প্রকাশ : ২৯ মার্চ ২০২৫, ১২:৪৮
মতলবে ক্রেতাদের ভিড় দেখে মনে হচ্ছে আজই বুঝি চাঁন রাত

মতলব উত্তর ও মতলব দক্ষিণ উপজেলায় ঈদের বাজার জমে উঠেছে। ক্রেতারা উপজেলার বড়ো মার্কেটগুলোতে আসতে শুরু করেছেন। দোকানগুলোতে ভিড় দেখে মনে হচ্ছে আজই বুঝি চাঁন রাত । পরিবারের সদস্যদের সমাগমে বাহারি পোশাক ও প্রসাধনীর দোকান জমজমাট হয়ে উঠছে। টেইলর্সগুলোতে ক্রেতাদের সিরিয়াল লেগে আছে। ব্যস্ততা বেড়েছে পোশাক তৈরির কারিগরের ।
|আরো খবর
বিভিন্ন আয়ের মানুষ পরিবারের সদস্যদের জন্যে ঈদের কেনাকাটায় মেতে উঠেছেন। তবে মার্কেটগুলোতে প্রবাসী পরিবারের আনাগোনা বেশি দেখা যায়। মধ্যম ও নিম্নবিত্তের পরিবারের লোকজনও কিনছেন তাদের পরিবারের সদস্যদের জন্যে। শহরের বড়ো বড়ো বিপণী বিতান ও স্থাপনায় করা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন আলোকসজ্জা।
গ্রামাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে উৎসবের আমেজ। সরজমিনে দেখা যায়, মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর বাজার, নতুন বাজার, কালির বাজার, কালীপুর বাজার, সুজাতপুর বাজার এবং মতলব দক্ষিণ উপজেলার মতলব বাজার, মুন্সিরহাট, নারায়ণপুর, নাযের গাঁওয়ের বিপণী বিতানগুলোতে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। বিপণী বিতানগুলোতে ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা যায় দোকানিদের।
শুধু কাপড়ের দোকানই নয়, প্রসাধনী, অলংকার, জুতা ও দর্জির দোকানগুলোতে বেড়েছে ক্রেতাদের ভিড়। পোশাক পরিচ্ছদ বেচাকেনার পাশাপাশি মসলা ও মুদিপণ্যের দোকানগুলোতেও ভিড় বেড়েছে।
মার্কেটগুলোতে ঈদের বেচাকেনা চলছে ধুমছে। শেষ সময়ে পোশাক তৈরিতে হিমশিম খাচ্ছেন দর্জিরা। ছেংগারচর বাজারে ঈদের কেনাকাটা করতে আসা হানির পাড়ের সানজিদা বলেন, পরিবারের জন্যে কেনাকাটা করতে এসেছি। এ বছর বাজারে দেশি কাপড় বেশি। এতেই আমরা খুশি। দর্জিরা শেষ সময়ে এসে নতুন পোশাকের অর্ডার নেন না। দর্জিরা জামা তৈরির অর্ডার না নেওয়ায় বিপাকে পড়ছে অনেক পরিবার।
নতুন বাজারের নূরী বস্ত্র বিতানের মালিক নূরে আলম জানান, এবার প্রথম দিক থেকেই পুরোদমে বেচাকেনা শুরু হয়। তবে মানুষ দেখছে বেশি, আর কিনছেন কম। মাঝারি দামের পোশাকই ক্রেতারা বেশি ক্রয় করছেন।
মুন্সি মার্কেটের দোকানী আরিফ বিল্লাহ বলেন, ‘তৈরি পোশাকের দোকানে বেচাকেনা বেশি হয়। সিট কাপড় ও থ্রি পিচের দোকানে রোজার শেষ দিকে এসে বেচাকেনা কম হয়ে যায়। কারণ, দর্জিরা শেষ সময়ে এসে নতুন পোশাকের অর্ডার নেন না।