প্রকাশ : ১১ জানুয়ারি ২০২২, ২২:৪৪
প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা
মতলবের ভূমিদস্যু ও সন্তাসী শরীফের অত্যাচারে পথে বসেছে প্রবাসী একটি পরিবার
চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার লাকশিবপুর গ্রামের ভূমিদস্যু ও সন্তাসী শরীফের অত্যাচার, নানা ষড়যন্ত্রের কারণে ঘর বাড়ি হারিয়ে পথে বসেছে প্রবাসী নজরুল ইসলামের পরিবার। এমন অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারটি।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার লাকশিবপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলাম প্রধানের ২ ছেলে, শরীফ হোসেন ও নজরুল ইসলাম।
এদের মধ্যে বড়ছেলে শরীফ হোসেন ছোট বেলা থেকেই বখাটে ও উচ্ছৃঙ্খল জীবন যাপন করে। এক পর্যায়ে সে পরিবার থেকে আলাদা হয়ে ঢাকায় বসবাস করা শুরু করে। সেখানে দুটি বিয়ে করে, দু' বউ নিয়ে দু' স্হানে রেখে ঘর সংসার ও করে আসছে। শরীফ হোসেন পৈত্রিক সম্পওি আত্মসাৎ করার জন্য নানা কুট কৌশল অবলম্বন করে পিতা সিরাজুল ইসলাম প্রধানকে মিথ্যা সংবাদে ঢাকায় নিয়ে তাঁর (পিতার) সম্পওি আত্মসাৎ করার জন্য জিন্মি করে ঢাকার আড়াই কাঠার বাড়িটি লিখে নিয়ে যায়। এ পরিস্থিতিতে পিতা সিরাজুল ইসলাম নিরুপায় হয়ে সকল ছেলে মেয়েদের কে হিস্যা অনুযায়ী প্রাপ্য সম্পওি স্ব স্ব নামে লিখে দেয়। তন্মধ্যে ছোট ছেলে নজরুল ইসলাম কে লাকশিবপুর গ্রামে ৮৮ নং মৌজার ১০৫ নং খতিয়ানের আড়াই শতাংশ ভুমি ২০১৮ সালের জুন মাসে ২৩৯৬ নং দলিলে সাবরেজিস্টার অফিসে গিয়ে রেজিষ্ট্রী করে লিখে দেয়।
বাবার লিখে দেওয়া সম্পওি পেয়ে নজরুল ইসলাম প্রবাস কাটানো কষ্টার্জিত টাকা দিয়ে ঐ সম্পওিতে কয়েক লক্ষ টাকা ব্যয় করে একটি বিল্ডিং করে,
পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছিলো।
হঠাৎ করেই গত ১ বছর পূর্বে শরীফ হোসেন রাতের আঁধারে উক্ত বিল্ডিং দখল করে নজরুল কে বিল্ডিং থেকে বের করে দেয়। শুধু তাই নয়, শরীফ হোসেন একের পর এক নানা ষড়যন্ত্র করতে থাকে ছোট ভাই নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে। ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে নিজে বাদী হয়ে ছোট ভাই ও তাঁর স্ত্রী কে আসামী করে আদালতে মামলা দায়ের করে, ঐ মামলায় ছোট ভাই কে জেলে খাটায়। শুধু কী, তাই?
তাঁর পিতার দেওয়া সাব রেজিস্ট্রীকৃত সম্পওি আত্মসাৎ করার জন্য পিতাকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে দলিল বাতিলের মামলাটিও দায়ের করান। এভাবেই একের পর এক ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে প্রবাসী নজরুল ইসলামের পরিবার কে হয়রানি করে আসার কারণে এই পরিবারটি এখন অসহায় অবস্থায় অমানবিক জীবন যাপন করে আসছে।
এ বিষয়ে এলাকাবাসী জানান, সিরাজ প্রধানের দুছেলের মধ্যে শরীফ হোসেন ছোট বেলা থেকেই দুষ্ট প্রকৃতির এবং নানা ধরনের অপরাধের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া তাঁর সকল ধরনের অপরাধ কাজে স্হানীয় লিটন ও শাহজাহান সহযোগিতা করে আসছে।
এবিষয়ে এলাকাবাসী স্হানীয় গন্যমান্য ব্যক্তি বগ বেশ কয়কবার সমঝোতার চেষ্টা করে ও বিষয়টি শরীফের অতিলোভের কারণে তা সমাধান হয়নি। কিন্তু ভাই হিসেবে নজরুল ইসলাম বিভিন্ন ভাবে সন্মান ইজ্জতের দিকে তাকিয়ে সমাধানের চেষ্টা করে আসছে।।
এ বিষয়ে প্রবাসী নজরুল ইসলাম বলেন, প্রবাসে চাকুরীকালীন কোম্পানীর নিয়ম অনুযায়ী ছুটিতে দেশে আসার পর করোনার কারণে আর যেতে পারিনি। অপরদিকে আপন বড় ভাইয়ের অমানবিক অত্যাচার নির্যাতনের কারণে আজ নিরুপায় হয়ে আছি।
এই অবস্থায় প্রবাসী নজরুল ইসলাম ও তাঁর পরিবার কোনো রকমে বেঁচে থাকার তাগিদে উল্লেখিত অমানবিক নির্যাতন থেকে বাঁচতে চাঁদপুরের প্রশাসনের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।