প্রকাশ : ২২ জুলাই ২০২১, ২১:৫৭
চাঁদপুরের অবস্থা আসলেই ভালো না, লকডাউনে সবাই ঘরে থাকুন : সিভিল সার্জন
'এভাবে চলতে থাকলে চাঁদপুরের হাসপাতাল গুলোতে রোগীদের ঠাঁই দেওয়া অসম্ভব হয়ে পড়বে। দেখা দিবে অক্সিজেন সংকট। আর অক্সিজেন সংকট মানেই মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে থাকা। প্রতিদিনই প্রত্যাশার চেয়েও বেশি রোগী বাড়ছে, রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় আমরা জেলা সদর হাসপাতালের ৩য় তলাকেও করোনা আইসোলেশন ইউনিট ঘোষণা করেছি। কিন্তু এভাবে আর কতদিন? চাঁদপুরের অবস্থা আসলেই ভালো না, লকডাউনে সবাই ঘরে থাকুন।' - খুব করুণ ভাবে কথাগুলো বললেন, চাঁদপুর সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ সাখাওয়াত উল্যাহ।
|আরো খবর
জেলার করোনা সংক্রমিত রোগীদের সেবার নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন চাঁদপুর সিভিল সার্জন। দীর্ঘদিন ধরেই চাঁদপুরের করোনা সংক্রমন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছেন তিনি। ২২ জুলাই চাঁদপুর কণ্ঠের সাথে জেলার বর্তমান করোনা পরিস্থিতি ও তা নিরসনে করণীয় বিষয়ক আলাপচারিতায় তিনি চাঁদপুরের করোনা সংক্রমনের ভবিষ্যৎ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে জেলাবাসীকে অন্তত সামনের লকডাউনটি যথাযথ ভাবে পালন করে ঘরে থাকার জন্য অনুরোধ জানান।
সিভিল সার্জন বলেন, আমাদের দুর্ভাগ্য, চাঁদপুরের অনেক মানুষই করোনাকালীন সংকটকে সংকট মনে করছেন না। সর্দি-জ্বরকে সাধারণ রোগ মনে করে নিজের ইচ্ছে মত ঔষধ খাচ্ছেন, বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন এদের মধ্যকার সিংহভাগই করোনা রোগী। এরাই পুরো জেলায় করোনা ছড়িয়ে দিচ্ছেন। ইচ্ছাকৃত টেস্ট করাচ্ছেন না। যখন গুরুতর অসুস্থ হচ্ছেন তখন আমাদের কাছে আসছেন। আমরা তাকে সেবা দেই, সুস্থ করি ঠিকই কিন্তু আমাদের কাছে আসার আগে তিনি কয়েক শ' লোককে সংক্রমিত করে ফেলেছেন। সংক্রমিতরা একই ভাবে আরো কয়েক শ' লোককে সংক্রমিত করছেন। এভাবে সংক্রমন বেড়েই চলছে।
তাই অন্তত ২৩ তারিখ থেকে শুরু হওয়া ১৪ দিনের লকডাউনটি সবাই মেনে চলুক। তবেই চাঁদপুরকে সুরক্ষিত রাখা যাবে অন্যথায় চাঁদপুরের জন্য অত্যন্ত কঠিন সময় সামনে অপেক্ষা করছে।
উল্লেখ্য, গতকাল বুধবারও চাঁদপুর জেলায় ১০৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এদিনে চাঁদপুরে ২৮৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষায় প্রাপ্ত ফলাফলের ভিত্তিতে শনাক্তের হার ছিলো ৩৭.৭৬ শতাংশ।
নতুন শনাক্ত হওয়া ১০৮ জনের উপজেলা ভিত্তিক সংখ্যা হচ্ছে : চাঁদপুর সদর ৫২, হাজীগঞ্জ ১৯, ফরিদগঞ্জ ১১, কচুয়া ১০, মতলব উত্তর ৬, মতলব দক্ষিণ ৭, হাইমচর ২ ও শাহরাস্তিতে ১ জন।