প্রকাশ : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৭:৩৬
চাঁদপুর-ঢাকা নৌ-রুট লঞ্চের কেবিনে চলে অশ্লীলতা
দেড় বছরেও মিলেনি তরুনীর লাশের পরিচয়!
চাঁদপুর-ঢাকা নৌ রুটে যাত্রীবাহী লঞ্চগুলোর কেবিনে তরুন-তরুনীর অশ্লীলতা যেন নিত্য সঙ্গী। লঞ্চে সিসি ক্যামেরা না থাকা এবং জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি না রেখে তরুন-তরুনীদের কাছে কেবিন ভাড়া দেওয়ায় যেন অপরাধ সংঘটিত হওয়ার মূল কারন। কেননা আব এ জমজম লঞ্চটির ২য় তলায় স্টাফ কেবিন থেকে অজ্ঞাত তরুনীর লাশের পরিচয় গত দেড় বছরেও শনাক্ত হয়নি।
১০ সেপ্টেম্বর শনিবার ঘটনার কারন অনুসন্ধানে জানা যায়, ঘটনার দিন চাঁদপুর থেকে ঢাকাগামী ওই লঞ্চটির ২৩৫নং স্টাফ কেবিনটি ৬শ’ টাকার বিনিময়ে ওই তরুন তরুনী ভাড়া নেয়। অতিরিক্ত ভাড়া পাওয়ায় কোন রকমের পরিচয়পত্র না রেখেই কেবিনটি ভাড়া দেন লঞ্চের গিজার সুজন মোল্লা, রাসেল খান ও মাসুম গাজী। এটি তাদের ব্যবহৃত কক্ষ ছিলো। পরবর্তীতে তালাবন্ধ কেবিনটির তালা ভেঙ্গে তরুনীর পায়জামার ফিতা গলায় পেচিয়ে শ্বাসরোধ করা লাশ উদ্ধার করে নৌ পুলিশসহ পুলিশের একাধিক টিম। অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, ওই নারীর ডিএনএ টেষ্ট, ফিঙ্গার পিন্ট কিংবা তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে তার পরিচয় শনাক্ত করার কথা থাকলেও নৌ পুলিশ এখনো তার পরিচয় জানতে পারেনি বলে ওই ঘটনার তদন্ত কাজ এগোও নি।
এ বিষয়ে চাঁদপুর নৌ থানার ওসি মোঃ কামরুজ্জামান বলেন, আমরা লঞ্চগুলোতে সিসি ক্যামেরা বসাতে নানা সময়ে তাগিদ দিয়ে যাচ্ছি। ২০২০ সালের ২২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় চাঁদপুর লঞ্চঘাটে আব এ জমজম লঞ্চের ইঞ্জিন গিজারদের কেবিনে অজ্ঞাত ওই তরুনীর লাশ উদ্ধার হলেও কেউ ঐ সময় তরুনীর খোঁজ নিতে আসে নাই। আর ওই লাশের সন্ধান না পাওয়ায় এর তদন্ত কাজও এগিয়ে নিতে দেরি হচ্ছে।
এ বিষয়ে নৌ পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার মোঃ কামরুজ্জামান বলেন, তথ্য প্রযুক্তির যুগেও ওই তরুনীর লাশের পরিচয় পাওয়া যায়নি বিষয়টা এমন নয়। আমরা যদি ঐ তরুনীর পরিচয় পেতাম তাহলে মামলাটির তদন্ত কাজ আরো অগ্রগতি হতো। আপনাদের লেখনির মাধ্যমে যদি বিষয়টি তুলে ধরেন তাহলে হয়তো তরুনীর পরিচয় পাওয়া যেতে পারে। যদি কেউ এ অজ্ঞাত তরনীর পরিচয় জেনে থাকেন তাহলে দ্রুত চাঁদপুর নৌ থানায় এসে যোগাযোগের আহ্বান রইলো।