শনিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাজীগঞ্জে তাল গাছ থেকে পড়ে আহত যুবকের মৃত্যু
  •   অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন চৌধুরী মারা গেছেন
  •   ছেলের মামলা-হামলায় বাড়িছাড়া বৃদ্ধা মা
  •   মতলব উত্তরে ইকবাল হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন
  •   মতলবে ১০ কেজি গাঁজাসহ আটক ৩

প্রকাশ : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:৫২

জেলা যাত্রী ও পন্য পরিবহন কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

জেলা যাত্রী ও  পন্য পরিবহন কমিটির সভা অনুষ্ঠিত
অনলাইন ডেস্ক

জেলা যাত্রী ও পণ্য পরিবহন কমিটির এক সভা বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলা প্রশাসকের হলরুমে জেলা প্রশাসক ও এই কমিটির সভাপতি কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ( এডিএম) এ এস এম মোসা'র পরিচালনায় সভার শুরুতেই গত সভার সিদ্ধান্তসমূহ পড়ে শুনানো হয়। পরে আজকের সভার তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। আলোচ্য বিষয়গুলোর মধ্যে ছিলো চাঁদপুর বিআরটিএর তথ্যমতে, লক্ষ্মীপুর টু চাঁদপুর চলাচলকারী বাস আনন্দ পরিবহন অবৈধভাবে চলাচল করছে। চাঁদপুরে চলাচলের ক্ষেত্রে তাদের কোন বৈধতা নেই। কিন্তু বছরের পর বছর এসব বাস নোয়াখালী, রায়পুর লক্ষ্মীপুর হয়ে চাঁদপুরে বাধাহীনভাবে চলছে। আনন্দ পরিবহনের ১৪/১৫ টি বাস চাঁদপুরে প্রবেশ করে বলে সভাকে অবগত করেন বিআরটিএ। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক ও এর সভাপতি বিআরটিএর কর্মকর্তা ও ট্রাফিক পুলিশদের নির্দেশ দেন, এসব গাড়িগুলো তাদের বৈধ কাগজপত্র নিয়ে যেন আগামীতে চলাচল করে। তিনি বলেন, শুধু নোয়াখালী লক্ষ্মীপুরের রুট পারমিটের অনুমতি থাকলে সেগুলো সেইসব সড়কে চলবে। আর চাঁদপুরের সাথে এখানের যাত্রী সাধারণের চাহিদা থাকলে চাঁদপুরেও চলবে, কিন্তু অবৈধভাবে নয়। তাই এ ক্ষেত্রে আইনত: যা করার সেটি দেখা হবে।

সভায় দ্বিতীয় আলোচ্য বিষয়ে জানানো হয়, চাঁদপুর শহরের বাবুরহাট এলাকা থেকে মতলব হয়ে ঢাকার সাথে জৈনপুর এক্সপ্রেস, জৈনপুর পরিবহন নামের বাসসহ অন্যান্য শহর অভিমুখি কিছু যানবাহন যত্রতত্র বা ফিলিং ষ্টেশনগুলোর সামনে অবৈধ পার্কিং করার ফলে সড়কপথে চলাচলে চরম দুর্ভোগ সৃষ্টি করছে। সভায সভাপতি জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান নিজেও বলেন, এই রকম দুর্ভোগের শিকার আমাদের সরকারি গুরুত্বপূর্ণ গাড়িগুলো হচ্ছে।এসময় সভায় উপস্থিত ট্রাফিক পরিদর্শক মাহাফুজুর রহমান জানান, এই বাসগুলো বাবুর হাট মোড় এলাকা, মতলব অভিমুখী সড়কের দু' পাশ দখল করে রাখে বেশির ভাগ সময়ে। আর এসবের জন্য ট্রাফিক পুলিশকেও বেগ পোহাতে হয়। যানজট সৃষ্টি হয়। আমরা চেষ্টা করি, কিন্তু এদের আয়ত্ত নেয়া কঠিন। এসময় সভাপতি জেলা প্রশাসক বলেন, এদের এসব অনিয়ম বিশমংখলা দূরীকরণে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। সামনে এসব করলে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে এদের আইনের আওতায় আনতে যা করনীয় তাই করা হবে। সড়কে বাধা বা নৈরাজ্য সৃষ্টি করে কোন যানবাহনই চলতে দেয়া যাবে না।

এদিকে হাজিগন্জ থেকে কচুয়া গৌরীপুর হয়ে ঢাকার সাথে চলাচলকারী সুরমা বাসে সরকারের ধার্য্যের চেয়েও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়,হয় বলে জানান, বিআরটিএ কর্মকর্তা। তিনি সভাকে জানান, তিনি নিজেও টিকিট কেটে এর সত্যতা পেয়েছেন। জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান জানান, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে কোনভাবেই যাত্রী হয়রানিনকরা যাবে না। সুরমা বাসের এই অতিরিক্ত ভাড়া খুব দ্রুত তাদের নিজেদেরই বন্ধ করতে হবে।

এছাড়া এগুলোর জন্য আমাদের ভ্রাম্যমান আদালত যে কোন সময়ই ব্যবস্থা নেবে।

এদিকে সভায় চাঁদপুর শহরের তীব্র যানযটের বিষয় নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়। ট্রাক চলাচল, অসংখ্য ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক, সিএনজি চালিত অটোরিকশা, তেলের গাড়ি, ব্যাটারিচালিত রিক্সাসহ নানা প্রকার যানবাহন শহরবাসীকে দিনদিনই চলাচলে দুর্ভোগের মধ্যে ঠেলে দিচ্ছে। পৌর মেয়র রাস্তা প্রশস্তকরনে হাত দেয়ায় এ পরিস্থিতি অনেকটা উন্নতির দিকে যাবে বলে দৃশ্যমান হওয়ার কথা। কিন্তু বাড়তি যানবাহন বিশেষ করে তিন চাকার ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক, সিএনজি অটোরিকশায় সয়লাভ হয়ে যাচ্ছে শহর। এছাড়া মেথারোডস্থ ( বিএনপি অফিস সংলগ্ন) তথা জরাজীর্ণ পাকাব্রিজ এলাকা, কালিবাড়ি, মিশন রোড, চিত্রলেখা, মুক্তিযোদ্ধা সড়ক, জয়বাংলা ( শপথ চত্বর) ম্যুরাল, বাসস্ট্যান্ড, হাসপাতাল এলাকা, পালবাজার মোড় ব্রিজ এলাকাসহ শহরের সর্বত্রই দিনরাত যানযট লেগেই আছে। সভায় বলা হয়, পৌরসভা অন্চলে গ্রামগুলো থেকেও ইজিবাইকগুলো চলে আসছে। চাঁদপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র ফরিদা ইলিয়াস বলেন, আমাদের পৌরসভা থেকে নিয়মানুযায়ী ইজিবাইকের রেজিষ্ট্রেশন দেয়া হয়েছে। বাড়তি ইজিবাইক বিভিন্ন অন্চল থেকে আসে।

এদিকে সিএনজি চালিত অটোরিকশা রেজিষ্ট্রেশন নতুন করে না দেয়ার জন্য সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। জেলা প্রশাসক বলেন, যানজটের বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটি, জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভাসহ নানা সভাই জোরালো আলোকপাত করা হয়। তিনি বলেন, পৌর মেয়রের সাথে সমন্বয় করে আমরা চেষ্টা করছি কিভাবে শহরের যানজট নিরসনটা করা যায়। চাঁদপুর সিএনজি স্টেশন, ইজিবাইক সহ অন্যান্য স্থায়ী স্টেশনগুলো করতে কিভাবে করা যায় তা নিয়ে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

সভায় বাস মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক, মমিন মিয়া, এ কমিটির সদস্য ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী, ট্রাক ও ট্যাংক লরি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম মন্টু প্রমুখ।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়