শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২০ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।

প্রকাশ : ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ১৪:৪৫

চাঁদপুরে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড

মিজানুর রহমান
চাঁদপুরে সর্বোচ্চ  বৃষ্টিপাতের রেকর্ড
চাঁদপুরের টানা বৃষ্টিতে লেকের পানি বেড়ে পানিতে তলিয়ে আছে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ভাস্কর্য অঙ্গীকার

চাঁদপুর জেলায় গত ২৪ ঘন্টায় বছরের সর্বোচ্চ ২৭৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। টানা বৃষ্টিপাতে জেলা সদরসহ বিভিন্ন এলাকায় সড়ক ও বাসাবাড়িতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এর আগে চলতি বছরের ২৭ মে জেলায় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয় ২৫৭ মিলিমিটার।

শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত ও শনিবার (৫ অক্টোবর) সকালে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। শহর ঘুরে দেখা গেছে, অধিকাংশ মহল্লা ও সড়কে জলাবদ্ধতা। বিশেষ করে শহরের পুরাণবাজার মধুসূদন হাইস্কুল মাঠ বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে। নতুনবাজার এলাকার নাজিরপাড়া, মিশন রোড আশ্রম এলাকা, প্রফেসর পাড়া, মমিন পাড়া, গুয়াখোলা, চিত্রলেখা মোড়, পালপাড়া, আলিম পাড়া, আদালত পাড়া, রহমতপুর আবাসিক এলাকা, গাজী সড়ক, মাদ্রাসা সড়কে বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এসব এলাকার সড়কের বাসাবাড়িতে পানি প্রবেশ করায় চরম দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে।

মিশন রোড এলাকার অটোরিকশা চালক রেদওয়ান ইসলাম বলেন, ভোর ৬টায় সড়কে নেমেছেন। বৃষ্টির কারণে লোকজন বাসাবাড়ি থেকে নামেনি। যাত্রীর অপেক্ষায় আছেন। সড়কে যানবাহন সংখ্যা খুবই কম বলে জানালেন তিনি।

নাজিরপাড়ার মামুনুর রশিদ বলেন, বৃষ্টির পানি তাদের বাসার নিচতলায় হাঁটু পরিমাণ। গতকাল রাত থেকেই এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

পালপাড়া এলাকার মাজহারুল ইসলাম বলেন, চলতি বছর টানা বৃষ্টি হলেও শুক্রবার রাত থেকে বৃষ্টির পরিমাণ ছিলো অনেক বেশি। তাদের বাসায়ও পানি হাঁটু পরিমাণ।

শহরের শপথ চত্বর এলাকায় মাঠা বিক্রি করেন বিকাশ। তিনি বলেন, সকাল ৬টায় এসে মাঠা বিক্রির জন্যে বসেছেন। বৃষ্টির কারণে সকাল ১০টা পর্যন্ত কোনো ক্রেতা আসেনি। মাঠা বিক্রিতেই তার সংসার চলে। যে কারণে বৃষ্টিতেও ঘরে বসে থাকতে পারেননি।

চাঁদপুর সদর উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ আলগী গ্রামের বাসিন্দা আব্দুস ছাত্তার বলেন, টানা বৃষ্টিতে বাড়ির চারপাশে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। বাড়ি থেকে বের হওয়ার সড়কেরও বেহাল অবস্থা।

এর আগে শুক্রবার (৪ অক্টোবর) সন্ধ্যা থেকে মুষলধারে বৃষ্টিপাত শুরু হয়। থেমে থেমে সারারাত বৃষ্টি ও বজ্রপাত অব্যাহত ছিলো। সন্ধ্যার পর থেকে শহরের সড়কগুলোতে যানবহন চলাচল কমে যায়। অনেকেই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বাসাবাড়িতে চলে যায়।

চাঁদপুর আবহাওয়া অফিসের উচ্চ পর্যবেক্ষক শাহ্ মো. শোয়েব বলেন, ৪ অক্টোবর সকাল ৯টা হতে ৫ অক্টোবর সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৫০ মিলিমিটার এবং সকাল ৬টা হতে ৯টা পর্যন্ত ২৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। ২৪ ঘন্টা হিসেবে এই বছর জেলায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত ২৭৭ মিলিমিটার। এর আগে গত ২৭ মে জেলায় ২৫৭ মিলিমিটার সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়।

চাঁদপুরের টানা বৃষ্টিতে লেকের পানি বেড়ে পানিতে তলিয়ে আছে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ভাস্কর্য অঙ্গীকার

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়