প্রকাশ : ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২১:০৪
হেরেম শরীফে নামাজ শেষে দুর্ঘটনায় আহত কামরুজ্জামান অবশেষে চলেই গেলেন আল্লাহর সান্নিধ্যে
পবিত্র মক্কা নগরীর হেরেম শরীফে নামাজ আদায় করে বাসায় ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্মক আহত হন কামরুজ্জামান (৩৫) নামে হাজীগঞ্জের এক রেমিটেন্স যোদ্ধা। দীর্ঘ ১১দিন আইসিইউতে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে পরপারে পাড়ি জমালেন । শুক্রবার দিন শেষে শনিবার (৯ নভেম্বর) রাতে তিনি মক্কা নগরীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এর আগে ২৯ অক্টোবর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হেরেম শরীফ মসজিদে মাগরিব নামাজ শেষে নিজ বাসায় ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি।
|আরো খবর
কামরুজ্জামান হাজীগঞ্জ উপজেলার বড়কুল পূর্ব ইউনিয়নের এন্নাতলি গ্রামের হাজী বাড়ির মরহুম আলী আশ্রাফের ছেলে। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ১২ বছর ও ৮ বছর বয়সী দুই ছেলে রেখে যান। এ ঘটনায় নিহতের পরিবার ও স্বজনসহ নিকট আত্মীয়দের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে।
নিহতের বড়ো ভাই মাহবুব হোসেন মামুন জানান, জীবিকার তাগিদে ও পারিবারিক সচ্ছলতার আশায় ২ বছর আগে মোঃ কামরুজ্জামান সৌদি আরবের মক্কায় পাড়ি জমান। গত ২৯ অক্টোবর মক্কার হেরেম শরীফে মাগরিবের নামাজ আদায় করে নিজ বাসায় ফেরার পথে তিনি রাস্তা পার হওয়ার সময় দ্রুতগামী একটি গাড়ির ধাক্কায় গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মক্কার একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তিনি ১১দিন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থাকার পর বাংলাদেশ সময় শুক্রবার দিবাগত (৯ নভেম্বর, শনিবার) রাত আনুমানিক ১টার দিকে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। তিনি আরও জানান, ঋণের টাকায় কামরুজ্জামান বিদেশে গিয়েছেন। অবুঝ দুই ছেলে স্থানীয় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা করে। এখনো ঋণের টাকা পরিশোধ হয়নি। এর মধ্যে সে এক্সিডেন্টে মারা গেলো। এখন কী করে ঋণ পরিশোধ করবে! আর তার স্ত্রী, দুই ছেলেকে নিয়ে কীভাবে চলবে! এই বলে তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বড়কুল পূর্ব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মজিব জানান, তার (কামরুজ্জামান) পরিবারের মাধ্যমে মৃত্যুর বিষয়টি জানতে পেরেছি। এ সময় তিনি মরদেহ দেশের আনার বিষয়ে সরকারি সহযোগিতা কামনা করেন।