শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬  |   ৩১ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে 'আল্লাহু চত্বর'
  •   চাঁদপুর কণ্ঠৈর কলামিস্ট এএসএম শফিকুর রহমানের ইন্তেকাল
  •   নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পেল সেনাবাহিনী
  •   জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনে’ প্রধান উপদেষ্টার ১০০ কোটি টাকার অনুদান
  •   মেঘনায় নিখোঁজ দুই ভাইয়ের মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশ : ২০ জুলাই ২০২১, ১৫:২২

আসুন, করোনা মোকাবেলায় ঐক্যবদ্ধ হই -৪

অনলাইন ডেস্ক
আসুন, করোনা  মোকাবেলায় ঐক্যবদ্ধ হই -৪

‘করোনায় সারাদেশে মৃত্যুর মিছিল চলছে। প্রতিদিন হাজার হাজার লোক আক্রান্ত হচ্ছে। এক ভয়াবহ বিপর্যয়ে দেশ। চাঁদপুরে করোনা সংক্রমণ সারাদেশের গড়ের চেয়েও বেশি। এমতাবস্থায় আপনার ব্যক্তিগত/প্রতিষ্ঠান/সংগঠনের পক্ষ থেকে আপনি করোনা মোকাবেলায় বিশেষ করে মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্যে সচেতনতা সৃষ্টিতে স্বেচ্ছায় ছোট-বড় কী কাজ করতে চান কিংবা কী বলতে চান?' চাঁদপুর কণ্ঠের এমন প্রশ্নে নিম্নোক্ত নেতৃবৃন্দ যা বললেন--

আমরা স্বাস্থ্য সচেতন না হলে, করোনা থেকে রক্ষা পাবো না : মনিরুল ইসলাম মিলন

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার কৃতি সন্তান। একদিকে রাজনীতি করছেন। অন্যদিকে ব্যবাসায় হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এছাড়া সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে তার সরব উপস্থিতি রয়েছে। কথার যাদু দিয়ে সাধারণ মানুষের সাথে মিশে যাওয়া তার বৈশিষ্ট। রাজনৈতিকভাবে তিনি জাতীয় পার্টির বর্তমান চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা হওয়ার কারণে আভিজাত্য ও ভাবগাম্ভীর্য থাকার কথা থাকলেও বিন্দু মাত্র তার মধ্যে নেই। সাধারণ চলাফেরার কারণে তিনি কেন্দ্র থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যন্ত নেতাকর্মীদের কাছের মানুষ। তার ফেসবুক যারা ফলো করেন তারা দেখেছেন, করোনাকালে তিনি কিভাবে জনসচেনতা তৈরির সাথে সাথে সরকারের দৃশ্যমান ভুলগুলো তুলে ধরছেন।

মনিরুল ইসলাম মিলন তার কর্মময় জীবনে জাতীয় ছাত্র সমাজের সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি, জাতীয় যুব সংহতির সাবেক কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি। জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক তথ্য ও গবেষনা সম্পদক, সাবেক প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, সাবেক যুগ্ম মহাসচিব ছিলেন। বর্তমানে জাতীয় পার্টির ২০১৯ এর কাউন্সিলে চেয়ারম্যান এর উপদেষ্টা নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করে চলছেন।

‘করোনায় মৃত্যুর মিছিল বেড়েই চলছে। সেই সাথে প্রতিদিন পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এভাবে বাড়তে থাকলে জেলা পর্যায়ে ফিল্ড হাসপাতাল তৈরি করা ছাড়া বিকল্প থাকবে না। চিকিৎসক সংখ্যা যাই থাকুক হাজার হাজার রোগীকে চিকিৎসাসেবা দেয়া কোনভাবেই সম্ভব হয়ে উঠবে না। ভয়াবহ পড়বে বিপর্যয়ে দেশ। চাঁদপুরে করোনা সংক্রমণ সারাদেশের গড়ের চেয়েও বেশি। এমতাবস্থায় আপনি করোনা মোকাবেলায় কী বলতে চান?'

এই প্রশ্নের জবারে তিনি বলেন, প্রথমেই সকলকে পবিত্র ঈদ-উল -আযহার মোবারক বাদ। ঈদ মোবারক। ঈদ আপনার এবং পুরো বিশ্বে করোনা আমাদের বিধ্বস্ত করেছে, সেই অবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়ার বারতা নিয়ে আসুক। এই কামনা করছি। আপনারা জানেন, করোনা ভাইরাস একটি রোগ যার থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় হলো নিজেকে নিরাপদ রাখা। নিরাপদ রাখতে হলে প্রয়োজন না হলে বাহিরে বের হওয়ার দরকার নেই। সরকারী স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। আমরা সবাই সচেতন না হলে চলমান করোনার বিপর্যয় থেকে রক্ষা পাওয়া কঠিন হবে। সবাই মাস্ক পরুন, মাস্ক পরুন এবং মাস্ক পরুন।

এটি সর্বজনের জন্য একটি বানীতে পরিত হয়েছে। বস্তুত আমাদের ব্যক্তি পর্যায় থেকে সচেতন হওয়ার বিকল্প নেই। প্রতিদিন আমরা নানা বাহানায় এদকি ওদিক বের হচ্ছি। কিন্তু বাড়ি ফেরার পর কি, নিজেকে কতটুকু নিরাপদ মনে করছি, তা একবারও ভেবে দেখছি। মনে হয় না। ফলে করোনা আমাদের ক্রমশ: গ্রাস করছে। আমরা নিজেরা স্বাস্থ্য সচেতন না হলে, করোনা থেকে রক্ষা নেই।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়