প্রকাশ : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৮:৫৩
চাঁদপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে হেভিওয়েট প্রার্থী ইউছুফ গাজী
চাঁদপুর জেলা পরিষদ নির্বাচন-২০২২ এর চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশীদের দিক দিয়ে হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন মোঃ ইউছুফ গাজী। তিনি বর্তমান চাঁদপুর জেলা আওয়ামীলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে থেকে দায়িত্ব পালন করছেন।
|আরো খবর
আওয়ামীলীগের একাধিক সূত্র থেকে জানা যায়, মোঃ ইউছুফ গাজীর রয়েছে বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ক্যারিয়ার। তিনি ১৯৭৪ সালে চাঁদপুর সরকারি কলেজ হতে বিএ পাশ করার আগে থেকেই তৎকালীন মহকুমা ছাত্রলীগের সদস্য ছিলেন। যেখানে তিনি ১৯৬৯ সাল হতে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ১৯৯৪ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত একটানা তিনি চাঁদপুর জেলা যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ২০০১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তৎকালীন চাঁদপুর-৪ নির্বাচনী এলাকা হতে ‘নৌকা’ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেন।এরপর ২০০৬ হতে এখন পর্যন্ত তিনি চাঁদপুর জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। আওয়ামীলীগের একাধিক সূত্র থেকে আরও জানা যায়, মোঃ ইউছুফ গাজী শুধু রাজনৈতিক নেতাই নন। তিনি একাধিকবার জনপ্রতিনিধিও নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৯৫ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত তিনি চাঁদপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০৯ সাল হতে ২০১৪ সাল পর্যন্ত তিনি চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি একাধিক সেবামূলক প্রতিষ্ঠান এবং ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছেন। আওয়ামীলীগের এই কান্ডারি মোঃ ইউছুফ গাজী ১৯৫৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মৃত আঃ মালেক গাজী এবং মাতা মৃত মিসেস বদরুন্নেছাও সমাজে গুণিজন হিসেবে পরিচিত।
এদিকে একান্ত এক সাক্ষাৎকারে জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন ‘নৌকা’ প্রতীক পাবার বিষয়ে আশাবাদী হয়ে মোঃ ইউছুফ গাজী বলেন, আমি আওয়ামীলীগকে ভালোবেসে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ লালন করে জননেত্রী শেখ হাসিনার একজন বিশ্বস্ত কর্মী হিসেবে মাঠে কাজ করছি। দলের নিবেদিত কর্মী হিসেবে আমি জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা বাস্তবায়নে জেলা পরিষদে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে চাই। আমার এই বয়সে এসে দল থেকে মূল্যায়িত হতে গিয়ে অনেকেই আমাকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলছেন। তবুও আমি নেত্রীর প্রশ্নে এবং তাঁর সিদ্ধান্তে আস্থাশীল ছিলাম, আছি এবং থাকবো। এখন দলীয় মনোনয়নের বিষয়ে আমার অভিভাবক জননেত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তই আমার সিদ্ধান্ত বলে সবাইকে জানিয়ে দিতে চাই। দল থেকে মনোনয়ন পেলেই আমি নির্বাচনে প্রার্থী হবো অন্যথায় নয়।