বুধবার, ০৬ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৪ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   কচুয়ায় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ
  •   নির্মাণের এক বছর না যেতেই ফরিদগঞ্জ কেন্দ্রীয় মডেল মসজিদের বেহাল দশা
  •   শেষ হলো পদ্মা-মেঘনায় জাল ফেলার নিষেধাজ্ঞা
  •   ফরিদগঞ্জে প্রবাসীর স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার
  •   মোবাইল ব্যবহারে নিষেধ করায় শিশু শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

প্রকাশ : ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২২:৪৪

লাশটি প্রান্তের কিনা তা নিয়ে ধূম্রজাল

সেলিম রেজা ॥
লাশটি প্রান্তের কিনা তা নিয়ে ধূম্রজাল

অহিদুর রহমান প্রান্ত নিখোঁজ হয় ২ সেপ্টেম্বর শুক্রবার। তারপর থেকেই তার পিতা জেলা শ্রমিক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ মাহবুবুর রহমান (রেলওয়ের অবসরপ্রাপ্ত টিটিই) ছেলেকে সম্ভাব্য সকল স্থানে খুজে উপায়ন্তর না পেয়ে গত ৫ সেপ্টেম্বর চাঁদপুর মডেল থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। আদরের ছোটপুত্র প্রান্তকে খুঁজে না পেয়ে তার মানসিক অশান্তি অনেক বেড়ে যায়।

এদিকে প্রান্ত নিখোঁজের বিষয়টি নিয়ে নানামুখী কথা ঘুরপাক খাচ্ছে। দাম্পত্যজীবনে সুখী ছিলো না বলে নানান কথা শোনা যাচ্ছে। নিখোঁজের ৩দিন পরে প্রান্তের স্ত্রী রূপা তার স্বামীর বড়স্টেশন ক্লাব রোডস্থ বাসায় গিয়ে তার লাগেজ খুলে গেঞ্জিসহ টাকা-পয়সা নিয়ে আসে। এটি প্রান্তের বড় ভাই জনি দেখে ফেলেন। কেনো সে গেঞ্জি এবং টাকা আনতে স্বামীর বাসায় গেলো তার উত্তর প্রান্তের স্ত্রী রূপা দিতে পারে নি। এ বিষয়টি গত ৭ সেপ্টেম্বর মডেল থানায় অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রশিদসহ উপস্থিত সকলের সামনে আলোচনায় আসে।

অপরদিকে জিডির সূত্র ধরে ভোলা জেলার তজুমুদ্দিনে যে লাশ ভেসে উঠে তা প্রথমে দেখে কোস্টগার্ড। তারা তজুমুদ্দিন থানায় খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, লাশের উচ্চতা এবং বয়স নিয়ে প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছে ২৫/৩০ বছর এবং উচ্চতা প্রায় সাড়ে ৫ফুটের বেশি। পরিধেয় বস্ত্র ও হাতের ঘড়িটি সন্দেহাতীতভাবে প্রান্তের বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এদিকে প্রান্তের পিতা মাহবুবুর রহমান জানান, তার ভাইদের সাথে আলোচনা করে রোববার ভোলায় যেতে পারেন লাশ উত্তোলন করে ডিএনএ টেস্ট করানোর জন্য। কারণ তারা মনে করেন, এটি প্রান্তের লাশ হতে পারে। আবার তার বর্তমান মাতা মনে করেন আল্লাহ এটি যেনো প্রান্তের লাশ না হয়। তার বড় ভাই জনি মনে করেন, এটি প্রান্তের লাশই হতে পারে। আবার মনে করেন, আল্লাহ পাকের ইচ্ছায় এটি যেনো তার ছোট ভাইয়ের লাশ না হয়। তবে ডিএন টেস্ট করার পর বুঝা যাবে, এর আগে নিশ্চিত বলতে পারছেন না।

তজুমুদ্দিন থানার এসআই মোঃ জাকির হোসেন বলেন, লাশটি কোস্টগার্ড পায় থানা থেকে এক থেকে দেড় কিলোমিটার দূরের চরের কাছে। লাশের মাথায় চুল কম এবং স্বাস্থ্য ভালো এবং মুখের গঠনও গোল। তারপরও তার পিতাসহ যারা আসছে তারা লাশের গায়ের পরিধেয় বস্ত্র ও ঘড়ি দেখেছে এবং মিলানোর চেষ্টা করেছে। তারপরেও ডিএনএ টেস্ট করা ছাড়া তো নিশ্চিত বলা যায় না।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়