প্রকাশ : ৩১ জুলাই ২০২১, ২৩:৫৪
চাঁদপুরে মৃত্যুর মিছিলে যোগ হলো আরো ৭ জন : নতুন শনাক্ত ৩৩৬
চাঁদপুরে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ও উপসর্গে মৃত্যুর মিছিলে আরো ৭ জন যোগ হয়েছে। চাঁদপুরে প্রতিদিন একাধিক মৃত্যুর সাথে এই ৭ জন যোগ হলো।
|আরো খবর
৩০ জুলাই শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে ৩১ জুলাই শনিবার দুপুর পর্যন্ত এই ৭ জনের মৃত্যু ঘটেছে। ৭ জনের মধ্যে ৫ জন চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে মৃত্যুবরণ করেন। বাকী ২ জন নিজেদের বাসায় মারা যান। আর বাসায় মারা যাওয়া দুজনই করোনা পজিটিভ।
হাসপাতালে যে ৫ জন মারা গেছেন তাদের করোনার উপসর্গ ছিলো। ভর্তি হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তারা মারা যান। তাদের অক্সিজেন লেভেল অনেক নিচে ছিলো বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে ৩১ জুলাই শনিবার চাঁদপুর জেলায় নতুন করে ৩৩৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। ৭৫৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩৩৬ জনের পজিটিভ রিপোর্ট আসে। শনাক্তের হার ৪৪.২৬ শতাংশ। নতুন এই আক্রান্তসহ জেলায় এই পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হলো ৯ হাজার ৮শ’ ৫১ জন।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরো যে দুজনের মৃত্যুর খবর জানা গেছে, তারা হচ্ছেন- চাঁদপুর শহরের ষোলঘর পাকা মসজিদ এলাকার বশির উল্লাহ (৭৫) এবং কচুয়া উপজেলার কড়ইয়া এলাকার নলুয়া গ্রামের আলী আকবর (৬০)। এই দুইজন ৩০ জুলাই শুক্রবার তাদের বাড়িতেই মারা যান বলে সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে। এই দুইজনসহ করোনায় আক্রান্ত হয়ে জেলায় এ পর্যন্ত মোট মৃত্যুর সংখ্যা হলো ১৬৮ জন। চাঁদপুর জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের হিসাব মতে মৃত্যুর এই সংখ্যা।
এছাড়া জেলা সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে করোনার উপসর্গ নিয়ে যে ৫ জন মারা গেছেন, তারা হলেন- চাঁদপুর শহরের নতুন বাজার বিদ্যুৎ অফিস এলাকার তাজুল ইসলাম (৬০), শাহরাস্তি উপজেলার ফতেপুর গ্রামের মোঃ আবুল হোসেন (৭৫), ফরিদগঞ্জ উপজেলার মনতলা গ্রামের রেজিয়া বেগম (৫৫), হাজীগঞ্জ উপজেলার বড়কুল গ্রামের শেফালী বেগম (৫২) ও মতলব উত্তর উপজেলার ইন্দুরিয়া গ্রামের তফুরা খাতুন (৬৫)।
গতকাল করোনা শনাক্ত হওয়া ৩৩৬ জনের উপজেলাভিত্তিক সংখ্যা হলো- চাঁদপুর সদর ১১৯জন, মতলব উত্তর ১২ জন, ফরিদগঞ্জ ৪৪ জন, হাজীগঞ্জ ২৬ জন, মতলব দক্ষিণ ১২ জন, কচুয়া ২৩ জন, হাইমচর ৩৮ জন ও শাহরাস্তিতে ৬২ জন।
এদিকে ৩১ জুলাই শনিবার একদিনে ৬৩ জন করোনা পজিটিভ রোগীকে সুস্থ ঘোষণা করা হয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে। মোট আক্রান্ত রোগীর মধ্যে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে ৬ হাজার ৭শ’ ৪৩ জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছে ২ হাজার ৯শ’ ৪০ জন।