শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।
  •   রাষ্ট্রীয় পদে আসীন হচ্ছেন খবরে আসামিপক্ষে শুনানি করলেন না সমাজী।

প্রকাশ : ২৭ আগস্ট ২০২৪, ০৯:৪৬

আলহাজ্ব ডাঃ এমএ গফুরের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী পালন

চাঁদপুর কণ্ঠ রিপোর্ট
আলহাজ্ব ডাঃ এমএ গফুরের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী পালন

চাঁদপুরের কিংবদন্তীতুল্য নিভৃতচারী সমাজসেবক, সর্বজনশ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব, চাঁদপুর ডায়াবেটিক হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও ভাষা সৈনিক আলহাজ্ব ডাঃ এমএ গফুরের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে ২৫ আগস্ট বাদ জোহর চাঁদপুর ডায়াবেটিক হাসপাতালের এবাদতখানায় দোয়া, মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া ও মোনাজাতে উপস্থিত ছিলেন পরিচালনা পর্ষদের সদস্য আলহাজ্ব এমএ বারী খান, ডাঃ এসএম মোস্তাফিজুর রহমান, আজীবন সদস্য অধ্যক্ষ মোজাম্মেল হক পাটওয়ারী, রোটাঃ খোরশেদ আলম পাটওয়ারী কাঞ্চন, মাহমুদা খাতুন, গোলাম হোসেন টিটুসহ চিকিসক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন হাসপাতালের ইমাম মাওঃ শাহজালাল প্রধানীয়া।

উপস্থিত ছিলেন পরিচালনা পর্ষদের সদস্য স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ সৈয়দা বদরুন নাহার চৌধুরী, রোটাঃ সুভাষ চন্দ্র রায়, রোটাঃ তমাল কুমার ঘোষ প্রমুখ।

ডাঃ এমএ গফুরের পরিচিতি : চাঁদপুরবাসীর সুপরিচিত ব্যক্তিত্ব আলহাজ্ব ডাঃ এমএ গফুর। নিঃস্বার্থ এই সমাজসেবক পেশায় ছিলেন একজন চিকিৎসক। একাধারে তিনি ছিলেন সমাজসেবক, সমাজকর্মী ও দক্ষ সংগঠক। একজন প্রতিথযশা চিকিৎসক ও দক্ষ সংগঠক হিসেবে তিনি চাঁদপুর জেলায় স্বাস্থ্যখাত ও সামাজিক খাতে উন্নয়নের জন্যে বিভিন্ন জনহিতকর প্রতিষ্ঠান, সংগঠন প্রতিষ্ঠায় অগ্রগামী ভূমিকা পালন করেছেন। তাঁর নেতৃত্বে চাঁদপুরে বহু সামাজিক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সেই প্রতিষ্ঠাগুলো এখনও আর্তমানবসেবায় কাজ করে যাচ্ছে। এসব জনহিতকর প্রতিষ্ঠানের সাথে জীবনের দীর্ঘ সময় জড়িত থেকে মানব সেবা করে দেশ ও বিদেশে প্রচুর প্রশংসা অর্জন করেছেন। তিনি ১৯৫২ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজে অধ্যায়নের সময় ভাষা আন্দোলনে ভাষা সংগ্রামী হিসেবে এবং পরবর্তীতে স্বাধীনতা আন্দোলনে প্রত্যক্ষ ভূমিকা রেখেছেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তাঁর পৈত্রিক বাড়ি পাক হানাদার বাহিনী আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছিলো। চাঁদপুর ডায়াবেটিক হাসপাতালের জন্য তিনি ০.৩৮২৫ একর ভূ-সম্পত্তি দান করে গেছেন। যার উপরে বর্তমানে চাঁদপুর ডায়াবেটিক হাসপাতাল ভবন অবস্থিত। প্রতিথযশা চিকিৎসক ও জনহিতৈষী ডাঃ এমএ গফুর ২০১৯ সালের ২৩ আগস্ট ঢাকাস্থ নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ^াস ত্যাগ করেন।

সংক্ষিপ্ত জীবন বৃত্তান্ত : আলহাজ্ব ডাঃ এমএ গফুর চাঁদপুর জেলার হাইমচর উপজেলার চর কোড়ালিয়া গ্রামে ১৯৩৩ সালের ২৮ অক্টোবর সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মরহুম পিয়ার আলী সরকার ও মাতার নাম মরহুমা সৈয়দুন্নেছা। আলহাজ্ব ডাঃ এমএ গফুর চাঁদপুর গনি হাই স্কুল থেকে ১৯৪৮ সালে ম্যাট্রিক, ১৯৫০ সালে ঢাকা জগন্নাথ কলেজ থেকে আইএসসি ও ১৯৫৬ সনে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন। একজন মেধাবী চিকিৎসক হিসেবে ১৯৬৫ সালে লন্ডন ও এডিনবার্গে স্নাতকোত্তর চিকিৎসাবিদ্যা ও রেডিওলজিতে অধ্যয়ন করেন। তাঁর স্ত্রী মরহুম অধ্যাপক মাহমুদা খাতুন ১৯৬৪-১৯৬৭ পর্যন্ত চাঁদপুর সরকারি কলেজে অধ্যাপনা করেছেন। সর্বশেষ ১৯৬৭-১৯৯৩ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। ডাঃ এমএ গফুর ১ কন্যা ও ২ পুত্র সন্তানের জনক। কন্যা মিসেস মাহফুজা হক অর্থনীতিতে এম.এ (ঢাবি)। জেষ্ঠ্য পুত্র অধ্যাপক ডাঃ শাকিল গফুর, এমবিবিএস, ডিটিসিডি, এমডি (কার্ডিওলজি) রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান। কনিষ্ঠ পুত্র অধ্যাপক ড. শায়ের গফুর, পিএইচডি, এফআইএবি, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) স্থাপত্য বিভাগের ডিন হিসেবে কর্মরত।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়