বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৪  |   ১৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কড়াইল বৌ-বাজার বস্তিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট
  •   বাকৃবিতে শিক্ষকদের ওপর হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণ
  •   সেনাবাহিনীর ভুয়া ক্যাপ্টেনসহ আটক ২
  •   মতলবে মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি বাদ দিয়ে তৃণমূলের অংশগ্রহণে কমিটি গঠনের দাবিতে বিএনপির গণমিছিল।
  •   এসোসিয়েশন অব মডেল ইনস্টিটিউশন্স চাঁদপুর-এর বৃত্তি পরীক্ষা

প্রকাশ : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০:৪৭

ফেসবুক খুঁজে দিলো, পুলিশ বুঝিয়ে দিলো

ফেসবুক খুঁজে দিলো, পুলিশ বুঝিয়ে দিলো
নিখোঁজের ৫ দিন পর পুলিশ শিশুটিকে তার বাবার কোলে তুলে দিচ্ছে
কামরুজ্জামান টুটুল

সোয়া দুই বছরের ছোট্ট শিশু নুসরাত আক্তার জান্নাত গত শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর ২০২৪) হারিয়ে যায়। শিশুটিকে নিয়ে যাওয়া এক নারীকে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে শনাক্ত করা গেলেও সেই নারী অজ্ঞাত থেকে যায়। সেই সময় বিভিন্নজনে শিশুটির ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আপলোড দেয়। নিখোঁজের ৫ দিন পর গত মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর ২০২৪) শিশুটির বাড়ি থেকে ৬ কিলোমিটার দূরে রামপুর বাজারে পরিত্যক্ত অবস্থায় শিশুটিকে পায় ব্যবসায়ীরা। পরে ফেসবুকের ছবির সাথে মিলিয়ে নিশ্চিত হয় থানা পুলিশে খবর দেয় ব্যবসায়ীরা। এরপরেই শিশুটিকে উদ্ধার করে পুলিশ তার বাবা আরমান হেসেনের কোলে তুলে দেয়। ঘটনাটি হাজীগঞ্জের ।

শিশুটির বাড়ির হাজীগঞ্জ পৌরসভার রান্ধুনীমুড়া গ্রামে।

জানা যায়, শিশু নুসরাত আক্তার জান্নাত গত শুক্রবার দুপুরে হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন রান্ধুনীমুড়া এলাকা থেকে নিখোঁজ হয়। পরে স্থানীয় একটি সিসি টিভির ফুটেজে দেখা গেছে, জান্নাতকে এক নারী কোলে তুলে নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু ওই নারীর পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয় নি। এ ঘটনায় ওইদিন হাজীগঞ্জ থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করা হয় শিশুটির পরিবারের পক্ষ থেকে। গত মঙ্গলবার দুপুরে কালচোঁ দক্ষিণ ইউনিয়নের রামপুর বাজারে একটি ফার্নিচার দোকানের সামনে অপরিচিত এক শিশুকে কাঁদতে দেখেন কাঠ মিস্ত্রী ইমান হোসেন। এ সময় তিনি শিশুটিকে কোলে তুলে নিয়ে কিছু শিশু খাদ্য (চিপস ও চকলেট) কিনে দেন এবং রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করেন। শিশুটির অভিভাবকের খোঁজ না পেয়ে রাতে তিনি শিশুটিকে নিজ বাসায় নিয়ে যান।

কাঠ মিস্ত্রী ইমানের ছোট ভাই ইয়াছিন শিশুটির ছবি তুলে অভিভাবকের সন্ধানে ফেসবুকে পোস্ট দেন। সেই পোস্টটি বুধবার সকালে হাজীগঞ্জের এক সংবাদকর্মীর কাছে আসে। এর পরে নিখোঁজ জান্নাতের ছবির সাথে মিলিয়ে হাজীগঞ্জ থানার ওসিকে অবহিত করেন ঐ সংবাদকর্মী।

পুলিশ খবর পেয়ে জান্নাতের নিখোঁজ ডায়েরির তদন্ত কর্মকর্তা ও হাজীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সাঈফ বিন আহাম্মেদের সহযোগিতায় ইমানের বাড়ি থেকে শিশুটি উদ্ধার করে আইনি কার্যক্রম সম্পন্ন শেষে শিশুটিকে তার স্বজনদের উপস্থিতিতে বাবা আরমান হোসেনের কোলে তুলে দেন।

এ সময় কাঠ মিস্ত্রী ইমান হোসেন, তার ভাই ইয়াছিনসহ সংবাদকর্মীরা ও হাজীগঞ্জ থানা পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে সবাইকে ধন্যবাদ জানান শিশুটির বাবা আরমান হোসেন।

এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুক বলেন, সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতায় শিশু নুসরাত আক্তার জান্নাতকে তার বাবার কোলে তুলে দিয়েছি। এ সময় শিশুদের প্রতি দায়িত্বশীল হওয়ার জন্যে বাবা-মাসহ অভিভাবকদের আরো বেশি সচেতন হওয়ার অনুরোধ জানান তিনি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়