প্রকাশ : ২৬ আগস্ট ২০২১, ১১:৩০
হাজীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই কী চলছে অবৈধ ড্রেজার !
হাজীগঞ্জসহ জেলার সব উপজেলায় ড্রেজারের উপর ব্যাপক অভিযান চালায় প্রশাসন। কদিন যাবৎ লাখ লাখ টাকা জরিমান আদায় করা হয় অবৈধ ড্রেজার মালিকদের থেকে এবং অনেক ড্রেজার আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়। প্রশাসনের এমন কঠোরতার কারণে অনেক ড্রেজার ব্যবসায়ীরা গুটিয়ে নিয়েছে তাদের ব্যবসা। কিন্তু ভিন্ন দৃশ্য দেখা গেল হাজীগঞ্জ উপজেলার ৮নং হাটিলা পূর্ব ইউনিয়নের লাওকোরায়। লাওকোরা পশ্চিম মাঠ ও বেলঘরের একটা অংশে নির্ভয়ে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে কৃষিজমি থেকে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে।
|আরো খবর
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ড্রেজার মালিক বেলঘর গ্রামের জসিম উপজেলা প্রশাসন (ইউএনও অফিস)কে ম্যানেজ করে নাকি ড্রেজার চালাচ্ছেন। এছাড়াও স্থানীয় এক যুবলীগ নেতাও সংবাদকর্মীকে অর্থ দিয়ে ম্যানেজ করারও অভিযোগ পাওয়া যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক লাওকোরা গ্রামের একজন বৃহস্পতিবার চাঁদপুর কণ্ঠকে জানান, ড্রেজারটি প্রায় ২০-২৫ দিন আগে এখানে নিয়ে আসে। তবে তখন চারদিকে ড্রেজারের উপর প্রশাসনের কঠোরতার কারনে চালায়নি। ৫ দিন ধরে হঠাৎ ড্রেজারটি চালানো শুরু করে। ড্রেজার মালিক ও তার সহযোগিরা এলাকায় বলে ইউএনও অফিসের অনুমতি নিয়ে চালাচ্ছে। প্রশাসনও এ ড্রেজারের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা এখনো নেয়নি। তবে উপজেলা প্রশাসনকে ম্যানেজ করার কথা অস্বীকার করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার। তিনি বলেন, আমি এবং আমার অফিসের কাউকে ম্যানেজ করার কথাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। ড্রেজার মালিক জসিম চাঁদপুর কণ্ঠকে বলেন, ১৫ আগস্ট উপলক্ষে এক যুবলীগ নেতাকে চাঁদা দিয়েছি। অল্প কদিন চালানো হবে ড্রেজারটি। আরেক প্রশ্নের জবাব দিতে তিনি অস্বীকৃতি জানান।