প্রকাশ : ১৬ জুলাই ২০২১, ২১:১৮
স্বাস্থবিধি মানছেনা কেউ
সরকার লকডাউন শিথিল করার পর ঈদুল আযহা উপলক্ষে মতলব উত্তর উপজেলায় জমতে শুরু করেছে কোরবানির পশুর হাট ৷ বৃহস্পতিবার লকডাউন পরবর্তী সময়ের প্রথম দিনে দুই একটি হাট বসলেও, শুক্রবার থেকে পুরোদমে বসবে কোরবানির পশুর হাটগুলো৷
|আরো খবর
জানা যায়, এ উপজেলায় ছেংগারচর পৌর বাজারসহ ১৬ স্থানে কোরবানির পশুর হাট বসবে। শুক্রবার উপজেলার ছেংগারচর পৌর বাজারে জমেছে কোরবানির পশুর হাট৷ যথেষ্ট ক্রেতা-বিক্রেতার উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত৷ কিন্তু স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে উদাসীন বাজারে আসা লোকজন।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলর জন্য বাজার কর্তৃপক্ষ প্রতিনিয়ত মাইকিং করছে। বিনামূল্যে মাস্ক দিলেও অনেকই তা ব্যবহারে অনিহা প্রকাশ করছে৷ কেউ কেউ মাস্ক পকেটে, কেউবা মাস্ক হাতে নিয়ে বাজারে ঘুরাঘুরি করতে দেখা গেছে৷
সরেজমিনে ছেংগারচর পৌর বাজারে গিয়ে দেখা যায়, হাটে বিভিন্ন প্রজাতির গরু উঠেছে৷ প্রথম দিকে হওয়ায় দাম নিয়ে ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে দড়কষাকষি লক্ষ্য করা গেছে৷ ইজারাদারগণ জানিয়েছেন৷ গরু কিনতে আসা বালুর চরের সোহাগ বলেন, বাজারে গরুর দাম সন্তোষজনক৷ খুব বেশিও না আবার কমও না৷ আমি ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকায় একটি গরু কিনেছি৷
বিক্রেতা আলা উদ্দিন বলেন, আমি ২৫ টি গরু ষাড় নিয়ে এসেছিলাম, এর মধ্য ৮ বিক্রি হয়ে গেছে৷ আশা করছি, আগামী দু'দিনের মধ্য বাকী ষাড়গুলো বিক্রি হয়ে যাবে৷ দাম কিছুটা কম মনে হচ্ছে৷দেখি সামনে বাড়তি পাই কিনা।
হাটের ইজারাদার বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাজার পরিচালনার চেষ্টা করছি, আমরা বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণের পাশাপাশি মাইকিং করে মানুষকে সচেতন করছি৷ বাজারে গরুর আমদানি ভাল৷ যতই ঈদের দিন ঘনিয়ে আসবে, ক্রেতারা সংখ্যা ততই বাড়বে বলে আশা করছেন বাজার কর্তৃপক্ষ৷ উপজেলা নির্বাহী অফিসার গাজী শরিফুল হাসান বলেন, কোরবানি পশুর হাটে ক্রেতা ও বিক্রেতার স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। তা' নাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।