প্রকাশ : ১০ অক্টোবর ২০২১, ১৯:৩৯
চাঁদপুর জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা
মা ইলিশ রক্ষা এবং মাদকমুক্ত করা এটা আমাদের এখন বড় চ্যালেঞ্জ : অঞ্জনা খান মজলিশ
চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বলেছেন, মা ইলিশ রক্ষা ও মাদক এটা জাতীয় ইস্যু। মা ইলিশ রক্ষা এবং মাদকমুক্ত করা এটা আমাদের এখন বড় চ্যালেঞ্জ। এ দুটোর জন্যই সবাই যার যার অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করবে অন্যরা করবে না এটা হবে না। যেহেতু মাদক নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জিরো টলারেন্স চেয়েছেন। সুতরাং আমরা সেটাই করতে চাই। কেউ মাদক নিয়ে কাজ করবে, আবার কেউ মাদকের পক্ষে সায় দিয়ে মানববন্ধন করবে। সেটা বরদাস্ত করা হবে না। সামনের প্রজন্মকে আমরা কি উপহার দেব। আজকে যেভাবে মাদকে সয়লাব বেড়ে গেছে। ভারতের নায়ক শাহরুখ খানের ছেলে মাদকাসক্ত হয়ে গেছে। এভাবে আমাদের দেশেও তরুণ-তরুণীরা মাদকে আসক্ত হয় মেধাশুন্য হয়ে পড়ছে। ভয়ানক অবস্থা থেকে রেহাই পেতে সবারই আন্তরিক হতে হবে। তিনি আরো বলেন, ইলিশ জাতীয় সম্পদ। এ সম্পদ রক্ষায় আমাদের সবাইকে কাজ করতে হবে। ৭০ কিলোমিটার নদী। ষাটনল থেকে চর ভৈরবী পর্যন্ত নদীতে সারাদিন ইউএনও থাকলে মানুষের অন্যান্য সেবা কে দিবে। প্রশাসনের সঙ্গে জনপ্রতিনিধিরাও একাজে সচেষ্ট থাকতে হবে । বিশেষ করে যারা নদী এলাকার পাশে, সে সকল জনপ্রতিনিধি এ বিষয়ে আন্তরিক হবার আহ্বান জানান।
|আরো খবর
১০ অক্টোবর রোববার সকাল ১১টায় চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে মাসিক আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক কমিটির সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন সরোয়ারের সঞ্চলনায় বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) সুদীপ্ত রায়, চাঁদপুর থেকে পদোন্নতিজনিত কারণে বিদায়ী জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ সাখাওয়াত উল্লাহ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নইম পাটওয়ারী দুলাল, জেলা নৌ-পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ বেলায়েত হোসেন, স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাঃ সৈয়দা বদরুন্নাহার চৌধুরী, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকবাল হোসেন পাটওয়ারী, ফরিদগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পাটওয়ারী, হাজীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গাজী মোহাম্মদ মাইনুদ্দিন, জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একেএম দিদারুল আলম প্রমুখ।
সভায় উপস্থিত ছিলেন হাজীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আসম মাহাবুবুল আলম লিপু, হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা মোমেনা খাতুন, ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিউলী হরি, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শানজিদা শাহনাজ, জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা রজত শুভ্র সরকার, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ খলিলুর রহমানসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগণ।
জেলা প্রশাসক বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে সদ্য পদোন্নতিপ্রাপ্ত চাঁদপুরের সিভিল সার্জন ডাক্তার মোঃ সাখাওয়াত উল্লাহকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং তাকে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের পক্ষ থেকে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন। ডাক্তার মোঃ সাখাওয়াত উল্লাহ কাজের স্বচ্ছতায় তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি চাঁদপুরে করোনাকালীন সময়ে কাজ করে জেলাবাসীর হৃদয়ে স্থান করে গেছেন। তারমত এরকম আরো নিবেদিত কর্মকর্তা থাকলে জনগণের সেবা আরো ত্বরান্বিত হবে। তিনি আরো উল্লেখ করেন ইতিমধ্যে চাঁদপুরে করোনা ভ্যাকসিন দেয়া ২৫% হয়েছে। আমরা ডিসেম্বরের মধ্যে আশাকরি শতভাগ পূর্ণ করতে পারবো। আগামী ১১ নভেম্বর চাঁদপুর সদর উপজেলার দশটি ইউনিয়নে নির্বাচন। নির্বাচনে যাতে অপ্রীতিকর ঘটনা না হয় সে বিষয়ে আমরা সজাগ থাকবো। হিন্দু সম্প্রদায়ের পূজা উপলক্ষে আমাদের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। পূজায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অসহায় গরীবদের মাঝে ত্রাণ সহায়তা দেয়া হয়েছে। যাতে তারা পূজার উৎসব ভালোমতো পালন করতে পারে। ধর্ম যার যার উৎসব তার তার। সুতরাং পূজায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করতে আমরা নিষেধ করেছি। আর মন্দিরের পাশে মসজিদ আছে। তাই আজানের সময় হলে মাইক বাজানো যাবে না। বাজারে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে অসন্তোষ প্রকাশ করে জেলা প্রশাসক বলেন, এক ধরনের সিন্ডিকেট আছে তারা প্রশাসন কোন সময় কোন কাজে ব্যস্ত থাকে তারা সেটা মনিটরিং করে। আর সেটা করে তারা একধরনের সিন্ডিকেট করে। আমরা এখন ইলিশ সম্পদ রক্ষায় ব্যস্ত। এ সময়ে একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীরা বাজারে দ্রব্যমূল্য দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। আমরা এ বিষয়ে মোবাইল কোট করব এবং প্রত্যেকটি দোকানে মূল্যের দাম সাঁটিয়ে রাখতে হবে। ভবিষ্যতে আমরা এ বিষয়টি নিয়ে আরও কঠোর হব এবং কেউ যদি আইন অমান্য করে তাকে আইনের আওতায় আনা বলে তিনি উল্লেখ করেন।