প্রকাশ : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২২:২৮
হত্যা মামলার আসামির বসতঘর ও দোকান পুড়িয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা
মো. সেলিম হোসেন কবিরাজ (৪৫) হত্যা মামলার প্রধান আসামী আলী আকবর কাজী (৬০)-এর বসতঘরসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান জ্বালিয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। এতে করে পালিয়ে থাকা আসামীর সব কিছু পুড়ে গেছে। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি ২০২৫) দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাটি ঘটে হাজীগঞ্জের হাটিলা ইউনিয়নের গৌড়েস্বর গ্রামের কাজী বাড়িতে। প্রতিবেশী সেলিম কবিরাজ হত্যার ঘটনা থেকে গ্রামবাসী এই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান।
স্থানীয়রা আরো জানান, সেলিম কবিরাজ হত্যার ঘটনার দিনগত রাতে অভিযুক্ত আলী আকবর কাজীর বসতঘর ও মুদি দোকানে আগুন দেয় স্থানীয়রা। রাতেই খবর পেয়ে স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস লোকজন গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। আগুনে কোনো কিছুই রক্ষা পায়নি। এতে দোকানঘর ও দোকানে থাকা মালামাল এবং বসতঘর, রান্নাঘর ও বসতঘরে থাকা আসবাবপত্র, তৈজসপত্র, খাদ্য সামগ্রী, প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ কয়েক লাখ টাকার ক্ষতি হয়। এছাড়া বসতঘরে রাখা দোকানের মজুদকৃত মুদি মালামালও পুড়ে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়।
এদিকে শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ) বিকেলে হত্যাকাণ্ডের শিকার মো. সেলিম হোসেন কবিরাজের দাফন সম্পন্ন হয়। তিনি উপজেলার হাটিলা পশ্চিম ইউনিয়নের গৌড়েস্বর গ্রামের কবিরাজ বাড়ির মো. আবুল কালাম কালুর ছেলে। একইদিন দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে তার মরদেহ হস্তান্তর করে পুলিশ। আগের দিন শুক্রবার জুমার নামাজের পর গৌড়েস্বর গ্রামের পশ্চিমপাড়া মদীনাতুল জামে মসজিদের সামনে সেলিম কবিরাজ হামলা ও মারধরের শিকার হন।
এ ঘটনায় নিহতের ছেলে ইয়াছিন হোসেন সবুজ একই গ্রামের কাজী বাড়ির মৃত আব্দুল ওহাবের ছেলে আলী আকবর কাজী ও আনিসুর রহমান কাজী, আনোয়ার হোসেন কাজীর ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন কাজী ও রাশেদ কাজী, আবু সুফিয়ানের ছেলে রাব্বী কাজী, আলী আজ্জমের ছেলে নুরুল ইসলাম কাজী ও আনিসুর রহমানের স্ত্রী রিনা বেগমসহ ৭ জন ও অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে হাজীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় পুলিশ নুরু নামে একজনকে আটক করে।
হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুক আগুনের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শুক্রবার রাতে আলী আকবর কাজীর দোকান ও বসতঘরে কে বা কারা আগুন দিয়েছে, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।