প্রকাশ : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:৩৬
দেশীয় অস্ত্রসহ এক যুবককে পুলিশে সোপর্দ করলেন ইউপি চেয়ারম্যান
চাঁদপুর সদর উপজেলার তরপুচন্ডী ইউনিয়নের দু'বারের চেয়ারম্যান মোঃ রাসেল গাজী দেশীয় অস্ত্রসহ ইকবাল বন্দুকসী নামে এক যুবককে পুলিশে সোপর্দ করার খবর পাওয়া গেছে।
জানা যায়, ইকবাল বন্দুকশী তরপুচন্ডী ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের ইদ্রিস আলীর ছেলে।
বড় ভাইয়ের স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়েছে কয়েক বছর পূর্বে । বেশ কয়েক বছর পালিয়ে থাকার পর দেশে আসলে এ নিয়ে সালিশি বৈঠক হয়। সালিসি বৈঠকে প্রধান ভুমিকা পালন করেন উক্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ রাসেল গাজী ।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন যাবত ক্ষিপ্ত হয়ে রয়েছে ইকবাল বন্দুকসী। এই ক্ষিপ্ততার কারনে ধারালো অস্ত্র নিয়ে ২৮ ফেব্রুয়ারী দুপুরে ইউনিয়ন পরিষদের সামনে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয় ইকবাল বন্দুকসী।
এলাকাবাসী ও গ্রাম পুলিশ তাকে অস্ত্রসহ ধরে আটকে রাখে। পরবর্তীতে ঘটনাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ রাসেল গাজীকে জানালে তিনি চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মুহসীন আলমকে জানালে তাঁর নির্দেশে মডেল থানা পুলিশের এসআই আজাদ ঘটনাস্থলে ফোর্স নিয়ে গিয়ে অস্ত্রসহ যুবককে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
এদিকে এলাকাবাসী জানান, তরপুচন্ডী ডগার বিলে ইকবালের মালিকানাধীন ৬ শতাংশ জায়গা আশি হাজার টাকা মূল্যে ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে বিক্রি করে। পরবর্তীতে চেয়ারম্যান ক্রয়কৃত সম্পওি নকশা অনুযায়ী দখল না নিয়ে রাস্তার পাশে জায়গা দখল করে নেওয়ায় এ নিয়ে দুজনের মাঝে বাকবিতন্ড সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে সালিশি বৈঠক হলে আরো দশ হাজার টাকা কম দিয়ে সেই জায়গা নেওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু মোবাইল ফোনে চেয়ারম্যান এর সাথে ইকবালের বাক বিতণ্ডা সৃষ্টি হয়। এই ঘটনায় ইকবাল ক্ষিপ্ত হয়ে ইউনিয়ন পরিষদের সামনে গিয়ে চেয়ারম্যানকে গালমন্দ করে।
এরপর প্রকৃত ঘটনা আড়াল করার জন্য ইকবালকে ফাঁসিয়ে দেওয়ার জন্য এ ঘটনাটি ঘটায় বলে অভিযোগ ইকবাল বন্দুকসীর পরিবারের।
এ বিষয়ে পুলিশ জানান, দেশীয় অস্ত্রসহ আটক স্হানীয়রা আটক করে আমাদের কাছে সোপর্দ করেছে। ঘটনার মুল বিষয় এখনো ভালো করে জানা হয়নি। আমি ডিউটিতে রয়েছি, থানায় এসে ঘটনাটির মুল রহস্য জানবো।
পুলিশের হাতে আটক হওয়া ইকবাল জানান , সম্পত্তি ক্রয় বিক্রয় নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান রাসেল গাজির সাথের আমার সম্পওিগত দ্বন্দ্ব চলে আসছিলো। ঘটনার দিন মসজিদের ইমামের কাছ থেকে গরু কাটার ছুরি নিয়ে মরিচ গাছ রোপন করতে গেলে পরিষদের লোকজন ধরে আটকে রেখে থানা পুলিশে খবর দিয়ে আমাকে পুলিশে হস্তান্তর করে।