প্রকাশ : ২৮ জুন ২০২৫, ১১:৫৪
হাজীগঞ্জে ভোরে শিয়ালের কামড়ে আহত ১০

ভোর না হতেই দুটি শিয়াল একত্রিত হয়ে গ্রামবাসীকে কামড়াতে শুরু করে। এতে আহত হয় ১০ দশ। যার মধ্যে দুজনের অবস্থা মারাত্মক। ঐ গ্রামের একটি মাটির ডিবিতে ১৫/২০ টি শিয়ালের একটি বাসা রয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান। সেখান থেকে দুটি শিয়াল বেরিয়ে এসে পাশের কয়েকটি বাড়িতে ঢুকে এ কাণ্ড ঘটায়। শনিবার (২৮ জুন ২০২৫) ভোরে ঘটনাটি ঘটে হাজীগঞ্জের বাকিলা ইউনিয়নের ফুলছোঁয়া গ্রামের বেপারী বাড়ি সংলগ্ন এলাকায়।
|আরো খবর
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য কালাম বেপারী ও কবির হোসেন মোল্লা জানান, ভোরে লোকজন ঘুম থেকে উঠে রাস্তাতে আসলেই রাস্তাতে থাকা দুটি শিয়াল একত্রিত হয়ে যাকে সামনে পেয়েছে তাকেই কামড়ে দিয়েছে। এর মধ্যে অনেকে আবার হাতের সামনে লাঠিসোটা যা পেয়েছে তা দিয়ে প্রতিহত করে রক্ষা পেয়েছে।
কালাম বেপারী আরো জানান, আমার জানা ও দেখা মতে, আহতরা হলেন : বেপারী বাড়ির মৃত গফুর বেপারীর ছেলে বারেক বেপারী (৬০), মহসিনের ছেলে রনি (২০), কালাম বেপারীর ছেলে জসিম বেপারী (৩০), মৃত শাহালমের ছেলে রেহান (২০), রাজ্জাক বেপারীর ছেলে হাছান বেপারী (১৫), পণ্ডিত বাড়ির মিজির ছেলে রুবেল (৪০), মৃত লতিফ বেপারীর ছেলে আবু তাহের (৪০), আবু মিয়ার ছেলে লতিফ, রুহুল আমিনের ছেলে রুবেল সহ আরো কয়েকজন। এর মধ্যে দু জনের অবস্থা খারাপ হওয়াতে তাদেরকে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু তাহের জানান, শিয়ালের কামড়ে বারেক বেপারীর অবস্থা একটু বেশি খারাপ। বন্যপ্রাণী আইন রক্ষা করে কীভাবে শিয়ালকে প্রতিহত করা যায় সেটি আমরা গ্রামবাসী মিলে চিন্তা করছি।
উপজেলা বন কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম জানান, শিয়াল ধরে বনে ছেড়ে দেয়া আমাদের কাজ, কিন্তু আমাদের কোনো জনবল না থাকাতে তা সম্ভব হচ্ছে না। তবে স্থানীয়রা শিয়াল ধরে দিলে আমরা বনে অবমুক্ত করে দেবো।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইবনে আল জায়েদ হোসেন জানান, আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে দেখি কী করা যায়।