প্রকাশ : ০৬ মে ২০২৫, ১৫:২৪
হাজীগঞ্জে ইমন ও সেলিম হত্যাকাণ্ডের দুই ঘাতক গ্রেফতার

হাজীগঞ্জে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে দুজন মানুষকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামীসহ দুই ঘাতককে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। আটককৃতরা হলেন : ফার্নিচার মিস্ত্রী ইমন হত্যা মামলার প্রধান আসামী রাজারগাঁও ইউনিয়নের পশ্চিম রাজারগাঁও গ্রামের জিলানী বেপারী (২৪) এবং হাটিলা পশ্চিম ইউনিয়নের সেলিম কবিরাজ হত্যা মামলার চার নম্বর আসামী গৌড়েস্বর গ্রামের রাব্বি কাজী। এদেরকে মঙ্গলবার (৬ মে ২০২৫) চাঁদপুরের আদালতে তোলা হলে আদালত দুই ঘাতককেই জেল হাজতে প্রেরণ করে। এর আগে সোমবার (৫ মে ২০২৫) দিনশেষে রাতে পৃথক অভিযান পুলিশ এদেরকে আটক করে।
পুলিশ জানায়, ২০২৪ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যার দিকে বাকিলা ইউনিয়নের জনতা বাজারে নিজ দোকানে কাজ করা অবস্থায় আসামী জিলানীর নেতৃত্বে ১৫/২০ জনের একটি দল ২ সন্তানের জনক ফার্নিচার মিস্ত্রী ইমনকে তবররুক নিয়ে বিরোধের জেরে প্রকাশ্যে পিটিয়ে ফেলে রেখে চলে যায়। এর কিছুক্ষণ পরেই ইমন মারা যান। এর পরেই জিলানীকে প্রধান আসামী করে নিহতের বাবা হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর থেকেই জিলানী পলাতক ছিলো। গত কয়েক দিন আগে সে তার নানার বাড়িতে আসে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার দিবাগত রাতে তাকে তার নানা বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। নিহত ইমন বাকিলা ইউনিয়নের লোধপাড়া গ্রামের কবিরাজ বাড়ির মো. হারুনুর রশিদের ছেলে।
অপরদিকে চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি বিকেল বেলা প্রকাশ্যে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সেলিম কবিরাজকে পিটিয়ে মারাত্মক আহত করে অভিযুক্তরা। পরে একই দিন সন্ধ্যার দিকে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সেলিম কবিরাজ। এর পরেই নিহতের ছেলে বাদী হযে হাজীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে নামীয় ৪ নম্বর আসামী রাব্বী কাজী (২৩)। ঘটনার পর থেকেই রাব্বী কাজী পলাতক ছিলো। গত সোমবার (৫ মে ২০২৫) দিনশেষে রাতে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জ থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রাব্বী একই ইউনিয়নের গৌড়েশ্বর গ্রামের কবিরাজ বাড়ির মো. আবুল কালাম কালুর ছেলে।
হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুক বলেন, অধিকতর তদন্তের স্বার্থে আদালতে আসামিদের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।