প্রকাশ : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২০:০৭
প্রতিপক্ষকে দোষারোপ করতে অপহরণ মামলা
আদালত থেকে আগাম জামিন নিয়ে প্রতিপক্ষকে দোষারোপ করতে অপহরণ মামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার শ্রীনারায়নপুর গ্রামের অমির বাড়িতে।
|আরো খবর
ওই গ্রামের একই বাড়ির মজিবুর রহমানের স্ত্রী বিউটি বেগম ২১ আগস্ট বিজ্ঞ বিচারিক আমলী আদালতে (হাজীগঞ্জ) একটি মামলা করেন। এ মামলায় ৫ জনকে আসামি করা হয়। আসামীরা হলেন ১.মোঃ তাজুল ইসলাম আমির (৫৫) পিতা মৃত মোতাহার হোসেন, ২. আরমান আমির (২০) পিতা তাজুল ইসলাম আমির, ৩. রেবেকা সুলতানা (৪২) স্বামী মোঃ তাজুল ইসলাম আমির, ৪. তানিয়া আক্তার (১৮) পিতা মোঃ তাজুল ইসলাম আমির।
মামলার এজাহারে বিউটি বেগম উল্লেখ্য করেন তার ছোট ভাই প্রবাসী মোঃ আবদুর রহমানের খরিদ কৃত সম্পিত্তিতে গত ৩ আগস্ট বাড়ি ঘর নির্মাণের জন্য মালামাল নিয়ে গ্রামের বাড়িতে যান। এতে আসামীগণ অতর্কিত হামলা করে। হামলায় বাদী বিউটি বেগম (৩০) স্বামী মজিবুর রহমান ও তার বোন লাভলী আক্তার (৪০) স্বামী নজরুল ইসলাম তাজল ও ফাতেমা বেগম(২৮) স্বামী শহিদ উল্লাহ রক্তাক্ত জখম হয়েছে। বিউটি বেগমের জখমকৃত স্থানে ৩টি সেলাই লেগেছে বলে উল্লেখ করা হয়।
লাভলী আক্তার জানান, আমার বোন বিউটি বেগমের মামলার ৩নং আসামি রেবেকা সুলতানা উরফে রেবেকা খাতুন আদালত থেকে আগাম জামিন নিয়ে আমি আমার ছেলে এসএসসি পরীক্ষার্থী জাহিদুল ইসলামসহ আমার বাবা ও বোনকে জড়িয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল চাঁদপুরে অপহরণ মামলা করেছেন। আমি ও আমার সন্তান সহ চাঁদপুর শহরের ওয়্যারলেছ এলাকায় নিজ বাড়িতে থাকি। আমার ছেলে রেবেকা সুলতানা উরফে রেবেকা খাতুনের মেয়ে ও সুমাইয়াকে ২২ আগস্ট সোমবার উচ্চাঙ্গ ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা যাওয়ার পথে অপহরণ করে বলে মামলা করেছে। মূলত আমার ছেলে সুরাইয়াকে (১৫) চিনে না। আমার ছেলে আল-আমিন এতিমখানা কমপ্লেক্সে থেকে পড়া শোনা করে। রেবেকা তার স্বামী ও অন্যান্য আসামিদের আদালত থেকে আগাম জামিন নিয়ে আমাদের পাশাতে অপহরণ মামলা করেছেন। আমরা আদালত ও পুলিশের সঠিক তদন্তের দাবী করছি এবং আমাদের প্রতি অতর্কিত হামলার বিচার চাই।