প্রকাশ : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯:১৬
বাকৃবিতে শিক্ষকদের ওপর হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণ: নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রশ্নবিদ্ধ
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) অভ্যন্তরে শিক্ষক ও আবাসিক এলাকায় হামলা এবং ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. রিজওয়ানুল হককে দুর্বৃত্তরা মারধর করে। এরপর ফিজিওলজি বিভাগের অধ্যাপক আফরিনা মুস্তারীর বাসার সামনে ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়। একই রাতে কৃষি রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক মো. শহীদুল আলমের বাসায় ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে।
|আরো খবর
শিক্ষকদের অভিজ্ঞতা:
অধ্যাপক রিজওয়ানুল হক জানান, "মোটরসাইকেলে বাসায় ফেরার পথে তিন দুর্বৃত্ত আমাকে অনুসরণ করে এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে আক্রমণ চালায়। তারা আমাকে এলোপাথাড়ি লাথি ও ঘুষি মারে। এরপর আমার বাসার সামনে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।"
অন্যদিকে অধ্যাপক আফরিনা মুস্তারী বলেন, "রাত ১টার দিকে আমার বাসার সামনে তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ করে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক এলাকায় নিরাপত্তা কর্মীদের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। গভীর রাতে বাইরের লোকেরা কিভাবে এখানে ঢুকে এমন ঘটনা ঘটাতে পারে?"
নিরাপত্তা ও প্রশাসনের ব্যর্থতা:
ভুক্তভোগীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মীদের দায়িত্বহীনতা এবং প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন। অধ্যাপক রিজওয়ানুল হক বলেন, "প্রক্টরিয়াল বডি আমার বাসায় উপস্থিত হলেও তারা তদন্ত বা নিরাপত্তার বিষয়ে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। এভাবে চলতে থাকলে বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা শিক্ষকরা চরম ঝুঁকিতে থাকব।"
প্রক্টর ও প্রশাসনের ভূমিকা:
ঘটনার বিষয়ে জানতে প্রক্টর অধ্যাপক মো. আব্দুল আলীমের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। নিরাপত্তা কর্মীদের নিষ্ক্রিয়তায় ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা ব্যবস্থার চরম দুর্বলতা প্রকাশ পেয়েছে বলে মনে করছেন শিক্ষকরা।
শিক্ষকদের দাবি:
শিক্ষকরা অবিলম্বে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত, দোষীদের শাস্তি এবং ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের দাবি জানিয়েছেন। তাদের মতে, এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি শিক্ষার পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষক মহলও প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপের জন্য অপেক্ষা করছেন।