প্রকাশ : ২১ জুলাই ২০২১, ২২:১৬
গরুর মাংসের কেজি ১০০ থেকে ১৫০ টাকা
চাঁদপুরে বিভিন্ন জায়গায় কোরবানীর গরুর মাংসের কেজি ১০০-১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ঈদুল আজহার দিন বিকেল থেকে জেলার বিভিন্ন স্থানে বিক্রি হচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য কোরবানির মাংস।
|আরো খবর
ঈদুল আজহায় সারাদিন বিভিন্ন এলাকা ও বাড়ি থেকে সংগ্রহ করা কোরবানির মাংস বিক্রি করছে দরিদ্র মানুষগুলো। নিম্ন মধ্যবিত্তদের মধ্যে যাদের মাংসের প্রয়োজন তারা ১০০-১৫০ টাকা কেজি দরে কোরবানির মাংস কিনে নিচ্ছেন ওই স্থানগুলো থেকে।
যারা কোরবানি দিতে পারেননি আবার লজ্জায় কারও বাড়ি গিয়ে মাংস সংগ্রহ করতে পারেনি, মূলত: তারাই তাদের পরিবারের সদস্যদের একটি দিন মাংস খাওয়ানোর জন্য অল্প দামে কেনেন এসব মাংস।
চাঁদপুর শহরের বিভিন্ন এলাকার মোড়ে মোড়ে, বাজারের সামনে ছিল এরূপ মাংস বিক্রেতাদের আনাগোনা। প্রতিবছরই এই দিনে চোখে পড়ে এমন জটলা। এসব মাংসের দাম তুলনামূলক অনেক কম। তাই বাজারে কিংবা কসাইয়ের দোকানে না গিয়ে এখান থেকেই মাংস কেনেন নিম্ন আয়ের মানুষেরা।
বিভিন্ন স্থানে এরূপ মাংস বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যারা এখানে মাংস বিক্রি করছেন তাদের বেশিরভাগই বাড়ি বাড়ি গিয়ে সংগ্রহ করেছেন। এর বাইরে মৌসুমি কসাইয়ের কাজ যারা করেছেন তারাও এসব জায়গায় মাংস বিক্রি করছেন।
আছমা নামের এক নারী মাংস বিক্রেতাকে মুখ ঢাকা অবস্থায় দেখা যায় শহরের কালী বাড়ির রেলওয়ের স্টেশনে। তার সাথে কথা হলে বলেন, আজ সারাদিন আমরা মা-মেয়ে শহরের বিভিন্ন এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রায় ১৫ কেজি মাংস পেয়েছি। যেহেতু, আমাদের মাংস রাখার জায়গা বা ফ্রিজ নেই। তাই ২/৩ কেজি মাংস রেখে বাকিটা বিক্রি করতে এখানে এসেছি। এতে দেখা যায়, হাজার দু’য়েক টাকা আমাদের থেকে যায়।
শহরের পূর্বেকার ছায়াবাণীর সিনেমা হলের সামনেও এরকম জটলা দেখা যায়। সেখানে কথা হয় মৌসুমি কসাই দিল মোহাম্মদের সাথে। সে অবশ্য রিক্সা চালায়। এ দিনটায় সে ও তার বন্ধু কসাইয়ের কাজ করে। তিনি বলেন, যাদের গরু কাজ করেছি, তারা আমাদের দু’জনকে ১০/১২ কেজি মাংস দিয়েছে। এছাড়া গরুর পায়াগুলোও দিয়ে দিয়েছে। বাড়ির জন্য কিছুটা রেখে বাকিগুলো বিক্রি করতে এসেছি।
ওখানেই কথা হয়, আবুল নামের এক ক্রেতার সাথে। তিনি বলেন, আমি অটো রিকশা চালাই। লকডাউনে তেমন আয় না হওয়ায় কম টাকায় পরিবারের জন্য মাংস কিনতে এসেছি। আমাদের তো আর কোরবানি দেওয়ার সামর্থ নেই।
বিষয়টি নিয়ে আমরা আমাদের চাঁদপুর জেলার বিভিন্ন থানার প্রতিনিধিদের সাথে কথা হয়। তারা জানায়, তাদের থানাগুলোতে বাজারের সামনে এরূপ মাংস বিক্রেতাদের দেখা যায়।