প্রকাশ : ০৩ জানুয়ারি ২০২২, ১৭:৫৩
শহর রক্ষাবাঁধের ভাংগন পরিধি বাড়ছে
চাঁদপুর লঞ্চঘাট সংলগ্ন এলাকায় বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা শুরু
চাঁদপুর লঞ্চঘাট সংলগ্ন যমুনা রোডের টিলাবাড়ি নামক স্থান দিয়ে শহর রক্ষাবাঁধের ধসে পড়া এলাকার ভাংগন পরিধি আরো বেড়েছে। প্রায় ৮০ মিটার বাঁধ এলাকা জুড়ে এখন মেঘনার ভাংগন চলছে। সেখানে থাকা প্রচুর পরিমাণে পাথর ও সিসি ব্লক নদীতে ডেবে গেছে।
|আরো খবর
সোমবার ৩ জানুয়ারি বিকালে সরজমিনে গিয়ে এমন পরিস্থিতি দেখা গেছে। ধ্বসে পড়া শহর রক্ষা বাঁধের স্থানটির সংরক্ষণে জরুরীভিত্তিতে কাজ শুরু করেছে চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড।
পানি উন্নয়ন বোর্ড চাকরি কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলীর মোঃ মামুন হাওলাদার জানান, নদী অনেকটাই শান্ত। ভাংগন আর বাড়বেনা। আমরা এই স্থানটি সংরক্ষণে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা শুরু করেছি। সাড়ে ১০ হাজার বালুভর্তি জিও ব্যাগ এখানে ফেলা হবে। এরপর ৪ হাজার সিসি ব্লক ডাম্পিং এবং প্লেসিং করা হবে। গত ২ জানুয়ারি রোববার সকালে হঠাৎ করে মাদ্রাসা লঞ্চ ঘাটের পশ্চিম পাশে টিলাবাড়ি ঠোট্টার ব্লক বাঁধে মেঘনার ভাংগন দেখা দেয়। মুহুর্তের মধ্যে সেখানে বসবাসরত জেলে পল্লীর শত শত পরিবারের মাঝে নদী ভাঙ্গণ আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। যারাই এই বাঁধের আশপাশে বসবাস করছেন, তারা রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের নদী ভাঙ্গণের শিকার হয়ে এখানে বসতি গড়ে তুলেন। এখানেও নদী ভাঙ্গণের কবলে পড়েছেন তারা। স্থানীয়রা শহররক্ষা বাঁধের স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি জানান।
তারা বলেন, এখন শুষ্ক মৌসুম। নদী ভাঙ্গনের কথা নয়, এ সময়ে যদি নদী ভাঙ্গনের এমন পরিস্থিতি হয়। তাহলে বর্ষা মৌসুমে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নেবে। লঞ্চঘাট রেলওয়ে বড় স্টেশন এসব এলাকা নদীতে বিলীন হয়ে যাবে। গৃহহারা হয়ে পড়বেন হাজার হাজার পরিবার। আগামী বর্ষা আসার আগেই টেকসই শহর রক্ষা বাঁধ সংরক্ষণের বড় ধরনের কাজ করা না গেলে বড় স্টেশন এলাকা রক্ষা পাবে না।