্ত বাঁশের সাঁকোর স্থানে সরকারি অর্থায়নে একটি ব্রিজ নিার্মাণ করার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রকৌশলীর কয়েকবারই দৃষ্টি আকর্শণ করা হয়েছে। আজও কার্যকর কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
এ ব্যপারে এলজিইডির চাঁদপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী ইউনুছ হোসেন বিশ^াস ও কচুয়া উপজেলা প্রকৌশলী সৈয়দ জাকির হোসেন জানান, সাঁকো সরজমিনে পরিদর্শণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।