প্রকাশ : ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯:৪০
ফরিদগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনায় বিএনপি নেতার পিকআপে আগুন
ফরিদগঞ্জে বিএনপি নেতার পিকআপ ভ্যানে আগুন দিয়েছে একটি চক্র। ২৮ নভেম্বর রাতে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার। এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে পরিবারটি। ৫নং গুপ্টি ইউনিয়নের শ্রীকালিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সূত্রে জানা যায়, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আমিন সর্দারের (সওদাগর) ছেলে রুবেল হোসেনের গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানে একদল সন্ত্রাসী এসে বিভিন্ন রকম বিশৃঙ্খলা করার পাঁয়তারা করে। এ সময় আমিন সওদাগররা বিরক্তিবোধ করলে ওই উচ্ছৃঙ্খল যুবকেরা বিয়ে বাড়ির গেটসহ বিভিন্ন জিনিস ভাংচুর করে। এতে দুপক্ষের মধ্যে সংঘাত হলে স্থানীয় লোকজন সমাধান করবেন বলে পরিস্থিতি শান্ত করেন। সেই শত্রুতার জের ধরে গত ২৮ নভেম্বর রাতে ওই যুবকেরা বাড়ির সামনে থাকা আমিন সওদাগরের পিকআপ ভ্যানে আগুন লাগিয়ে দেয়। এতে গাড়িটি পুড়ে যায়। নিরূপায় হয়ে ফরিদগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। অভিযুক্তরা হলেন : স্বপন হোসেন, বাবু, মোঃ সিয়াম, মোঃ খোকন, মোঃ রাছেল, মোঃ হান্নানসহ ৭/১০ জন।
স্থানীয় লোকজন বলেন, আমিন সর্দারের ছেলের গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানে স্বপন, বাবু, রাছেলসহ কয়েকজন এসে হামলা চালায়। এ সময় তারা বাড়ির গেট ভেঙ্গে দেয়। দুদিন পরে আবার এসে কাউকে না পেয়ে বাড়ির সামনে থাকা গাড়িটি আগুন ধরিয়ে সেটি জ্বালিয়ে দেয়।
অভিযোগকারী আমিন সর্দারের স্ত্রী মাকছুদা বলেন, আমার ছেলের গায়ে হলুদে তারা এসে মেয়েদের সাথে বাজে কথা বলে এবং বিভিন্নরকম উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করে। তাই তাদেরকে আমরা বের করে দেই। তারা বের হয়ে আমাদের বাড়ির বিয়ের গেট ভেঙ্গে দেয়। দুদিন পরে এসে আমাদের বাড়ির সামনে থাকা পিকআপে আগুন ধরিয়ে দেয়। আমাদের মেয়েদের গলা থেকে স্বর্ণের চেইনসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র নিয়ে যায়। আমরা এর বিচার চাই।
বিষয়টি নিয়ে আমিন সওদাগর বলেন, কিছুদিন আগে প্রায় ১৪ লাখ টাকা খরচ করে আমি পিকআপ ভ্যানটি কিনি। কিন্তু তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে অভিযুক্তরা আমার এই পিকআপ ভ্যানটি পুড়িয়ে দেয় এবং বাড়ি থেকে বিভিন্ন জিনিসপত্র নিয়ে যায়। প্রশাসনিকভাবে আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই। ফরিদগঞ্জ থানার সাব ইন্সপেক্টর আমজাদ বলেন, গাড়ি জ্বালিয়ে দেয়ার অভিযোগ পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে জানলাম যে, বিয়ে বাড়িতে অনৈতিক আচরণকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টির তদন্ত চলমান অবস্থায় রয়েছে।