প্রকাশ : ১৮ আগস্ট ২০২৩, ২০:১২
রহিমানগরে অপকর্মের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল
কচুয়া উপজেলার গোহট উত্তর ইউনিয়নের রহিমানগর বাজার সংলগ্ন সাতবাড়িয়া গ্রামের বখাটে বাবুল নামে এক ব্যক্তির অপকর্মের প্রতিবাদে গ্রামবাসী বিক্ষোভ মিছিল করেছে। শুক্রবার (১৮ আগস্ট) সাতবাড়িয়া পশ্চিম পাড়া ছোবাহানিয়া জামে মসজিদে জুমার নামাজ শেষে গ্রামবাসী এ বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিল শেষে মসজিদের আঙ্গিনায় গ্রামবাসী বাবুলের বিভিন্ন অপকর্মের প্রতিবাদে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করেছে।
|আরো খবর
সরজমিনে গেলে গ্রামের নারী পুরুষ জানান, বাবুল দীর্ঘদিন থেকে গোপনে মহিলাদের বাথরুম, গোসলখানা ও ভেলকি দিয়ে আপত্তিকর ভিডিও ধারন করে। এসব ভিডিও ধারন করে নারীদের ভয়-ভীতি দেখিয়ে অর্থকড়ি হাতিয়ে নেয়। এছাড়া সে মাদক, চুরি সহ বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত বলেও তারা জানান।
স্থানীয়রা আরও জানান, সর্বশেষ সে গত ১৩ আগস্ট রাতে তার আপন মামীর তার তার প্রবাসে থাকা স্বামীর সাথে ঘরেরর বাহিরে গিয়ে কথা বলার সময় বাবুল কৌশলে তার ঘরে ঢুকে পড়।কথা বলা শেষে মামী ঘরে গেলে তাকে দেখে চিৎকার দিলে বাড়ির লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। এসময় বাবুল নিজেকে বাঁচানোর জন্য ঘরের কাড়ে উঠেপালিয়ে থাকার চেষ্টা করে। কিন্তু লোকজন তাকে ঘরে না পেয়ে কাড়ে উঠে তাকে দেখতে পেয়ে নিচে নেমে আসতে বলে। বাবুল বাঁচার জন্য কাড় থেকে লাফিয়ে পড়ে মাথা ও পায়ে মারাত্মক ব্যাথা পায়। এ অবস্থায় লোকজন তাকে আটক রেখে ডাক্তার এনে প্রাথমিক চিকিৎসা করায়। পরে ১৬ আগস্ট স্থানীয় চেয়ারম্যান, ম্বেম্বার, গন্যমান্য ব্যক্তিরা একটি শালিস বৈঠকে মানবিক বিবেচনায় তাকে বাড়ির লোকজনের মাধ্যমে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা কুচাতলী হাসপাতালে পাঠায়।তার চিকিৎসা শেষে চেয়ারম্যান মেম্বারগণ স্থানীয় ভাবে ন্যায় বিচার করবে বলে আশ্বস্ত করে।
এদিকে অভিযুক্ত বাবুল তার মামীর সাথে ঘটনা অস্বীকার করে জানান, তারা আমাকে পূর্ব শক্রুতার জের ধরে হাতুড়ি দিয়ে মারাত্মক মারধর করেছে। যাহা ইতিমধ্যে তার বক্তব্যের একটি ভিডিও এ স্থানীয় এক সাংবাদিকের ফেইজবুকে ভাইরাল হয়েছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় চেয়ারম্যান মেম্বার ও গন্যমান্যদের সাথে যোগাযোগকরা হলে তারা জানান, বাবুলের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং চিকিৎসা শেষে বাবুল বাড়িতে আসলে স্থানীয় ভাবে ঘটনাটি সমাধানের চেষ্টা করা হবে।