প্রকাশ : ০৩ মে ২০২৩, ২২:১১
চাঁদপুরে আবারো স্বস্তির বৃষ্টি, সঙ্গে শিলা ও বজ্রপাত
চৈত্র- বৈশাখের টানা তীব্র গরমে প্রাণ-প্রকৃতি যখন ওষ্ঠাগত তখন বৃষ্টির দেখা ছিলো না।ঈদের পরে একদিন কিছু সময়ের জন্য দেখা দেয় ঝড় বৃষ্টি। আবার বৈশাখের খরতাপে পুড়ছিল চাঁদপুর। তবে বুধবার শেষ পর্যন্ত আবারো নামলো স্বস্তির বৃষ্টি। সঙ্গে নিয়ে এসেছে শিলা বৃষ্টি ও বজ্রপাত।
বুধবার (৩ মে ) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে চাঁদপুরের উপর দিয়ে বজ্রসহ বৃষ্টিপাত শুরু হয়। চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত। তবে এ বৃষ্টিতে কিছুটা স্বস্তি মিললেও অস্বস্তিতে আছেন সচেতন মহল। কারণ, বৃষ্টির সঙ্গে ঝরেছে শিলাও।
অস্বস্তির বড় কারণ, কৃষকের জমির বোরো ধান উঠছে। গাছে গাছে থোকা থোকা আম।
এ অবস্থায় শিলাবৃষ্টি বড় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তবে শিলাবৃষ্টির পরিমাণ সম্পর্কে তেমন কোন ধারনা পাওয়া যায়নি।
তবে তীব্র তাপ প্রবাহের পর মুষলধারের মত বৃষ্টিতেই নেমে এসেছে স্বস্তি। কৃষি বিভাগ বলছে, শুধু আম নয় যে কোন ফসলের জন্য আর্শীবাদ এই বৃষ্টি। তবে শিলাবৃষ্টি হাওয়ায় ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।
প্রথমে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি শুরু হলেও আস্তে আস্তে বাড়তে থাকে বৃষ্টির পরিমান। এ সময় বৃষ্টিপাতের সঙ্গে জেলা শহরের নতুন বাজার পুরান বাজার সহ সদর উপজেলা বিভিন্ন স্থানে এবং উপজেলা গুলোতেও বজ্রপাতসহ বৃষ্টি এবং সাথে হালাকা শিলাবৃষ্টিও হয়। এতে বৃষ্টির সঙ্গে শিলা পড়ায় ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
পুরাণবাজারে মধুসূদন স্কুল মাঠের সাথে দোকানদার রফিক জানান, এখানে রাস্তার কাজ চলছিল। প্রচণ্ড তাপদাহের কারনে গত কয়েকদিন যাবত রাস্তা থেকে বেশি পরিমাণে ধুলাবালি উড়ছিল।
অনেকদিন পর বৃষ্টির দেখা মিলে। এতে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে।তবে শিলাবৃষ্টির আকার ছোট ছিলো। এতে গাছের আম ও ফসলের জন্য ক্ষতির আশঙ্কা থাকলেও বৃষ্টিতে উপকারও আছে।