প্রকাশ : ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৭:৩৪
ঘিলাতলী কামিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে নকল সরবরাহের ঘটনা
দৌড়ে পালানো সেই শিক্ষক এখনো ধরা-ছোঁয়ার বাইরে

মতলব দক্ষিণের ঘিলাতলী কামিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে দাখিল গণিত বিষয়ে পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস ও নকল সরবরাহের অভিযোগে ওই মাদ্রাসার অফিস সহকারী কাম হিসাব রক্ষক গিয়াস উদ্দিন বকাউলকে ভ্রাম্যমাণ আদালত দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে। তবে ওই সময়ে ফটোকপির দোকানে একই কাজে ব্যস্ত কালিকাপুর আদর্শ দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক রাশেদুল ইসলাম রনি একই অপরাধ করে এখনো রয়ে গেলেন ধরা ছোঁয়ার বাইরে। এ ব্যাপারে সকল মহলে চলছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
|আরো খবর
জানা যায়, চলমান দাখিল পরীক্ষায় কালিকাপুর আদর্শ দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক রাশেদুল ইসলাম রনি নারায়ণপুর পপুলার উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে হল পরিদর্শক হিসেবে নিযুক্ত রয়েছেন। ওই দিন এসএসসি পরীক্ষায় ইংরেজি ২য় পত্র পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গণিতের শিক্ষক হিসেবে ওই দিন নারায়ণপুর পপুলার উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে তার দায়িত্ব পালন না করে মাদ্রাসা বোর্ডের গণিত পরীক্ষা কেন্দ্রের পাশে ফটোকপির দোকানে অবৈধভাবে অবস্থান করেন। সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে ফটোকপির দোকান থেকে এই শিক্ষক দৌড়ে পালিয়ে যান।
কালিকাপুর আদর্শ দাখিল মাদ্রাসার সুপার আসাদুজ্জামান বলেন, মাদ্রাসা থেকে ওই শিক্ষক পারিবারিক কারণ দেখিয়ে ছুটি নিয়েছে। ওখানে কী কারণে গিয়েছেন আমি জানি না।
নারায়ণপুর পপুলার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব শিরিন সুলতানা জানান, এ কেন্দ্রে শিক্ষক বেশি হওয়ায় সব সময় সব শিক্ষকের দায়িত্ব পড়ে না। ওই দিন কেন্দ্রে ওই শিক্ষকের দায়িত্ব ছিলো না।
কালিকাপুর আদর্শ দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক রাশেদুল ইসলাম রনি জানান, আমি মাদ্রাসা থেকে ছুটি নিয়েছি। আমি এভাবেই সেখানে গিয়েছি।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাবেদ হোসেন চৌধুরী জানান, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।