প্রকাশ : ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ২০:৩৪
ঠাকুর বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১৪ টি দোকান পুড়ে ছাই, কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি
শাহরাস্তি উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ঠাকুর বাজারে গভীর রাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১৪ টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে প্রায় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ২২ এপ্রিল সোমবার গভীর রাতে চা দোকানী অনিলের দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। বাজার ব্যবসায়ী মোশারফ হোসেন জানান, রাত প্রায় ৩টার সময় আগুন লাগার দৃশ্য দেখতে পায় বাজারের ঝাড়ুদার কল্পনা দাস। তিনি আগুন দেখতে পেয়ে চিৎকার দিলে পার্শ্ববর্তী লোকজন ছুটে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে চেষ্টা করে। এদিকে এলাকার লোকজন বাজার মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিলে এলাকাবাসী বালতি ও পানি নিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। আগুন লাগার পর শাহরাস্তি ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করে। এদিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে ১৪ টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। বাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা নিঃস্ব হয়ে পড়ে। আলু, পেঁয়াজ, রসুন, চা পাতা, লন্ডি, সহ বিভিন্ন কাঁচামাল আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত দোকান গুলো হলো আঃ রব মিয়ার লন্ডি দোকান, মনু মিয়া ও বিল্লাল হোসেনের কাঁচামাল, দেলোয়ার হোসেনের সুতার দোকান, কামরুল ইসলামের কাঁচামালের আড়ৎ, অনিল সাহার চায়ের দোকান, পরেশ সাহার মুদি দোকান, মোশারফ হোসেনের কাঁচামালের আড়ৎ, বাচ্চু মিয়া ও বিল্লাল হোসেনের কাঁচামালের দোকান, সিরাজুল ইসলামের মুদি দোকান, আলমগীর হোসেনের পেয়াজ রসুনের আড়ৎ, আক্তার হামিদের মুদি দোকান, আলী হোসেন রতন মৃর্ধার কুঠির শিল্প, জামাল হোসেনের কাঁচামাল ও নূরু মিয়ার পেঁয়াজ রসুনের আড়ৎ।
আগুনে পুড়ে যাওয়া দোকান মালিকদের মধ্যে শাহরাস্তি পৌর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সভাপতি ওহিদুল রহমানের ৩ টি দোকান ঘর ও শ্রীপুর মিয়া বাড়ির আজিজুল হক ফরিদ মিয়ার ৫ টি দোকান ঘর রয়েছে।
আগুনের সংবাদ পেয়ে শাহারাস্তি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসির আরাফাত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদারদের সহযোগিতা করার আশ্বাস প্রদান করেন।
ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিক শাহ এনামুল হক কমল, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের আর্থিকভাবে সহযোগিতা করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর দেলোয়ার হোসেন জানান, রাতে আগুন লাগার পর বাজারের পাহারাদার আমাকে ফোন দিলে আমি ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে ফোন করি। তারা ঘনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আমি জানতে পেরেছি অনিলের চা দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। শাহরাস্তি পৌরসভা থেকে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদারদের সহযোগিতা করা হবে।