প্রকাশ : ০৪ এপ্রিল ২০২৩, ১৯:৪৭
মেঘনায় নৌ পুলিশের অভিযান বাল্কহেডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ও জাটকা ধরায় আটক ১৯ জেলে
চাঁদপুর মেঘনা নদীতে নৌ দুর্ঘটনা এড়াতে ও ঝুঁকিপূর্ণ নৌযান চলাচল বন্ধে এবং জাটকা নিধন প্রতিরোধে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করেছে চাঁদপুর নৌ পুলিশ। ৪ এপ্রিল সকাল ৯ টা হতে দুপুর ২টা পর্যন্ত চাঁদপুর বড়স্টেশন, লঞ্চঘাটের মেঘনা মোহনা এলাকায় নৌ পুলিশের বড় একটি টীম এ অভিযান পরিচালনা করে। নৌ পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার মোঃ কামরুজ্জামান, সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্স অভিযানে ছিলেন।
|আরো খবর
এ সময় বালুবাহী অবৈধ ১৩টি বাল্কহেড জাহাজ আটক করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এছাড়া জাটকা নিধনের দায়ে গত ২৪ ঘণ্টায় মেঘনা নদীর বিভিন্ন স্থান হতে ১৯ জেলেকে আটক করে নৌ পুলিশ। এ সময় ৫৫ কেজি জাটকা ইলিশ ও ৭ লাখ ২০ হাজার ৩০০ মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়।
চাঁদপুর নৌ পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান নৌ পুলিশের প্রেস নোটের মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।তিনি জানান, জাটকা ইলিশের নিরাপদে বিচরণ নিশ্চিতে ও নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীতে অভিযান চালানো হয়। রোববার (২ এপ্রিল) রাত ১২টা থেকে সোমবার রাত ১২টা ১ মিনিট পর্যন্ত পদ্মা-মেঘনা নদীতে চাঁদপুর সদর উপজেলার রাজরাজেশ্বর, পুরাণবাজার, লক্ষ্মীচর, চিরারচর, আনন্দবাজার, ইব্রাহিমপুর, লক্ষ্মীপুর, হানারচর, মিনি কক্সবাজার, সফরমালিসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করা হয়। এদের মধ্যে ১৭ জনের বিরুদ্ধে মৎস্য আইনে মামলা করা হয়েছে। বাকি দুইজন অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাদের মুচলেকা দিয়ে অভিভাবকের জিম্মায় মুক্তি দেওয়া হয়েছে।তিনি আরও বলেন, জব্দকৃত ১৩ বাল্কহেডের মধ্যে ১১টি সুকানির জিম্মায় দেওয়া হয়। অবশিষ্ট ২টি বাল্কহেড মামলার আলামত নৌ থানা হেফাজতে রয়েছে। জাটকাগুলো স্থানীয় গরিব ও দুস্থদের মাঝে বিতরণ এবং কারেন্ট জাল আগুনে পুড়িয়ে নষ্ট করা হয়। উল্লেখ্য, ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দুই মাস পদ্মা-মেঘনার অভয়াশ্রম এলাকায় জাটকাসহ সব ধরনের মাছ আহরণ, ক্রয়-বিক্রয়, মজুত ও পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।