প্রকাশ : ২৯ অক্টোবর ২০২৪, ২১:৪০
চাঁদপুর জেলায় ‘গ্রাম আদালত কার্যক্রম’ সর্ম্পকে জনসচেতনতা তৈরিতে প্রচার-প্রচারণা বিষয়ে সমন্বয় সভা
গ্রাম আদালতের সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে ক্যাম্পেইনের উপর জোর দিতে হবে
-----জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন
গ্রাম আদালত কার্যক্রম সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরিতে প্রচার-প্রচারণা কার্যক্রম পরিচালনায় স্থানীয় অংশীজনদের সাথে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২৯ অক্টোবর মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় সরকার চাঁদপুর উপ-পরিচালক মোঃ গোলাম জাকারিয়ার সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ ইয়াছির আরাফাত।
উন্মুক্ত আলোচনায় বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর প্রেসক্লাব সভাপতি শাহাদাত হোসেন শান্ত, জেলা সমাজসেবা অফিসার মোঃ মনিরুল ইসলাম, জেলা তথ্য অফিসার তপন বেপারী, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর চাঁদপুরের উপ-পরিচালক নাছিমা আক্তার, স্থানীয় সরকার বিভাগের সহকারী পরিচালক হেদায়েত উল্লাহ, ব্র্যাক চাঁদপুর সমন্বয়ক জিয়াউর রহমান প্রমুখ।
জেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের প্রধান, বিভিন্ন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধি, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধি, জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
সভার শুরুতে গ্রাম আদালতের চাঁদপুর জেলার অগ্রগতি উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (৩য় পর্যায়) প্রকল্পের জেলা ব্যবস্থাপক মমতাজ বেগম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন বলেন, গ্রাম আদালত প্রাচীন বিচার ব্যবস্থা হলেও নানা কারণে বর্তমানে এ আদালতের প্রতি মানুষের অনীহা রয়েছে। মানুষের মধ্য থেকে অনীহা দূর করতে এবং গ্রাম আদালতকে সক্রিয় করতে এই কার্যক্রমকে জোরদার করতে হবে।
দেশি-বিদেশি নানা দাতা সংস্থার সাহায্যে সরকারের স্থানীয় সরকার অধিদপ্তর বিভিন্ন এনজিওকে সঙ্গে নিয়ে গ্রাম আদালতকে সক্রিয় করার চেষ্টা করছে। যাতে করে প্রান্তিক মানুষের হয়রানি না হয়, সে জন্য গ্রাম আদালতকে একটি আইনের আওতায় নিয়ে এসেছে। তদারকি বাড়ানো হয়েছে ডিজিটালাইজেশন করছে। তবে সেক্ষেত্রে সকল স্টেইক হোল্ডারকে এগিয়ে আসতে হবে। গ্রামে-গঞ্জে গ্রাম আদালত সম্পর্কে প্রচার-প্রচারণার কাজ করতে হবে। ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও প্যানেল চেয়ারম্যানদেরকে প্রশিক্ষণের আওতায় আনতে হবে।
জেলা প্রশাসক বলেন, বাংলাদেশের নতুন প্রেক্ষাপটে গ্রাম আদালতের কাজ কিছুটা স্থবির আছে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের উপজেলা পর্যায়ে মিটিং করে এবং গ্রাম আদালত বিষয়ে ক্যাম্পেইনের উপর জোর দিতে হবে।
এছাড়া সভায় গ্রাম আদালত আইন ২০০৬ ও সংশোধিত আইন ২০১৩ ও ২০২৪-এর আলোকে প্রান্তিক পর্যায়ে জনগণকে ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে গ্রাম আদালত সম্পর্কে সচেতনতা প্রদান করার কৌশল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। সভায় উপস্থিত অংশগ্রহণকারীগণ তাদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের বাস্তবায়নাধীন বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের সময় অংশগ্রহণকারী বা সুবিধাভোগীদের মাঝে কীভাবে গ্রাম আদালত সম্পর্কে ব্যাপক সচেতনতা তৈরি করা যায় তা তুলে ধরেন।