বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৩ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস আজ
  •   চাঁদপুর সদরের শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের মান্দারি লোহাগড় গ্রামে দুটি পুকুরে বিষ দিয়ে ১৫ লাখ টাকার মাছ নিধন
  •   গৃহবধূ আসমার খুনিদের বিচারের দাবিতে ফরিদগঞ্জে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন
  •   কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে অভিযোগ
  •   হাজীগঞ্জের সন্তান অতিরিক্ত ডিআইজি জোবায়েদুর রহমানের ইন্তেকাল

প্রকাশ : ১৪ ডিসেম্বর ২০২২, ২২:৩৮

মতলব উত্তরে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে শ্রদ্ধাঞ্জলী ও আলোচনা সভা

পাকিস্তানিরা বাংলাদেশের মাটি চেয়েছিলো, মানুষ নয়- উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ কুদ্দুস

মাহবুব আলম লাভলু
পাকিস্তানিরা বাংলাদেশের মাটি চেয়েছিলো, মানুষ নয়- উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ কুদ্দুস

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে বুধবার সকালে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্বে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। পরে উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশাফুল হাসানের ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আওরঙ্গজেবের সঞ্চালনয় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ কুদ্দুস।

এসময় আরো বক্তব্য দেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আল এমরান খান, মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহিউদ্দিন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সালাউদ্দিন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মোজাম্মেল হক, সমাজসেবা কর্মকর্তা আনিছুর রহমান তপু, উপজেলা প্রকৌশলী মনির হোসেন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী সজিব চন্দ্র, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আ. কাইয়ুম খান, সহকারী শিক্ষা অফিসার মো. অলিউল্লাহ, সংসদ সদস্যের একান্ত সহকারি অ্যাড. লিয়াকত আলী সুমন, মতলব উত্তর প্রেসক্লাবের সভাপতি বোরহান উদ্দিন ডালিম প্রমুখ। এসময় বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, সরকারি কর্মকর্তা ও সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ কুদ্দুস বলেন, পাকিস্তানিরা বাংলাদেশের মাটি চেয়েছিলো, মানুষ নয়। যে কারণে তারা ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে নিরস্ত্র মানুষের ওপর অস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ডিসেম্বর মাসে মুক্তিবাহিনী ও মিত্র বাহিনীর যৌথ আক্রমণে পাকিস্তানিরা মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে। ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের ঠিক আগে বিশ্বাসঘাতক আলবদর ও আলশামসদের মাধ্যমে তালিকা করে দেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে। এ অপশক্তির চক্রান্ত স্বাধীনতার পরেও চলেছে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরে ধর্মনিরপেক্ষ ভাবনা পরিহার করে ধর্মভিত্তিক রাজনীতিকে পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়ার চেষ্টা চলে। পরাজিত শক্তিরা আজও বঙ্গবন্ধু ও সংবিধানের বিরুদ্ধে কথা বলে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের আরও একটি দুর্ভাগ্য, আমাদের নিজ নিজ এলাকায় কারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী এবং ’৭১-এর পরাজিত শক্তির এজেন্ট তাদের নামও আমরা জানি না। অথচ আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধের এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারী তাদের নামগুলো ওই পরাজিত শক্তির কাছে তৈরি করা আছে; সুযোগ পেলেই আমাদের তারা সহজেই টার্গেট করতে পারে। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে যখন জাতীয় ঐক্যের ডাক আসে, তখন আমরা তাদের শনাক্ত করতে পারি না।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়