শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৪ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস আজ
  •   চাঁদপুর সদরের শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের মান্দারি লোহাগড় গ্রামে দুটি পুকুরে বিষ দিয়ে ১৫ লাখ টাকার মাছ নিধন
  •   গৃহবধূ আসমার খুনিদের বিচারের দাবিতে ফরিদগঞ্জে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন
  •   কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে অভিযোগ
  •   হাজীগঞ্জের সন্তান অতিরিক্ত ডিআইজি জোবায়েদুর রহমানের ইন্তেকাল

প্রকাশ : ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৮:৫০

গ্রামেই কমছে না গ্রামে উৎপাদিত শীতকালীন সবজির দাম

কামরুজ্জামান টুটুল
গ্রামেই কমছে না গ্রামে উৎপাদিত শীতকালীন সবজির দাম
বাজারে পর্যাপ্ত শীতকালীন সবজি থাকা সত্ত্বেও সব ক'টির দামই সাধারণ ক্রেতার নাগালের বাইরে। ছবিটি বৃহস্পতিবার দুপুরে হাজীগঞ্জের বাকিলা বাজার থেকে তোলা হয়েছে। ছবি : চাঁদপুর কন্ঠ

যে গ্রামে উৎপাদন হয় সেই গ্রামের বাজারে কমছে না শীতের সবজির দাম। শীত মৌসুমের শুরুতে পর্যাপ্ত সবজির সরবরাহ থাকলেও দাম কমানোর কোনো লক্ষণই নেই। হাতে গোণা ২/১ টি সবজির দাম অর্ধশতের নিচে থাকলেও বেশিরভাগ সবজির দাম নিম্নবিত্ত বা নিম্নমধ্যবিত্তের নাগালের একেবারে বাইরে রয়েছে। ভাতের বিকল্প খ্যাত গোল আলুর কেজি সত্তর টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ নিয়ে বাজার মনিটরিং করলে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত সবজির বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব বলে ক্রেতা সাধারণ মনে করছেন।

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সরজমিনে হাজীগঞ্জের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, গোল আলু ৭০ টাকা, ফু্ল কপি ১শ' টাকা, করলা ৯০ টাকা, শিম ১৫০ টাকা, টমেটো ১৫০ টাকা কেজি দরে, লাল শাকের আঁটি ৪০/৫০ টাকা, বরবটি ১২০ টাকা, ঢেঁড়স ৮০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, মুলা ৬০ টাকা, কালো লম্বা বেগুন ১শ' টাকা, মাটির নিচের আলু ১২০ টাকা, কুমড়া ৭০ টাকা কেজি দরে, লাউ প্রতিটি ৮০ থেকে দেড় শ' টাকা, লাউ বা কুমড়ার শাক (৩/৪ টা) আঁটি ৫০/৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া পিঁয়াজ ১১০ টাকা। অথচ এই সবজিগুলোর বেশির ভাগই স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হয়ে থাকে। কিছু সবজি কুমিল্লার নিমসার, বিজরা ও চৌদ্দগ্রাম থেকে আসে। রসুন ২২০/২৪০ টাকা কেজি, ডিমের হালি (লাল) ৫০ টাকা অব্যাহত রয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন স্কুল শিক্ষক জানান, সবজির যে দাম, ঠিকমতো সবজি কিনলে মাসের বেতনের ৮০ ভাগই খরচ হয়ে যাবে ।

শঙ্কর বর্ধন নামের এক ইলেকট্রিক সামগ্রীর ব্যবসায়ী জানান, আমাদের গ্রামের আশেপাশে প্রচুর সবজির উৎপাদন হয়, কিন্তু কেউ কমিয়ে বিক্রি করছে না, এ ক্ষেত্রে তদারকি অত্যাবশ্যক। মাছ কিনলে সবজি কিনতে কষ্ট হয়, আবার সবজি কিনলে মাছ কেনা সম্ভব হয় না।

হাবিব উল্লাহ নামের এক সংবাদকর্মী জানান, একই সবজির একেক দোকানে একেক দাম, একেক বাজারে একেক দাম, যার যা মন চায় সেই দামেই সে বিক্রি করছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাপশ শীল জানান, আমাদের বাজার মনিটরিং হচ্ছে, তবে এখন মনিটরিং আরো বাড়ানো হবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়