প্রকাশ : ১৪ মে ২০২৪, ১৫:৫৯
নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে সাংবাদিক সম্মেলন করলেন চাঁদপুর সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী আইয়ুব আলী
সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকে দমন ও নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার আহ্বান
নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মোঃ আইয়ুব আলী (দোয়াত কলম)।
সকল ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডকে দমন ও নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার আহ্বান জানিয়ে নির্বাচন কমিশন প্রশাসন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৪ মে,২০২৪ খ্রিঃ তারিখ বেলা বারোটার সময় চাঁদপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সাংবাদিক সম্মেলন করেন তিনি।
এ সময় তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে তার নির্বাচন সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় লিখিতভাবে তুলে ধরেন এবং বক্তব্য রাখেন।
প্রেসক্লাব সভাপতি শাহাদাত হোসেন শান্তের সভাপতিত্বে ও সাবেক সভাপতি এ এইচ এম আহসান উল্লাহ'র সঞ্চালনায়
বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান বাবুল ও জেলা যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক মাহফুজুর রহমান টুটুল ভূঁইয়া।
প্রেস ক্লাব সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান সুমন, সাবেক সভাপতি ও দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের প্রধান সম্পাদক রোটাঃ কাজী শাহাদাত, সাবেক সভাপতি গিয়াস উদ্দিন মিলন সহ প্রেসক্লাব অন্যান্য কর্মকর্তা, আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সকল পর্যায়ের সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে চেয়ারম্যান প্রার্থী আইয়ুব আলী বেপারী বলেন, আমি ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি।আমার মার্কা দোয়াত- কলম। নির্বাচনী প্রতীক পেয়ে আমি আমার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।আলহামদুলিল্লাহ জনগণের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। সদর উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়ন এবং চাঁদপুর পৌরসভার ১৫ টি ওয়ার্ড আমার নির্বাচনী এলাকা। এসব ইউনিয়নের কয়েকটি ইউনিয়ন এবং পৌরসভার কয়েকটি ওয়ার্ডে আমার নির্বাচনী প্রচারণা ও গণসংযোগ করতে গিয়ে আমার কর্মী সমর্থকরা প্রতিনিয়ত বাধা, হুমকি ও সন্ত্রাসী হামলার সম্মুখীন হচ্ছে।বিশেষ করে পৌর ১৫ নং ওয়ার্ড এবং তরপুরচন্ডী ও কল্যানপুর ইউনিয়নে আমার কোন নির্বাচনী প্রচারণা চালানো যাচ্ছে না। সন্ত্রাসীরা এসব এলাকায় আমার নির্বাচনী কোন পোস্টার ব্যানার রাখছেনা।একদিকে আমার কর্মীরা পোস্টার, ব্যানার লাগিয়ে আসছে, পরক্ষণেই ওইসব দুর্বৃত্ত সন্ত্রাসীরা সেগুলো খুলে নিয়ে যাচ্ছে। এই সন্ত্রাসীরা পৌর ১৫ নং ওয়ার্ড ও তরপুরচন্ডী এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করে আছে দীর্ঘদিন যাবত। গত ১২মে রোববার কল্যাণপুর ইউনিয়নে আমার দোয়াত কলম মার্কার গণসংযোগ করার অপরাধে আমার কর্মী -সমর্থকদেরকে মারধর করা হয়।
তিনি বলেন, এই সন্ত্রাসী বাহিনী আমার কর্মী সমর্থকদের ভোটের দিন এবং ২১ মে' র পরে দেখে নেয়ার হুমকি দিচ্ছে। পৌরসভার ১২,১৩,১৪,১৫ নং ওয়ার্ডে এবং তরপুরচন্ডী বিষ্ণুপুর আশিকাটি ও কল্যাণপুর ইউনিয়নের ভোটকেন্দ্র গুলোতে আমার কোন পোলিং এজেন্ট ঢুকতে দেবে না,কেন্দ্র থেকে বের করে দিবে এমন হুমকি তারা দিচ্ছে । এসব ওয়ার্ড ও ইউনিয়নের কেন্দ্রগুলো তারা দখলে নিয়ে যাবে বলে হুমকি দিচ্ছে। আমি গত ৫ বছর এই উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছি।উপজেলা পরিষদের কাঠামোতে ভাইস চেয়ারম্যানের হাতে তেমন কিছু করার ক্ষমতা নেই। তারপরও আমি আমার ব্যক্তিগত উদ্যোগে নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী জনগণের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। করোনা মহামারীর সময় জনগণের পাশে ছিলাম। স্থানীয় সংসদ সদস্য মাননীয় সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি আপার কাছাকাছি থেকে তার একজন বিশ্বস্ত কর্মী হয়ে বিগত ১৫ বছর তার বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ দেখভাল করেছি। সেসব অভিজ্ঞতার আলোকে আমি তৃণমূল পর্যায়ে সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড মানুষের দোরগোডায় পৌঁছে দিতে এবং অসহায় নিরীহ মানুষ যেন তার প্রাপ্ত অধিকার ঠিকমতো বুঝে পায় সে লক্ষ্যে আমি এবারের নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছি। আপনাদের দোয়া ও ভালোবাসা সহযোগিতা এবং সমর্থন পেলে ইনশাআল্লাহ আমি কামিয়াব হবো।
তিনি আরো বলেন, আমি সদর উপজেলা ও পৌরবাসীর কাছে ভোট প্রার্থনা করছি।কোন সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী এবং ভূমিদস্যু দের কবলে যেনো এই উপজেলাটি না যায় আমার এই আবেদন টুকু আপনাদের মাধ্যমে জনগণের কাছে রইলো। আমি নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি সকল ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডকে দমন করে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ যেন বজায় রাখা হয়।
এসময় তিনি স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছেও তার প্রতীক দোয়াত কলম মার্কায় ভোট চান।