শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫  |   ১৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ৩০ জুলাই ২০২১, ১২:২৬

চরাঞ্চলে লকডাউন উপেক্ষিত : নৌপথে শহরমুখী হচ্ছেন শত শত মানুষ

বিমল চৌধুরী
চরাঞ্চলে লকডাউন উপেক্ষিত : নৌপথে শহরমুখী হচ্ছেন শত শত মানুষ

চাঁদপুর শহর সংলগ্ন মেঘনার পশ্চিম পাড়ের চরাঞ্চলে চলমান কঠোর লকডাউন অনেকটাই উপেক্ষিত। প্রতিদিন কারণে অকারণে নৌপথে শহরমুখী হচ্ছেন শত শত মানুষ।

২৩ জুলাই থেকে আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত ১৪ দিনের জন্য এই লকডাউন ঘোষিত হয়। চলমান কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন খুবই তৎপরতার সাথে কাজ করেও অনেক ক্ষেত্রে তা' কার্যকর করতে হিমশিম খাচ্ছেন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে তা' কার্যকর করতে গিয়ে প্রশাসন কঠোর হচ্ছেন, করছেন জরিমানা।

তারপরও মানুষ থেমে নেই। নিরাপদে ঘরে থাকার চেয়ে প্রয়োজনে, অপ্রয়োজনে বাহিরে বের হয়ে আসতেই বেশী স্বাচ্ছন্দবোধ করছেন তারা। মানুষের লকডাউন না মানার চিত্র ফুটে উঠেছে চরাঞ্চলেও। তারা প্রতিদিনই নৌপথে পারি জমাচ্ছেন শহরে। আবার প্রয়োজন মিটিয়ে ফিরে যাচ্ছেন নিজেদের গন্তব্যে। ফলে বাধাঁগ্রস্থ হয়ে পড়ছে লকডাউনের কার্যকরিতা।

প্রতিদিনই চাঁদপুর শহরঘেষা মেঘনার পশ্চিমপাড়ে থাকা বালার বাজার, আলুর বাজার, দুলার চর, রাজরাজেশ্বর, ঈশানবালা, ঈদগা বাজার (ফেরীঘাট)সহ চরাঞ্চলের বিভিন্ন স্থান থেকে নৌপথে ট্রলারযোগে চাঁদপুর শহরে পাড়ি জমান শত শত নারী, পুরুষ। তবে তারা চাঁদপুরে আসা যাওয়ার ক্ষেত্রে পূর্বের নির্দিষ্ঠ নৌঘাট বা ট্রলারঘাট ব্যবহার করেন না। তারা পূর্বের নির্দিষ্ট ট্রলার ঘাট থেকে ট্রলারে না উঠে মাঝির সাথে মোবাইলের মাধ্যমে যোগাযোগ করে সুবিধাজনক স্থান থেকে ট্রলারে উঠেন।

ঐ সকল যাত্রীবাহী ট্রলার চাঁদপুর পুরানবাজারের মদীনা মসজিদ ট্রলার ঘাট, তেল ঘাট, ভূঁইয়ার ঘাট এলাকায় যাত্রী না নামিয়ে, প্রশাসনের দৃষ্টি এড়িয়ে হরিসভা এলাকা বা আশপাশের সুবিধাজনক স্থানে তাদেরকে নামিয়ে দেয়। এসকল যাত্রী চরাঞ্চলে ফিরে যাওয়ার ক্ষেত্রেও একই নিয়ম অবলম্বন করেন। তারা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করে ট্রলারের অবস্থান জেনে নেন এবং সে মতে ট্রলারে চেপে চরাঞ্চলে ফিরে যান। ফলে স্বাস্থ্যবিধি ব্যাহত হচ্ছে।

এ ক্ষেত্রে নদীর পাড় সংলগ্ন মানুষজন কিছু বলতে চাইলেও ট্রলার মালিক ও তাদের সাঙ্গপাঙ্গদের পেশী শক্তির কারনে কেউ কিছু বলতে সাহস করে না। অথচ প্রশাসন চলাচলের ক্ষেত্রে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছেন। বন্ধ রেখেছেনে সকল ধরনের পরিবহন। কিন্তু জনসচেতনতা বৃদ্ধি না পাওয়ায় প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে চলছে লকডাউন না মানার প্রবণতা।

নৌপথে কঠোর লকডাউন না মানার বিষয়ে প্রশাসন আরো কঠোরতা অবলম্বন করবেন এটাই সচেতন মহলের প্রত্যাশা।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়