প্রকাশ : ১২ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:২৯
শীতে বিপর্যস্ত চাঁদপুরের জনজীবন
মাঘের আগেই পশ্চিমা হিমেল হাওয়ায় চাঁদপুরে অনুভূত হচ্ছে ঠান্ডা।শীতে জবুথবু এখানকার জনজীবন।শীতবস্ত্রের অভাবে বিপাকে ছিন্নমূল, হতদরিদ্র মানুষ। ঘন কুয়াশা আর হিমশীতল বাতাসের কারণে কনকনে শীতে দুর্ভোগ বেড়েছে ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষের। আয় কমে গেছে রিকশা, অটোরিকশা,ভ্যান চালকদের। ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। ঠান্ডায় বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের কষ্ট বেড়েছে।শীতের তীব্রতার কারণে বীজতলা ও সবজি ক্ষেত নষ্ট হচ্ছে। লোকসানের মুখে পড়ছেন চরাঞ্চলের কৃষকরা। কুয়াশা ভেদ করে সূর্যের দেখা মিললেও নেই কোনো উত্তাপ।গায়ে একাধিক মোটা কাপড় জড়িয়েও শীত নিবারণ করা যাচ্ছে না।
|আরো খবর
চাঁদপুর কোর্টস্টেশনের দিনমজুর রকমান(৫৬) জানায়,শুক্রবার সরাদিনই প্রচুর শীত পড়ছে।হাতপায়ে কাঁপন ধরেছে,আহ কি শীত।
দেশে সবচেয়ে বেশি শীত পড়ে জানুয়ারি মাসে। বাংলা ঋতুচক্রে পৌষ মাস প্রায় শেষ হয়ে যাচ্ছে, কড়া নাড়ছে মাঘ। তবে পৌষের শেষে শৈত্যপ্রবাহ আর ঘন কুয়াশায় ঠান্ডা অনুভব হচ্ছে বেশি। মাঘের শুরুতেও এমন শীত থাকবে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির বলেন, উত্তর পশ্চিমের বাতাসের কারণে দেশের কোথাও কোথাও বেশি ঠান্ডা অনুভব হচ্ছে। শুক্রবার অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। তবে এটি কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। শুক্রবার ও শনিবার সারা দেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আর পরবর্তী পাঁচ দিনে দেশের দক্ষিণ ও মধ্য অঞ্চলে হালকা বা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।